কুড়িয়ে পাওয়া ভালোবাসা— মাটির মানুষ মিজান

আমি এখন চায়ের দোকানে বসে চা খাইতেছি, হঠাৎ মনে হল চায়ের দোকান থেকে একটা গানের আওয়াজ শুনতে পেলাম আওয়াজটা হচ্ছে পুরুনো সেই কথা মনে পরে যায়, বন্ধ তুমি কি আসবে প্রিয়, আজও তোমায় অপেক্ষায় আছি দাড়িয়ে তুমি কি আসবে ফিরে। আমার জীবনের একটা ঘটনা মনে পরে গেল। আমার একটা স্বরনীয় ঘটনা আপনাদের এখন বলব, সবে … Read more

টোপ–নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-অষ্টম পর্ব

গল্পের শেষ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। মাতৃহীন ছেলেমেয়েগুলো সারাদিন হুটোপুটি করে ডাকবাংলোর সামনে। রাজাবাহাদুর বেশ অনুগ্রহের চোখে দেখেন ওদের। তেতলার জানলা থেকে পয়সা রুটি কিংবা বিস্কুট ছুঁড়ে দেন, নিচে ওরা সেগুলো নিয়ে কুকুরের মতো লোফালুফি করে। রাজাবাহাদুর তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেন সকৌতুকে। আজও ছেলেমেয়েগুলো হুল্লোড় করে তাঁর চারপাশে এসে ঘিরে দাঁড়ালো। বলল—হুজুর, সেলাম।–রাজাবাহাদুর পকেটে হাত … Read more

টোপ–নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-শেষ পর্ব

গল্পের ১ম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। —একটু পরে বুঝবেন। এখন চুপ করুন। এবারে স্পষ্ট ধমক দিলেন আমাকে। মুখ দিয়ে ভক ভক করে হুইস্কির তীব্র গন্ধ বেরুচ্ছে। রাজাবাহাদুর প্রকৃতস্থ নেই। আর কিছুই বুঝতে পারছি না আমি। আমার ভেতর সব যেন গণ্ডগোল হয়ে গেছে। একটা দুর্বোধ্য নাটকের নির্বাক দ্রষ্টার মতো রাজাবাহাদুরের পাশের চেয়ারটিতে আসন নিলাম আমি। … Read more

টোপ–নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-পঞ্চম পর্ব

গল্পের ষষ্ঠ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। —হুঃ, গুড কন্ডাকটরের প্রাইজ পাওয়া ছেলে। রাজাবাহাদুরের সুরে অনুকম্পার আভাস : আমি কিন্তু চৌদ্দ বছর বয়সেই প্রথম ড্রিঙ্ক ধরি। রাজা-রাজড়ার ব্যাপার—সবই অলৌকিক। জন্মাবার সঙ্গে সঙ্গেই কেউটের বাচ্চা। সুতরাং মন্তব্য অনাবশ্যক। ট্রে বারবার যাতাযায়াত করতে লাগল : রাজাবাহাদুরের প্রখর উজ্জ্বল্ চোখ দুটো ঘোলাটে হয়ে এল ক্রমশ, ফর্সা লাল গোলাপী … Read more

টোপ–নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-ষষ্ঠ পর্ব

গল্পের সপ্তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। কিন্তু জঙ্গলের সেই আশ্চর্য স্তব্ধতা। অরণ্য যেন আজ রাত্রে বিশ্রাম করছে, একটি রাত্রের জন্যে ক্লান্ত হয়ে জানোয়ারগুলো ঘুমিয়ে পড়েছে খাদের ভেতরে, ঝোপের আড়ালে। কেটে চলেছে মন্থর সময়। রাজাবাহাদুরের হাতের রেডিয়াম ডায়াল ঘড়িটা একটা সবুজ চোখের মতো জ্বলছে, রাত দেড়টা পেরিয়ে গেছে। ক্রমশ উসখুস করছেন উৎকীর্ণ রাজাবাহাদুর। —নাঃ হোপলেস। … Read more

টোপ–নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-সপ্তম পর্ব

গল্পের অষ্টম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। তারপরই চমক ভাঙ্গে আমার। তাকিয়ে দেখি ঠোঁটের কোণে ম্যানিলা চুরুট পুড়ছে। অস্থির চঞ্চল পায়ে রাজাবাহাদুর ঘরের ভেতর পায়চারি করছেন। চোখেমুখে একটা চাপা আ—ঠোঁটদুটোর নিষ্ঠুর কঠিনতা। কখনো ভোজালি তুলে নিয়ে নিজের হাতের ওপরে ফলাটা রেখে পরীক্ষা করেন সেটার ধার। আবার কখনো বা জানালার সামনে খানিকক্ষণ স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন … Read more

অদৃশ্য আশা– মাটির মানুষ মিজান

  একটাই ভাল শার্ট আমার।ইস্ত্রি করে পড়লে খুব একটা খারাপ দেখায় না।মুখে কিছু না দিয়েই চাকুরির ইন্টারভিউ দিতে চললাম।পকেটে খুচরা খাচড়া মিলে আছে ৫০ টাকা।কাল ফোন দিয়েছিলাম বন্ধু রিয়াদ কে।১০০ টা টাকা ধার চেয়েছিলাম।কিন্তু বলল তার কাছে নেই।যাক বন্ধু মানুষ মিথ্যা হয়ত বলে নি। এই বাস, টেম্পুতে ধাক্কাধাক্কি মারামারি করে শেষ পর্যন্ত ইন্টারভিউ হলে পৌছালাম।আজকাল … Read more

টোপ–নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-১ম পর্ব

গল্পের ২য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। সকালে একটা পার্সেল এসে পৌঁছেছে। খুলে দেখি একজোড়া জুতো। না, শত্রুপক্ষের কাজ নয়। একজোড়া জুতো পাঠিয়ে আমার সঙ্গে রসিকতার চেষ্টাও করেনি কেউ। চমৎকার ঝকঝকে বাঘের চামড়ার নতুন চটি। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়, পায়ে দিতে লজ্জা বোধ হয় দস্তুরমতো। ইচ্ছে করে বিছানাইয় শুইয়ে রাখি। কিন্তু জুতোজোড়া পাঠালো কে? কোথাও … Read more

টোপ–নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-২য় পর্ব

গল্পের ৩য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। পথের দুপাশে তখন নতুন একটা জগতের ছবি। সবুজ শালবনের আড়ালে আড়ালে চা-বাগানের বিস্তার, চকচকে উজ্জ্বলে পাতার শান্ত, শ্যামল সমুদ্র। দূরে আকাশের গায়ে কালো পাহাড়ের রেখা। ক্রমশঃ চা-বাগান শেষ হয়ে এল, পথের দুপাশে ঘন হয়ে দেখা দিতে লাগল অবিচ্ছিন্ন শালবন। একজন আর্দালি জানাল হুজুর, ফরেস্ট এসে পড়েছে। ফরেস্টই বটে।পথের … Read more

টোপ–নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-৩য় পর্ব

গল্পের চতুর্থ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। আশ্চর্য এই জঙ্গলের ভেতরেও এত নিখুঁত আয়োজন। এমন একটা বাথরুমে জীবনে আমি স্নান করি নি। ব্রাকেটে তিন চারখানা সদ্য পাট ভাঙ্গা নতুন তোয়ালে, তিনটে দামি সোপ কেসে তিন রকমের নতুন সাবান, র্যাকে দামি দামি তেল, লাইমজুস। অতিকায় বাথটাব—ওপরের ঝাঁজরির। নিচে টিউবোয়েল থেকে পাম্প করে এখানে ধারাস্নানের ব্যবস্থা। একেবারে … Read more

দুঃখিত!