নষ্টনীড়-প্রথম পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভূপতির কাজ করিবার কোনো দরকার ছিল না। তাঁহার টাকা যথেষ্ট ছিল, এবং দেশটাও গরম। কিন্তু গ্রহবশত তিনি কাজের লোক হইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। এইজন্য তাঁহাকে একটা ইংরেজি খবরের কাগজ বাহির করিতে হইল। ইহার পরে সময়ের দীর্ঘতার জন্য তাঁহাকে আর বিলাপ করিতে হয় নাই। ছেলেবেলা হইতে তাঁর ইংরেজি লিখিবার এবং বক্তৃতা দিবার শখ ছিল। কোনোপ্রকার প্রয়োজন না … বিস্তারিত পড়ুন

নষ্টনীড়-দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বাগানের সংকল্প তাহাদের অন্যান্য অনেক সংকল্পের ন্যায় সীমাহীন কল্পনাক্ষেত্রের মধ্যে কখন হারাইয়া গেল তাহা অমল এবং চারু লক্ষও করিতে পারিল না। এখন অমলের লেখাই তাহাদের আলোচনা ও পরামর্শের প্রধান বিষয় হইয়া উঠিল। অমল আসিয়া বলে, “বোঠান, একটা বেশ চমৎকার ভাব মাথায় এসেছে।” চারু উৎসাহিত হইয়া উঠে; বলে, “চলো, আমাদের দক্ষিণের বারান্দায়–– এখানে এখনই মন্দা পান … বিস্তারিত পড়ুন

অজ্ঞাত স্টেশন

মধুসূদন সাহেব মারা যাওয়ার সংবাদে মুকুল একেবারে ভেঙ্গে পড়ল। কাঁদতে কাঁদতে ঢলে পড়ল আমার কাঁধে। আমি কোনরকমে ওর মাথায় হাত রাখলাম। বললাম, শান্ত হ মুকুল, কেউ যায় কেউ আসে; এইত নিয়ম। কাদিস না। ট্রেন চলে আসবে এখনই। আমরাও তো যাচ্ছি। একথা বলে আমি প্লাটফর্মের দিকে তাকালাম। কাকভেজা হয়ে আছে প্লাটফর্ম; আর সেই সাথে এখানে নিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

আক্ষেপ

স্বপ্ন অনেকের কাছেই খুব তুচ্ছ একটা ব্যাপার। কিন্তু আমি স্বপ্ন নিয়ে রীতিমত গবেষণা করি। আমার কাছে ভালো লাগে। আপনারা খেয়াল করে দেখেছেন কিনা জানি না, আমি রিসার্চ করে দেখেছি, কোন একটা বিষয় নিয়ে আমি যদি খুব গভীর ভাবে চিন্তাভাবনা করি তাহলে দু’চার দিনের মধ্যে ব্যাপারটা নিয়ে আমি একটা স্বপ্ন দেখে ফেলি। আপনার কি এমন হয়? … বিস্তারিত পড়ুন

আপদ

জামান সাহেব সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে খুব আয়েশ করে বসে পত্রিকার পাতা উল্টাচ্ছিলেন । এই সময় পাশের টেবিলে রাখা গরম চা তার আয়েশকে আরেক দফা বাড়িয়ে দিলেও মরিয়মকে দেখে মেজাজ বিগড়ে গেল।চায়ে চুমুক না দিয়েই হুংকার দিলেন – চাটা ঠান্ডা কেন? সামান্য এককাপ চাও করতে পারিস না। পারিস কি তুই? যা ভাগ এখান … বিস্তারিত পড়ুন

এক টাকা

এক. পাটুরিয়া ফেরী ঘাটে যখন সুজয়দের বাসটি পৌঁছে তখন বাজে রাত পৌনে একটা আর সুজয় ছিল গভীর ঘুমে অচেতন। ঈদের ছুটি শেষে ভার্সিটিতে ফিরছে সে, বাস ভর্তি মেডিকেল, খুলনা ভার্সিটি আর কুয়েটের ছাত্রছাত্রী, দু একজন বাদে। আজ মনে হয় ভাগ্য ভালো, বড় ফেরীতেই উঠেছে ঈগল পরিবহনের চেয়ারকোচ ননএসি এই বাসটি। পেছনের সিট থেকে মাথায় চাটি … বিস্তারিত পড়ুন

ত্যাগ–প্রথম পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ফাল্গুনের প্রথম পূর্ণিমায় আম্রমুকুলের গন্ধ লইয়া নব বসন্তের বাতাস বহিতেছে। পুষ্করিণীতীরের একটি পুরাতন লিচুগাছের ঘন পল্লবের মধ্য হইতে একটি নিদ্রাহীন অশ্রান্ত পাপিয়ার গান মুখুজ্যেদের বাড়ির একটি নিদ্রাহীন শয়নগৃহের মধ্যে গিয়া প্রবেশ করিতেছে। হেমন্ত কিছু চঞ্চলভাবে কখনো তার স্ত্রীর একগুচ্ছ চুল খোঁপা হইতে বিশ্লিষ্ট করিয়া লইয়া আঙুলে জড়াইতেছে, কখনো তাহার বালাতে চুড়িতে সংঘাত করিয়া ঠুং ঠুং … বিস্তারিত পড়ুন

ত্যাগ–দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

হেমন্ত বাহির হইতে ফিরিয়া আসিয়া স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করিল, “সত্য কি।” স্ত্রী কহিল, “সত্য।” “এতদিন বল নাই কেন।” “অনেকবার বলিতে চেষ্টা করিয়াছি, বলিতে পারি নাই। আমি বড়ো পাপিষ্ঠা।” “তবে আজ সমস্ত খুলিয়া বলো।” কুসুম গম্ভীর দৃঢ়স্বরে সমস্ত বলিয়া গেল— যেন অটলচরণে ধীরগতিতে আগুনের মধ্যে দিয়া চলিয়া গেল, কতখানি দগ্ধ হইতেছিল কেহ বুঝিতে পারিল না। সমস্ত শুনিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

দালিয়া-প্রথম পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পরাজিত শা সুজা ঔরঞ্জীবের ভয়ে পলায়ন করিয়া আরাকান-রাজের আতিথ্য গ্রহণ করেন । সঙ্গে তিন সুন্দরী কন্যা ছিল । আরাকান-রাজের ইচ্ছা হয় , রাজপুত্রদের সহিত তাহাদের বিবাহ দেন । সেই প্রস্তাবে শা সুজা নিতান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করাতে একদিন রাজার আদেশে তাঁহাকে ছলক্রমে নৌকাযোগে নদীমধ্যে লইয়া নৌকা ডুবাইয়া দিবার চেষ্টা করা হয় । সেই বিপদের সময় কনিষ্ঠা … বিস্তারিত পড়ুন

দালিয়া-দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ছোটো নদীটি বহিয়া যাইতেছিল, এবং প্রথম গ্রীষ্মের শীতল প্রভাতবায়ুতে কৈলু গাছের রক্তবর্ণ পুষ্পমঞ্জরী হইতে ফুল ঝরিয়া পরিতেছিল । গাছের তলায় বসিয়া জুলিখা আমিনাকে কহিল , “ ঈশ্বর যে আমাদের দুই ভগ্নীকে মৃত্যুর হাত হইতে রক্ষা করিয়াছেন, সে কেবল পিতার হত্যার প্রতিশোধ লইবার জন্য । নহিলে আর তো কোনো কারণ খুঁজিয়া পাই না । ” আমিনা … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!