আসল নাম বলা যাবে না – শওকত চৌধুরী

‘ভাই, আমি কি আপনার নামটি জানতে পারি? আপনাকে কেন জানি চেনা-চেনা লাগছে। না মানে, সমস্যা থাকলে দরকার নেই। জাস্ট কিউরিসিটি।’ ‘আসল নাম তো বলা যাবে না। নকল নাম—হিট খাইছি ৪১০। পরিষ্কার শুদ্ধ উচ্চারণে বললে হিট খেয়েছি ৪১০।’ ‘জি!’ ‘কিছুই বোধহয় বুঝতে পারছেন না, তাই না?’ ‘আসলে এমন নাম হয় কিনা…এই প্রথম শুনেছি…আমার বোকামির জন্য মাফ … বিস্তারিত পড়ুন

অপঘাত

চোখে ঘুম ধরে গেল। কামরুল সাহেব এখনও অফিসে বসে আছেন। রাত প্রায় ১২.৩০ বাজে। অফিসের কাজ করতে করতে কখন যে সময় চলে গেল টেরই পাওয়া গেল না। যাই হোক হন্ত দন্ত করে কাগজ ফাইল গুছিয়ে অফিস রুম থেকে বের হলেন। রুম থেকে বের হয়ে অফিসের করিডোরে এসে দাঁড়াল। রীতিমত একটা জনশূন্য একটা জায়গা। একজন লোকও … বিস্তারিত পড়ুন

পরবাসী —- হাসান আজিজুল হক

কান পেতে কিছু শোনার চেষ্টা করল সে। কিছু একটা শব্দ। কিন্তু কিছুই শোনা গেল না। বাতাস কিংবা পাতা ঝরার শব্দ … কোনো কিছুই তার কানে এলো না। এই এতটুকু সময়ের মধ্যেই মাটি বরফের মতো ঠাণ্ডা হয়ে এসেছে। নিঃশব্দ শিশিরের হিমে স্নান করে বিবর্ণ পাতাগুলো ভিজে। শীতের শেষ বলে সারাদিন ধরে উত্তর দিক থেকে ঝড়ের বেগে … বিস্তারিত পড়ুন

জীবনের শেষ সময়

৪৫ বছর বয়সী অনন্ত চাটুজ্যে একদিন অন্য গ্রামে যাওয়ার পথে তার মৃত বন্ধু নির্মল বিশ্বাসকে উল্টো দিক থেকে হেঁটে আসতে দেখে কিছুটা ভয় পেয়েই বললেন ,” নির্মল তুই তো গত বছর কলেরায় …” নির্মল বিশ্বাস অল্প হেসে বললেন : ঠিকই জানিস ,আমি এখন যমদূতের চাকরী করি ,সুনীল কর্মকারের স্ত্রী আর এক ঘন্টা বাদেই মারা যাবে … বিস্তারিত পড়ুন

বাদামী জুতোর গল্প –মৌসুমী কাদেরের গল্প

বাজারে যুতসই জুতো নেই। প্রচণ্ড শীত সহনীয়, কোনভাবেই পা ভিজবেনা, বাতাস ঢুকবেনা, পায়ের পাতা আর আঙ্গুলগুলো উষ্ণতায় ভরিয়ে দেবে, ঠিক এইরকম একজোড়া জুতো। এলডো, ফুট লকার, নাইকি, টাউন শুজ, সব দোকান ঘোরাঘুরি শেষ। দোকানীরা বললো, শীতের সব জুতো তুলে নিয়েছে ওরা। এদিকে পুরনো জুতো জোড়াও যাই যাই করছে। সবিতাদি ফোন করে বললো; ‘আরে কি কিনবে … বিস্তারিত পড়ুন

কঙ্ক

বিকেলের রোদটা সবে গড়িয়ে পড়ছে। সব পাখিরা দিনের শেষে আগামী দিনের কাজ গুছিয়ে নিতে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেছে। আর কিছু তরুণ পাখি মনের আনন্দে আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে সুতো ছেঁড়া ঘুড়ির মতো, গন্তব্যহীন। আর কঙ্ককেই কিনা মন খারাপ করে বসে থাকতে হচ্ছে ঘরে। ওর বাবা মাও আসেনি এখনো। চলে আসবে খুব তাড়াতাড়ি, প্রতিদিন এমন সময়ই ফেরে … বিস্তারিত পড়ুন

পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন

নূপুরের সঙ্গে দেখা হয় কুয়াশাঢাকা শীতের সকালে বিএম কলেজের ভেতরে, পুকুরপাড়ে। এ রকম কুয়াশা এ-শীতে আর হয়নি। সাড়ে এগারোটায়ও সূর্যের দেখা নেই, দিগন্ত অন্ধকারপ্রায়। চোখের সামনে যেন প্রকাণ্ড একখানা ঘষা কাচ ঝুলছে। দশ বছরের বন্ধুত্ব-প্রথম দেখা-জমে থাকা কথারা—এবারই প্রথম, কিন্তু সবই পাশ ফিরে দেখার মতোন লাগে। নূপুরই বলে কথাটি—যখন বসন্ত ছিল, বন্ধুর মুখটা দেখার বাসনা … বিস্তারিত পড়ুন

শালিখচূড়ার বিন্দুবালা

শালিখচূড়া গ্রামটির কথা প্রথম শুনেছিল বিভ‚তিবাবুর মুখে। ফর্শা, গোলগাল চেহারা। চকচক করছে মাথার টাক। হাতে সিকো-৫ ঘড়ি। একঘণ্টা পর পর প্যান্টের পকেট থেকে নস্যির কৌটা বের করে এক চিমটি নাকে গ্রহণ করে। নস্যির কিছু অংশ মোটা গোঁফের মধ্যে লেগে থাকে। পরিস্কার করে না। মাঝে মাঝে নাক ঝাড়ে। তাতে করেই আশপাশ তটস্থ। তারপর বিভ‚তিবাবু এই অঞ্চলের … বিস্তারিত পড়ুন

শিশিরের আয়না

অন্ধকার আর মাটির রঙ মিশে আরও ঘন হয়ে রয়েছে রাত। বজ্রের আলো হঠাৎ হঠাৎ এসে আর্দ্র কাদামাটির পথটাকে উজ্জ্বল করতে চাইছে। সাত-আট জোড়া পা কাদা ভেঙে ভেঙে অন্ধকারে হেঁটে চলেছে। একজনের হাতের টর্চ বিদ্যুতের আভায় চিকচিক করে উঠছে। সুইচে চাপ দিতে যাওয়ার মুহূর্তে পশলা পশলা আলো এসে দূর পর্যন্ত দেখিয়ে দিয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে। ‘আইজ আর … বিস্তারিত পড়ুন

শায়লা কিংবা কাকের গল্প– আবরার আদিব

শায়লার যখন মাত্র চার বছর বয়স তখন থেকেই তার বউ সাজার খুব শখ। সুযোগ পেলেই মায়ের ওড়না হয়ে যায় শায়লার শাড়ি। মায়ের লিপস্টিক, আইলাইনার, কাজল চারিদিকে ছড়িয়ে বসে পড়তো সাজতে। মা দেখতে পেলেই বিপদ। বিকট চিৎকার দিয়ে উঠতো। শায়লা অবশ্য শক্ত মেয়ে সেও পাল্টা জবাব দিত, ‘কেন বউ সাজা কি দোষ? তুমি কি বিয়ে করনি?’ … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!