হাতে হাত

মনের মধ্যেই লুকানোই ছিল বিরক্তি । মিহি পরীক্ষা দিয়ে বেরোতেই ঝরে পড়ল । বার বার বোঝানোর চেষ্টা করল – আমি ঠিকই করে দিয়ে এসেছি । প্রশ্নটাই একেবারে সঠিক নয় । তাই আমি উত্তরের ঘোরপ্যাঁচে পড়ে যাই । প্রতীপ কিছুতেই বুঝতে চায় না। পেছনে টানে – পড়াশোনায় মন নেই । শুধু কম্পিউটারে গেম খেলা । ফোনে … বিস্তারিত পড়ুন

মেঘের সমুদ্র

মেয়েটার চকলেট খুব পছন্দ। আমার হাতে বেগুনি রংয়ের মোবাইল দেখে সেটাকে ক্যাডবেরি ভেবেছিল। তাই ভেবেছিলাম এখান যাওয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে তাকে এক প্যাকেট চকলেট দিব। কিন্তু …. দিতে পারিনাই। মেয়েটার নাম অশ্বিনী। ফ্লাইট এটেন্ডেন্ট হিসেবে কাজ করে। সুন্দরী বলতে যা বোঝায়, অশ্বিনী তা না। কিন্তু তার পরেও মেয়েটার চটপটে ভাব আমাকে প্রথম থেকেই তার দিকে … বিস্তারিত পড়ুন

মজিদ ভাই বনাম আতাহুয়াল্পার গুপ্তধন

“অন্ধকার আর ঘন কুয়াশা ভেদ করে বেরিয়ে এলো তিনটে ছায়ামূর্তি। প্রথম জন একটু খাটো- সেই সাথে মানানসই একটা মেদযুক্ত পেট। পেছনের দুইজন- বোঝাই যায় তারা চামচা গোছের কেউ- বেশ লম্বা,স্বাস্থ্যটাও সেরকম দশাসই। একইসাথে তাদের দুইজনের হাতে জ্বলে উঠলো দুটো শক্তিশালী টর্চ, আলো এসে পড়লো আমার চোখে। প্রথম ছায়ামূর্তির কথা শুনতে পেলাম। -‘তারপর, সিনর মজিদ, আরো … বিস্তারিত পড়ুন

আশ্চর্যান্বিত টুনটুনের বাবা-মা

একমাত্র আদুরের দুলালী মিষ্টি মেয়ে টুনটুন। সারাবেলা সে দৌড়ে বেড়ায় এই রুম থেকে ওই রুম। কখনো বিছানার উপর লাফাবে, কখনো সোফার উপর লাফাবে, কখনো বা মায়ের আঁচল ধরে টানাটানি করবে। এমনি করে আরো কত কিছুই যে করবে সে, দুষ্টুমির যেন শেষই হয় না টুনটুনের। মাঝে মাঝে চুপটি মেরেও আপন মনে বসে থাকবে কোথাও, নয়তো একা … বিস্তারিত পড়ুন

একজন রুমীর গল্প–নাজিয়া ফেরদৌস

ছোটবেলা থেকেই খুব সাহসী আর মেধাবী ছিল ছেলেটি। কোনো কিছুকেই ভয় পেত না সে। মুখে সবসময় লেগে থাকত মনভুলানো হাসি। খুব ইচ্ছে ছিল তার গেরিলা হবে। ‘গেরিলাদের ছবি থাকতে নেই’ বলে সে কখনো ছবিও তুলত না। এই ইচ্ছা নিয়েই কেটেছে তার ২০টি বছর। সাল ১৯৭১। ছেলেটি তখন সবে আইএসসি পাস করে ইউনিভার্সিটিতে ঢুকেছে। পড়ার পাশাপাশি … বিস্তারিত পড়ুন

নাবিলার দেখা গ্রাম

নাবিলা এ খেলায় নতুন। নাবিলাকে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল বউ-ছি খেলা। এ খেলা তেমন কঠিন না। বুদ্ধির সাথে সুযোগ বুঝে বউ নিজ ঘরে ফিরে আসতে পারলেই হয়। এ খেলায় দু’টি দল থাকে। দু’দলের মতে নির্দিষ্ট দূরত্বের মাঝে কোট কেটে খেলার শুরু হয়। এক দলের বউ নদীর ঘাটে পানি আনতে গিয়ে আটকা পরে। সে নিজ ঘরে ফিরে … বিস্তারিত পড়ুন

পথের পাঁচালী– বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বল্লালী-বালাই—প্রথম পরিচ্ছেদ

নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের একেবারে উত্তরপ্রান্তে হরিহর রায়ের ক্ষুদ্র কোঠাবাড়ী। হরিহর সাধারণ অবস্থার গৃহস্থ, পৈতৃক আমলের সামান্য জমিজমার আয় ও দু-চার ঘর শিষ্য সেবকের বার্ষিকী প্রণামীর বন্দোবস্ত হইতে সাদাসিধাভাবে সংসার চালাইয়া থাকে। পূর্বদিন ছিল একাদশী। হরিহরের দূরসম্পর্কীয় দিদি ইন্দির ঠাক্‌রুণ সকালবেলা ঘরের দাওয়ায় বসিয়া চালভাজার গুঁড়া জলখাবার খাইতেছে। হরিহরের ছয় বৎসরের মেয়েটি চুপ করিয়া পাশে বসিয়া আছে … বিস্তারিত পড়ুন

পথের পাঁচালী– বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বল্লালী-বালাই—দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

হরিহর রায়ের আদি বাসস্থান যশড়া-বিষ্ণুপুরের প্রাচীন ধনী বংশ চৌধুরীরা নিষ্কর ভূমি দান করিয়া যে কয়েক ঘর ব্রাহ্মণকে সেকালে গ্রামে বাস করাইয়া ছিলেন, হরিহরের পূর্বপুরুষ বিষ্ণুরাম রায় তাহাদের মধ্যে একজন। বৃটিশ শাসন তখনও দেশে বদ্ধমূল হয় নাই। যাতায়াতের পথ সকল ঘোর বিপদসঙ্কুল ও ঠগী, ঠ্যাঙাড়ে, জলদস্যু প্রভৃতিতে পূর্ণ থাকিত। এই ডাকাতের দল প্রায়ই গোয়ালা, বাগ্‌দী, বাউরী … বিস্তারিত পড়ুন

প্রতিবেশিনী– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমার প্রতিবেশিনী বালবিধবা। যেন শরতের শিশিরাশুপ্লুত শেফালির মতো বৃন্তচ্যুত; কোনো বাসরগৃহের ফুলশয্যার জন্য সে নহে, সে কেবল দেবপূজার জন্যই উৎসর্গ-করা। তাহাকে আমি মনে মনে পূজা করিতাম। তাহার প্রতি আমার মনের ভাবটা যে কী ছিল পূজা ছাড়া তাহা অন্য কোনো সহজ ভাষায় প্রকাশ করিতে ইচ্ছা করি না— পরের কাছে তো নয়ই, নিজের কাছেও না। আমার অন্তরঙ্গ … বিস্তারিত পড়ুন

ফেল–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ল্যাজা এবং মুড়া, রাহু এবং কেতু, পরস্পরের সঙ্গে আড়াআড়ি করিলে যেমন দেখিতে হইত এও ঠিক সেইরকম। প্রাচীন হালদার-বংশ দুই খণ্ডে পৃথক হইয়া প্রকাণ্ড বসত-বাড়ির মাঝখানে এক ভিত্তি তুলিয়া পরস্পর পিঠাপিঠি করিয়া বসিয়া আছে; কেহ কাহারো মুখদর্শন করে না। নবগোপালের ছেলে নলিন এবং ননীগোপালের ছেলে নন্দ একবংশজাত, একবয়সি, এক ইস্কুলে যায় এবং পারিবারিক বিদ্বেষ ও রেষারেষিতেও … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!