গাবলু আসলে হেনরি

তোমরা কি গাবলুকে চেনো? সেই ছোট্ট নেড়া মাথা ছেলেটাকে? যে দুহাত পকেটে পুরে শিষ দিতে দিতে নানারকম কান্ড বাধিয়ে ফেলতে পারে! ক্যান্ডি আর আইসক্রিম খেতে সে বড্ড ভালোবাসে। যারা এখন বেশ বড়, তারা ছোটবেলায় গাবলুর দেখা পেতে “আনন্দমেলা*”র পাতায়, মনে পড়ে কি? কিন্ত গাবলু তো আসলে হেনরি। বাংলা পত্রিকায় কি আর হেনরি নামটা ভাল লাগে? … বিস্তারিত পড়ুন

গরু আর গাধার মজার গল্প

এক কৃষকের ছিল একটি গাধা ও একটি গরু। কৃষক বোঝা আনা-নেওয়া ও চলাচলের বাহন হিসেবে গাধাকে ব্যবহার করতো আর গরু দিয়ে হালচাষ করতো। গম ও ধান মাড়াইয়ের কাজেও গরুকে ব্যবহার করা হতো। একদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একনাগাড়ে কাজ করে গরু যখন ঘরে ফিরলো তখন অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে ক্লান্ত হয়ে একা একাই বিড়বিড় করে কী … বিস্তারিত পড়ুন

ঘুড়ি ওড়ানোর মজা

বাড়ির চারিদিকে কুয়াশা ঘিরে রয়েছে…আর পিপলি রোজ সকালে ক্যালেন্ডার দেখে মিলিয়ে নিচ্ছে সরস্বতী পুজো কবে। কিন্তু তোমার মনে প্রশ্ন উঁকি মারতেই পারে পিপলি রোজ কেনো ক্যালেন্ডার দেখে দিন গুনছে। সরস্বতী পুজোর আনন্দ তো আছেই…তার সাথে আছে ঘুড়ি ওড়ানোর এক দারুন মজা। পিপলি তার ছোড়দাকে ফোন করে বলেছে কাঁচের শিশি গুঁড়োতে, পিসিকে বলেছে কাঁচা বেল পাড়তে। … বিস্তারিত পড়ুন

টাট্টু ঘোড়া আয়েগা

টাট্টু ঘোড়া আয়েগা হোন্ডাওলা আয়েগা ফুল প্যান্টালা আয়েগা হাফপ্যান্টালা আয়েগা ঘোড়াটা ছুটছে। অশ্বমেধ যজ্ঞ। বছরকাল ফুরালেই অপেক্ষায় মৃত্যু – বিত্তের জন্য, শৌর্যের জন্য, বীর্যের জন্য হতে হবে বলি। তারপরও কী মধুর স্বাধীনতা! সময়ের দড়ি দিয়ে কষে বাঁধা পবিত্র স্বাধীনতা। অন্তত আর মেপে মেপে পা ফেলা নয়। দুর্বিনীত খুড়ের ধাক্কায় ধুলা ছিটানো চলে। পথটা কি এতটা … বিস্তারিত পড়ুন

টিয়ামন্ত্র

ক. সুগোল জাম্বুরা আর বিড়াল-বেলুনের সমার্থক ছিল দূর্গাবিষর্জন। আমার ইচ্ছে ছিল এই বিষয়টি নিয়ে কিছু কথা বলবার। কিন্তু আমার ছোট বোন, আমার পিঠেপিঠি টুনটুনি বোন এসে হাজির হয়। তাকে নিয়েও গল্প বলা যেতে পারে। কারণ, সে ভেবেছিল, ঈশ্বর হয়তো বাবার মতো মানুষ অথবা বাবাই ঈশ্বর। আশলে সেসময় এক-দুই-তিন করে ডিকবাজি দিচ্ছিল শৈশব। তাই আমি, আমার … বিস্তারিত পড়ুন

গল্পঃ ঘানি

সফেদ চামড়ার আস্তরণে ধুলো-ময়লার কারুকার্য, আর তার জিরজিরে হাড়ে ক্লান্তি আর বয়সের গভীর ছাপ। সামান্য বিশ্রামের সময় নেই তার কাছে। ঘানির বিচ্ছিরি ক্যাঁচ-ক্যাঁচ শব্দের ছন্দায়িত দ্যোতনা মাঝে মাঝে বাতাসে বিচ্যুত হয়, শিস কাটা লাঠির সপাং বাড়ির দিকে। আর্তনাদ করে না, অবোধ পশুটি। দ্রুত পা চালিয়ে যায় মনিবের নির্দেশিত পথে। সাথে সাথে ঘানিতে পিষতে থাকে সর্ষে, … বিস্তারিত পড়ুন

ইন্তেজারি

ফুলতারার ঘোর কাটে না। কাটে শুধু তার দিনরাত; ঘোরের মধ্যে। সময় নাই অসময় নাই আধাঘুম-আধাজাগায় মন্থর অলসতার ঘোর, ঘুষঘুষে জ্বরের যাওয়া-আসার মাঝে তন্দ্রার মতোন এক ঘোর, কপালে জলপট্টি-গলায় মাফলার-গায়ে কাঁথার ভাসাভাসা ঘোর, অর্ধেক দেখার পর টুটে যাওয়া মধুর খোয়াবের মোহমুগ্ধতার এক ঘোর– তাকে জড়িয়ে রাখে দিনের পর দিন। ঘোরের মধ্যেই সে চাঁদসূর্য-মেঘরৌদ্র দেখে, ঘরঘাটউঠানে চলেফিরে, … বিস্তারিত পড়ুন

করাল এ নগরে

মধ্যদুপুরের তীব্র আকাশ মাথার ওপর, গাঢ় নীলরঙা। স্থানে স্থানে ঈশ্বরের তামাকের ধোঁয়া শুভ্র মেঘমালা। সে পটভূমিকায় কালো সরলরেখা টেনে উড়ে যায় দুটো পাটকিলে চিল, কিরণ তাই ঘাড় বাঁকিয়ে দেখে। বয়েসী চোখের উত্তল কর্নিয়াবরণে চিলের ক্ষুদ্র ছায়া পড়ে। এদিকে মূল বিম্ব গঠিত হয় অক্ষিকোটরের রেটিনাতে, যেখান থেকে দ্বিতীয় ক্র্যানিয়াল নার্ভ নাম্নী স্নায়ুতন্তু বিম্বটিকে শেষমেশ বয়ে নিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

উদ্ভট ঊটের সওয়ারী

সত্তুরের দশকে অনেক উঠতিযুবক আর পড়তিযুবকের কাফেলার সাথে আমাদের মামা-চাচারাও পাড়ি দিয়েছিলেন বিদেশে, জীবনবদলের হাতছানি/নিশির ডাকে সাড়া দিয়ে। আশির দশকের মাঝামাঝি যখন তাঁরা ছুটিতে বাড়ি ফিরতে লাগলেন, আমরা স্কুলফেরতা এসে তাঁদের আশ্চর্য সাবান আর ট্যাল্কগন্ধী লাগেজের ডালা খোলা দেখতে লাগলাম, তখন থেকে আমরা/আমি একটি অদ্ভূত বিষয়ের সাথে পরিচিত। সেটা হচ্ছে, এইসব আর কোনোদিন দেশে ফিরতে … বিস্তারিত পড়ুন

কোরবানী ঈদের সময়ের সত্যি ঘটনা নিয়ে লেখা গল্পঃ আছোঁয়া

মিটফোর্ড হাসপাতালে চাকুরীতে যোগদানের দিন এবং তারপরও আরো কিছুদিন বুড়িগঙ্গার বিষাক্ত পানির দুর্গন্ধে বেশ কষ্ট হয়েছিল আমার। ভাবতাম, আর সব মানুষেরা কিভাবে চলছে। কিছুদিন পর এই পরিচিত গন্ধ আমার নাকের Olfactory nerve স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছে এবং আমি আর এখন গন্ধ পাই না। হাসপাতালে রোগীর ভীড় খুব বেশী। এখানে কোন কোন বিভাগের Out door এর ডাক্তাররা … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!