একদিন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

দামোদর নদের পাড়ে একখানি গৃহস্থবাড়ি। গৃহস্বামীর নাম বনমালী । গৃহিণীর নাম আরতি । বৈশাখের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে উঠছে দেখে উঠানে কাপড় তুলতে এল আরতি । হঠাৎ একবার নদীর ধারে চোখ গেল আরতির। নদীর পাড়ে কে একজন দাঁড়িয়ে রয়েছে। পোশাক-আশাকে শহুরে বাবু বলেই মনে হল। আরতি দৌড়ে স্বামীর কাছে চলে এল। উঠানের গাছপালায় পাগলা হাওয়ার শনশন … বিস্তারিত পড়ুন

হংপাল — অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম পর্ব

গল্পের ২য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ঝাউ-গাছের উপর থেকে খোঁড়া হাঁস ঠোঁটে করে রিদয়কে বাগদী-চরের থেকে একটু দূরে নালমুড়ির চরে নামিয়ে দিয়ে সারাদিন বুনো-হাঁসের দলের সঙ্গে শেয়ালকে নিয়ে ঝপ্পটি আর দাঁতকপাটি খেলে বেড়াচ্ছে। ক্রমে সন্ধ্যে হয়ে এল দেখে রিদয় ভাবছে, নিশ্চয়ই হাঁসেরা রাগ করে তাকে ফেলে গেছে, এখন কেমন করে সে বাড়ি যায়? আর … বিস্তারিত পড়ুন

হংপাল–অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় পর্ব

গল্পের ৩য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। ওদিকে মেঘনা, এদিকে পদ্মা – এই দুই নদী যেখানে মিলেছে, সেই কোণটিতে হল সুরেশ্বর মঠ। চারদিকে আম বাগান, জাম বাগান, ঠাকুরবাড়ি, অতিথিশালা, ভোগমন্দির, দোলমঞ্চ, আনন্দবাজার, রথতলা, নাটমন্দির, রন্ধনশালা, ফুলবাগান, গোহাল গোষ্ঠ, পঞ্চবটী, তুলসীমঞ্চ, রাসমঞ্চ, রামকুণ্ড, সীতাকুণ্ড, গোলকধাম, দেবদেবী স্থান – এমনি একটা পরগণা জুড়ে প্রকাণ্ড ব্যাপার! এরি এক … বিস্তারিত পড়ুন

হংপাল– অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর-৩য় পর্ব

গল্পের চতুর্থ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। তার এত শত্রু আছে শুনে রিদয় ভাবলে, বাঁচা তো তাহলে শক্ত দেখছি। সে চকাকে বললে – “মরতে ভয় নেই। তবে শেয়াল-কুকুরের কিংবা শকুনের খাবার হতে আমি রাজী নই। এদের হাত থেকে বাঁচবার উপায় কিছু আছে বলতে পার?”চকা একটু ভেবে বললে – “বনের যত ছোট পাখি আর জন্তু এদের … বিস্তারিত পড়ুন

রক্ত–২য় পর্ব- জুবায়ের হুসাইন

গল্পের ৩য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সলিম আলীর স্বাস্থ্য বেশ ভালো ছিল। এই তো মাত্র সেদিনের কথা, চওড়া বুকের ছাতি ছিল তার। হাত ও পায়ের পেশিগুলো ছিল তেমনি ফোলা ফোলা। আর চলার মধ্যেও ছিল একটা রাজকীয় স্টাইল। কিন্তু আজ আর চেহারার সেই জৌলুস নেই তার। শ্যামলা গায়ের বর্ণ কেমন কালচে হয়ে গেছে। কতদিন সেখানে … বিস্তারিত পড়ুন

রক্ত–৩য় পর্ব- জুবায়ের হুসাইন

গল্পের শেষ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। মৌরি বানু ছেলেকে নিয়ে দারুণ বিপদে পড়লেন। ছেলের জন্যই বাপের বাড়ির সাথে একরকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল তার। তারপরও ছুটে গেলেন তিনি। বড় ভাই বেশ সহযোগিতাও করলেন। কিন্তু তাতে আর কয়দিন চলে! ফলে পরের বাড়িতে ঝুটা ঝিয়ের কাজে লেগে গেলেন তিনি। একদিন ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে হাজির। তাকে … বিস্তারিত পড়ুন

রক্ত –শেষ পর্ব-জুবায়ের হুসাইন

গল্পের ১ম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। মৌরি বানু এখন বাকহারা। মুখে কিছুই বলতে পারেন না। কেবল ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকেন। আর বুক ফাটিয়ে ‘খক খক’ করে কাশেন। সলিম আলী সোজা বাড়ি চলে আসেন। আজ তার মনে নতুন একটা ভয় দানা বেঁধেছে। দু’দিন ধরে তার কফের সাথে রক্ত উঠছে। আর মা তো সেই কবে ধরে … বিস্তারিত পড়ুন

পাখির বাসা–পঙ্কর বেরা

পিছনের দিকে আমগাছে বেশ কয়েকদিন ধরে গোপলা লক্ষ্য করেছে টিয়া পাখি বাসা    করেছে । আমগাছটা তাদের নয় । এখন প্রায় শীত কমে আসছে । আমে বকুলও আসে নি ।  বাসায় টিয়া ডিম পেড়েছে কি না  ,না উঠলে জানা যাবে না । গোপলা এর আগে গাছে ওঠার চেষ্টা করেছে তাতে হাবু , পেলা ,মৌ , তাপা এমন হেসেছিল যেন মনে হয় গোপলার  গাছে … বিস্তারিত পড়ুন

হরিপুরের হরেক কান্ড–ষোড়তম পর্ব-শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

গল্পের সপ্তদশ তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। জগা বলল, “তখন থেকে জুতো-জুতো করে চেঁচিয়ে মরছে দ্যাখো! কেমন চোর তুমি যে জুতো খুলে চুরি করতে ঢোকো? চুরি তো আর পুজো আচ্চা নয় যে জুতো খুলতে হবে!” “তু দো দিনক ছোকরা, তু কুছু জানিস না। হামারা নাগরা জুতির এইসান আওয়াজ হয় কি মুর্দা ভি উঠকে বৈঠেগা, … বিস্তারিত পড়ুন

হরিপুরের হরেক কান্ড –সপ্তদশ পর্ব -শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

গল্পের অষ্টদশ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। বহুকাল এমন খাবার খায়নি দুজনে। সরে ভরা ঘন দুধ, মর্তমান কলা, বাতাসা আর চিড়ে যে কী অমৃত তা বলে শেষ করা যায় না। শীতলালক্ষ্মী একেবারে মুক্তহস্ত হয়ে খাওয়াচ্ছেন। ফলে দুজনেরই দেদার খেয়ে পেট একেবারে টাই টাই হয়ে গেল। শীতলালক্ষ্মী দুঃখ করে বললেন, আহা রে বাছারা, কতকাল বুঝি পেট … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!