সীমাহীন বন্ধুত্ব | ইব্রাহিম নোমান

স্কুলে তো তোমাদের অনেক বন্ধু। বাবা-মার মতো বাসায়ও আছে কাছের কিছু বন্ধু। এদের সঙ্গে তোমরা প্রায় নিয়মিতই মেলামেশা কর। তারপরও তোমার প্রিয় বন্ধুদের জন্য ৩৬৫ দিনের মধ্যে আছে আলাদা একটি দিন। আলাদা এই দিনটি হচ্ছে ‘বন্ধু দিবস’। যে দিনে বন্ধুদের সঙ্গে তোমরা মিশে যেতে পার আপন মনে। প্রিয় বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে পার সুন্দর সব জায়গায়। … বিস্তারিত পড়ুন

দেনাপাওনা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম অংশ

পাঁচ ছেলের পর যখন এক কন্যা জন্মিল তখন বাপমায়ে অনেক আদর করিয়া তাহার নাম রাখিল নিরুপমা । এ গোষ্ঠীতে এমন শৌখিন নাম ইতিপূর্বে কখনো শোনা যায় নাই । প্রায় ঠাকুরদেবতার নামই প্রচলিত ছিল — গণেশ কার্তিক পার্বতী তাহার উদাহরণ । এখন নিরুপমার বিবাহের প্রস্তাব চলিতেছে । তাহার পিতা রামসুন্দর মিত্র অনেক খোঁজ করেন কিন্তু পাত্র … বিস্তারিত পড়ুন

দেনাপাওনা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় অংশ

রায়বাহাদুর ঘরে নাই , কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিতে হইবে । মনের উচ্ছ্বাস সংবরণ করিতে না পারিয়া রামসুন্দর কন্যার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন । আনন্দে দুই চোখ দিয়া জল পড়িতে লাগিল । বাপও কাঁদে, মেয়েও কাঁদে ; দুইজনে কেহ আর কথা কহিতে পারে না । এমন করিয়া কিছুক্ষণ গেল । তার পরে রামসুন্দর কহিলেন , “ এবার তোকে … বিস্তারিত পড়ুন

নিশীথে-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম অংশ

“ডাক্তার! ডাক্তার! ” জ্বালাতন করিল। এই অর্ধেক রাত্রে— চোখ মেলিয়া দেখি আমাদের জমিদার দক্ষিণাচরণবাবু। ধড়্ফ্ড় করিয়া উঠিয়া পিঠভাঙা চৌকিটা টানিয়া আনিয়া তাঁহাকে বসিতে দিলাম এবং উদ্‌বিগ্নভাবে তাঁহার মুখের দিকে চাহিলাম। ঘড়িতে দেখি, তখন রাত্রি আড়াইটা। দক্ষিণাচরণবাবু বিবর্ণমুখে বিস্ফারিত নেত্রে কহিলেন, “আজ রাত্রে আবার সেইরূপ উপদ্রব আরম্ভ হইয়াছে— তোমার ঔষধ কোনো কাজে লাগিল না।” আমি কিঞ্চিৎ … বিস্তারিত পড়ুন

নিশীথে-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় অংশ

গম্ভীরভাবে তাঁহার নিকট কবিত্ব ফলাইতে যাইতাম তিনি এমন সুগভীর স্নেহ অথচ অনিবার্য কৌতুকের সহিত হাসিয়া উঠিতেন। আমার নিজের অগোচর অন্তরের কথাও অন্তর্যামীর ন্যায় তিনি সমস্তই জানিতেন এ কথা মনে করিলে আজও লজ্জায় মরিয়া যাইতে ইচ্ছা করে। হারান ডাক্তার আমাদের স্বজাতীয়। তাঁহার বাড়িতে আমার প্রায়ই নিমন্ত্রণ থাকিত। কিছুদিন যাতায়াতের পর ডাক্তার তাঁহার মেয়েটির সঙ্গে আমার পরিচয় … বিস্তারিত পড়ুন

ঠাকুরদা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম পরিচ্ছেদ

নয়নজোড়ের জমিদারেরা এককালে বাবু বলিয়া বিশেষ বিখ্যাত ছিলেন। তখনকার কালের বাবুয়ানার আদর্শ বড়ো সহজ ছিল না। এখন যেমন রাজা-রায়বাহাদুর খেতাব অর্জন করিতে অনেক খানা নাচ ঘোড়দৌড় এবং সেলাম-সুপারিশের শ্রাদ্ধ করিতে হয়, তখনো সাধারণের নিকট হইতে বাবু উপাধি লাভ করিতে বিস্তর দুঃসাধ্য তপশ্চরণ করিতে হইত। আমাদের নয়নজোড়ের বাবুরা পাড় ছিঁড়িয়া ফেলিয়া ঢাকাই কাপড় পরিতেন, কারণ পাড়ের … বিস্তারিত পড়ুন

ঠাকুরদা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় পরিচ্ছেদ

নিজের অতীত মনোভাব বিশ্লেষণ করিয়া যতটা মনে পড়ে তাহাতে বোধ করি, কৈলাসবাবুর প্রতি আমার আন্তরিক বিদ্বেষের আর-একটি গূঢ় কারণ ছিল। তাহা একটু বিবৃত করিয়া বলা আবশ্যক। আমি বড়োমানুষের ছেলে হইয়াও যথাকালে এম. এ. পাস করিয়াছি, যৌবন সত্ত্বেও কোনোপ্রকার কুসংসর্গ কুৎসিত-আমোদে যোগ দিই নাই, এবং অভিভাবকদের মৃত্যুর পরে স্বয়ং কর্তা হইয়াও আমার স্বভাবের কোনোপ্রকার বিকৃতি উপস্থিত … বিস্তারিত পড়ুন

খানিকটা তামার তার-১ম অংশ

মানিক চেঁচিয়ে পড়ছিল খবরের কাগজ শ্রোতা হচ্ছে জয়ন্ত। সে চোখ বুজে ইজিচেয়ারে শুয়ে আছে। তার মুখে বিরক্তির লক্ষণ । কোন খবরে নূতনত্ব নেই। খুনীরা খুন করছে সেই পুরাতন উপায়ে। চোররাও চুরি করবার নূতন পথ আবিষ্কার করতে পারছে না। সাধু এবং অসাধু সব মানুষই হচ্ছে একই বাঁধা পথের পথিক। মানিক একটা নূতন খবর পড়ছে : ‘ … বিস্তারিত পড়ুন

খানিকটা তামার তার-২য় অংশ

তাড়াতাড়ি জানালা বন্ধ করতে গিয়ে মানিকের চোখে পড়ল আর এক দৃশ্য। অমরবাবুর বাড়ির সামনে গ্যাস-পোস্টের উপরে একটা মূর্তি। পরমুহূর্তে মূর্তিটি ঝাঁপ খেল মাটির উপরে । গ্যাসের আলোকে চিনতে বিলম্ব হল না। জয়ন্ত । মানিক হতভম্বের মত দাঁড়িয়ে আছে, জয়ন্ত আবার এসে দাঁড়ালো ঘরের ভিতরে । তার হাসি-হাসি মুখ। ‘ এসব কী জয়ন্ত, তুমি চোরের মত … বিস্তারিত পড়ুন

অদ্ভুত হত্যা-রজনীচন্দ্র দত্ত-১ম অংশ

কৃত্রিম মুদ্রা প্রস্তুত করিবার অপরাধে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তির সম্বন্ধে বিশেষ অনুসন্ধানের নিমিত্তে আমাকে ময়মনসিংহ অঞ্চলে যাইতে হইয়াছিল। প্রায় সপ্তাহকাল সেখানে সে মোকদ্দমার যথাসম্ভব প্রমাণাদি সংগ্রহ করিয়া গোয়ালনন্দ-ট্রেনে রাত্রে কলিকাতা প্রত্যাবর্তন করি। পরদিন প্রাতঃকালে কাগজপত্র গুছাইয়া রিপোর্টাদি লিখিয়া নিজের প্রয়োজন বশতঃ জনৈক বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত্ করিতে যাইবার উদ্যোগ করিতেছি, এমন সময়ে একজন কনেস্টবল যথারীতি লম্বা সেলাম … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!