ছোটগল্প: রিভেঞ্জ

মধ্যরাত। সময়টা আনুমানিক সাড়ে বারোটা প্রায়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। মেঘের রাশি থেকে বেরিয়ে আসা পানির ফোঁটাগুলো প্রচন্ড বেগে আঘাত হানছে কনস্টেবল নিজামের গায়ে। কিন্তু শরীরের উপর হালকা স্বচ্ছ রেইনকোট থাকায় পানির ক্ষুদ্র ফোঁটাগুলো তাকে ভিজিয়ে দিতে পারছে না। নির্ঘুম চোখে সামনের দিকে তাকিয়ে রাস্তার বাঁকটা পার হলো সে। এবং সাথে সাথেই থমকে দাঁড়াল। সামান্য … বিস্তারিত পড়ুন

রবিন একটি ভালো ছেলে ! ছোট গল্প

রবিন তার হাতের স্যুটকেসটাকে প্রথমে গাড়ি পেছনে রাখলেও পরে রবিন ভাবলো নাহ! যে দিনকাল পড়েছে চুরবাটপার সব দেশেই তবু অ্যামেরিকার গুইন শহরে এর একটু বেশিই আড্ডা । চোরের ভয়ে রবিন স্যুটকেসটাকে গাড়ির পেছন থেকে এনে এবার গাড়ির ওপরে ভালো ভাবে বেঁধে নিল । এখন পুরো নিরাপদ সে । আজ কাল যা হয়েছে সারজেনের চেয়ে ট্রাফিক … বিস্তারিত পড়ুন

রহমত মিয়া !

রহমত মিয়া অনেক দিন হলো মাছ ধরে নদীতে খালে-বিলে। মাছ যারা ধরে তাদের সবার-ই কোন না কোন ভৌতিক ঘটনা আছে। রহমত মিয়ারও আছে কিন্তু এগুলো শুধু অন্যের কাছে বলার জন্য গল্প। রহমত মিয়া জীবনে কোনদিন ভয় পায় নাই এবং পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। এইতো সেবার হিন্দুপাড়ার শ্বশানের পাশের নদীতে মাছ ধরতে যেয়ে লক্ষিন্দর এতবার ডাকার পরও … বিস্তারিত পড়ুন

নষ্টনীড়-তৃতীয় পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

উমাপদ ভূপতিকে তাহার কাগজের সঙ্গে অন্য পাঁচরকম উপহার দিবার কথা বুঝাইতেছিল। উপহার যে কী করিয়া লোকসান কাটাইয়া লাভ হইতে পারে তাহা ভূপতি কিছুতেই বুঝিতে পারিতেছিল না। চারু একবার ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিয়াই উমাপদকে দেখিয়া চলিয়া গেল। আবার কিছুক্ষণ ঘুরিয়া ফিরিয়া ঘরে আসিয়া দেখিল, দুইজনে হিসাব লইয়া তর্কে প্রবৃত্ত। উমাপদ চারুর অধৈর্য দেখিয়া কোনো ছুতা করিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

নষ্টনীড়-ঊনবিংশ পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অমলের শরীর ভালো আছে, তবু সে চিঠি লেখে না! একেবারে এমন নিদারুণ ছাড়াছাড়ি হইল কী করিয়া। একবার মুখোমুখি এই প্রশ্নটার জবাব লইয়া আসিতে ইচ্ছা হয়, কিন্তু মধ্যে সমুদ্র–– পার হইবার কোনো পথ নাই। নিষ্ঠুর বিচ্ছেদ, নিরুপায় বিচ্ছেদ, সকল প্রশ্ন সকল প্রতিকারের অতীত বিচ্ছেদ। চারু আপনাকে আর খাড়া রাখিতে পারে না। কাজকর্ম পড়িয়া থাকে, সকল বিষয়েই … বিস্তারিত পড়ুন

নষ্টনীড়-চতুর্থ পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পাঠকসমাজে প্রতিপত্তি লাভ করিয়া অমল এখন মাথা তুলিয়া উঠিয়াছে। আগে সে স্কুলের ছাত্রটির মতো থাকিত, এখন সে যেন সমাজের গণ্যমান্য মানুষের মতো হইয়া উঠিয়াছে। মাঝে মাঝে সভায় সাহিত্যপ্রবন্ধ পাঠ করে– সম্পাদক ও সম্পাদকের দূত তাহার ঘরে আসিয়া বসিয়া থাকে, তাহাকে নিমন্ত্রণ করিয়া খাওয়ায়, নানা সভার সভ্য ও সভাপতি হইবার জন্য তাহার নিকট অনুরোধ আসে, ভূপতির … বিস্তারিত পড়ুন

নষ্টনীড়-বিংশ পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বন্ধুরা ভূপতিকে জিজ্ঞাসা করিল, “ব্যাপারখানা কী। এত ব্যস্ত কেন।” ভূপতি কহিল, “খররের কাগজ––” বন্ধু। আবার খররের কাগজ? ভিটেমাটি খররের কাগজে মুড়ে গঙ্গার জলে ফেলতে হবে নাকি। ভূপতি। না, আর নিজে কাগজ করছি নে। বন্ধু। তবে? ভূপতি। মৈশুরে একটা কাগজ বের হবে, আমাকে তার সম্পাদক করেছে। বন্ধু। বাড়িঘর ছেড়ে একেবারে মৈশুরে যাবে? চারুকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছ? … বিস্তারিত পড়ুন

নষ্টনীড়-পঞ্চম পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

চারু নিমন্ত্রণে গিয়াছিল। মন্দা ঘরে বসিয়া চুলের দড়ি বিনাইতেছিল। “বউঠান” বলিয়া অমল ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিল। মন্দা নিশ্চয় জানিত যে, চারুর নিমন্ত্রণে যাওয়ার সংবাদ অমলের অগোচর ছিল না; হাসিয়া কহিল, “আহা অমলবাবু, কাকে খুঁজতে এসে কার দেখা পেলে। এমনি তোমার অদৃষ্ট।” অমল কহিল, “বাঁ দিকের বিচালিও যেমন ডান দিকের বিচালিও ঠিক তেমনি, গর্দভের পক্ষে দুইই … বিস্তারিত পড়ুন

নষ্টনীড়-ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সেদিন আষাঢ়ের নবীন মেঘে আকাশ আচ্ছন্ন। ঘরের মধ্যে অন্ধকার ঘনীভূত হইয়াছে বলিয়া চারু তাহার খোলা জানালার কাছে একান্ত ঝুঁকিয়া পড়িয়া কী একটা লিখিতেছে। অমল কখন নিঃশব্দপদে পশ্চাতে আসিয়া দাঁড়াইল তাহা সে জানিতে পারিল না। বাদলার স্নিগ্ধ আলোকে চারু লিখিয়া গেল, অমল পড়িতে লাগিল। পাশে অমলেরই দুই-একটা ছাপানো লেখা খোলা পড়িয়া আছে; চারুর কাছে সেইগুলিই রচনার … বিস্তারিত পড়ুন

নষ্টনীড়-সপ্তম পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভূপতি একদিন আসিয়া কহিল, “চারু , তুমি যে লেখিকা হয়ে উঠবে, পূর্বে এমন তো কোনো কথা ছিল না।” চারু চমকিয়া লাল হইয়া উঠিয়া কহিল, “আমি লেখিকা! কে বলল তোমাকে। কখ্‌খনো না।” ভূপতি। বামালসুদ্ধ গ্রেফ্‌তার। প্রমাণ হাতে-হাতে। বলিয়া ভূপতি একখণ্ড সরোরুহ বাহির করিল। চারু দেখিল, যে-সকল লেখা সে তাহাদের গুপ্ত সম্পত্তি মনে করিয়া নিজেদের হস্তলিখিত মাসিক … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!