আর খিদে থাকার কথা না——সুশান্ত মজুমদার

হাড্ডি ঠাটে চামড়ার পাতলা খোসা প্যাঁচানো না থাকলে বুড়োকে কিছুতেই প্রাণী মনে হতো না। কোলবাঁকা এই কাঠোমোর চোয়াল চিমসে, মাতায় চুলের নামে আছে উস্কোখুস্কো আগাছা, দুই চোখের কোয়া ঘোলা, তক্ষকের পেটের মতো খরখরে ছবি মিলিয়ে বুড়োকে ইতর জন্তু বলেও শনাক্ত করা যায়। আশ্চর্য! বুড়োর সামর্থ্যের সব শাঁস ফুরালেও কানে সে কম শোনে না। আশপাশের সাড়াশব্দ, … বিস্তারিত পড়ুন

চিত্তরঞ্জন অথবা যযাতির বৃত্তান্ত————হরিশংকর জলদাস

‘খেয়াল করেছ?’ ‘কী?’ ‘ছেলেটা কেমন করে দিন দিন বদলে যাচ্ছে।’ চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছিলেন চিত্তরঞ্জনবাবু। স্ত্রীর কথায় চোখ তুলে তাকালেন। কিছুটা আন্দাজ করেছেন তিনি। তারপরও বললেন, ‘কার কথা বলছ?’ ‘তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে, ছেলে আমাদের ডজনখানেক।’ একটু করে হাসলেন সুপ্রভা দেবী। বললেন, ‘ছেলে তো আমাদের ওই একটাই, অর্ণব। তার কথাই তো বলছি তোমা…।’ মুখের … বিস্তারিত পড়ুন

চমক ——————রহম মাহবুব তালুকদার

চমক নামের মধ্যে একটা চমক আছে। নিজের নাম নিয়ে রীতিমতো গর্ব অনুভব করে সে। আজকাল সব লেখক নিজেরা নিজেদের নামকরণ করে থাকে। পিতৃপ্রদত্ত হাবীবুর রহমান ওসমানী বাদ দিয়ে এখন সে চমক রহম। রহম শব্দটা রহমানের শর্টকাট। রহমানকে কোনো কোনো কবি-লেখক রাহমান বা রেহমান করেছেন। কিন্তু রহম কথাটা রহমানের অপভ্রংশ হিসেবে বেটার। নতুন নাম নিয়ে একজন … বিস্তারিত পড়ুন

মায়ার প্রার্থনা———–নীহারুল ইসলাম

  রিয়া ক্লাস ফাইভে পড়ে। ওর দাদা বিভাস ক্লাস সেভেনে। বিভাস পোলিও আক্রান্ত। অবশ্য তার একটা হুইল চেয়ার আছে। যেবার দরগার স্কুলে ফাইভে ভর্তি হয়, স্কুল থেকে ওটা দিয়েছিল। ওটায় চড়ে দাদা স্কুলে যায়। সঙ্গে রিয়া নিজে থাকে। স্কুলের রাস্তাটা খুব খারাপ। তার ওপর গাড়িঘোড়ার ভিড়। গাড়িঘোড়া বলতে গরুগাড়ি-ঘোড়াগাড়ি নয়, মাটির বহা ট্রাক-ট্রাক্টর – আজকাল … বিস্তারিত পড়ুন

দেববশিশু———-ইমদাদুল হক মিলন

  এইটুকু ভুলের জন্য এত বড় মাসুল দিতে হবে কল্পনাও করেননি সাদেক সাহেব। তিনি কাজ করেন একটা পাবলিশিং হাউসে। নাম ‘ছাত্রবন্ধু প্রকাশন’। মূলত নোট গাইড প্রকাশ করে। এই লাইনে দেশের এক নম্বর প্রকাশনা। মালিকের নাম মশিউর রহমান। এখনো পঞ্চাশ হয়নি বয়স। তুখোড় তরুণ। ষোলো বছর আগে আমেরিকা থেকে পড়াশোনা শেষ করে এলেন। বিবিএ, এমবিএ দুটোই … বিস্তারিত পড়ুন

শুঁড়———রশীদ হায়দার

  গল্পটি বলার চেষ্টা করছি ১৯৫৩ সালের জুলাই থেকে। বহুবার লিখতে বসেছি, দশ-বারো লাইন, দেড় পাতা-দুপাতা লেখার পর মনে হয়েছে, ঘটনাটি যেভাবে ঘটেছে তা আসছে না, কিছুতেই আসছে না। ব্যর্থতায়, অসমর্থতায় নিজেকেই গালমন্দ করেছি, বড় বড় লেখক কীভাবে লেখেন বোঝার জন্য অনেক লেখা পড়েছি, এমনকি আমার নিজের লেখাও, যা একটু-আধটু প্রশংসা পেয়েছে, সেগুলোও পড়েছি, পড়ে … বিস্তারিত পড়ুন

শকুন——-

        ঐ যে আকাশে চক্কর কাটছে, ওগুলো কি শকুন? আসাদুল হক ভাবতে ভাবতে কখন প্রশ্নটা উচ্চারণ করে ফেলেন, নিজেও টের পান না। পাশের চেয়ারে বসে একটা পুরনো ম্যাগাজিনে চোখ বুলাচ্ছিলো আলী সুজা, সে চোখ তুলে তাকিয়ে ঘোঁৎ করে একটা শব্দ করে বলে, “ঢাকা শহরে শকুন আসবে কোত্থেকে?” আসাদুল হক নিজের ভাবনার উত্তর … বিস্তারিত পড়ুন

তাবিজনামা—রাশেদ রহমান

  আমাদের বয়স কম, গ্রামে কতকিছু ঘটে; দিনেও ঘটে, রাতেও ঘটে; আমরা ওসব দেখেও দেখি না, কানেও তুলি না। ওসব দেখার বা শোনার সময় কই আমাদের! আমরা সাঁঝবেলা মা কিংবা দাদির বকুনি খেয়ে ঘরে না-ফেরা পর্যন্ত, সারাদিনমান ভীষণ ব্যস্ত থাকি। ডাংগুলি খেলা, বনে-বাদাড়ে রাজঘুঘুর বাসা খুঁজে বেড়ানো কিংবা দিগম্বর               হয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়া; সাঁতার কেটে … বিস্তারিত পড়ুন

চোরের স্যান্ডেল————-বদরুন নাহার

  আবদুর সাত্তার আজ হাঁটতে পারছেন না। যদিও কোহিনূর পাবলিক লাইব্রেরি থেকে তিনি হেঁটেই বাড়ি ফেরেন। কিন্তু আজ তাঁর পায়ে বড় অস্বস্তি, এমনকি খানিকটা কুটকুটে অ্যালার্জি সমস্ত পায়ে জড়ো হয়েছে আর তাতে হাত নিশপিশ করে উঠলে হাতে ধরা বইটি পড়ে যায়, উবু হয়ে তা তোলার ফাঁকে ভাবেন খানিকটা পায়ে নোখের অাঁচড় বসিয়ে নেবেন কিন্তু পারলেন … বিস্তারিত পড়ুন

দিন ফাল্গুন সকালে — শামসুজ্জোহা মানিক

সেদিন ছিল ফাল্গুনের মিঠে রোদ মাখানো সকাল। সুজন সকালের সব কাজ শেষ করে একটা বই নিয়ে বসেছিল। এমন সময় রেখা এসে উপসি’ত হয়। রেখার সঙ্গে সুজনের পরিচয় তার এক বন্ধু হাসান সাহেবের বাসায়। হাসান সাহেবের বাসায় সুজন মাঝে মাঝে যায়। আর সেখানে গেলে অনেক সময় রেখার সঙ্গে তার দেখা হয়। হাসান সাহেব যে বাসায় থাকেন … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!