উত্তোলিত তলোয়ার কোষবদ্ধ হলো—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

যুদ্ধের এক ময়দান। মুসলমানদের সাথে কাফিরদের ভীষণ যুদ্ধ চলছে। হযরত আলী (রা) জনৈক বিপুল বলশালী শত্রুর সাথেঞ যুদ্ধে মত্ত রয়েছেন। বহুক্ষণ যুদ্ধ চলার পর তাকে কাবু করে ভূপাপিত করলেন এবং তাকে আঘাত হানার জন্য তাঁর জুলফিকার উর্ধে উত্তোলন করলেন। কিন্তু আঘাত হানার আগেই ভুপাতিত শত্রুটি তাঁর চেহারা মুবারকে থুথু নিক্ষেপ করলো। ক্রোধে হযরত আলীর চেহারা … বিস্তারিত পড়ুন

মুরতাদ প্রশ্নে আবুবকরের দৃঢ়তা’—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

ভন্ড মহিলা নবী সাজাহ- এর মিত্র ও সাহায্যকারী মালিক ইবনে নুয়াইরা মুসলিম সেনাধ্যক্ষ খলীফাদের হাতে যুদ্ধে পরাজিত ও বন্দী হলেন। মালিক ইবনে নুয়াইরা যাকাত দেয়া বন্ধ করেছিল। অনেকের মতে মাগরিব ও এশার নামায পড়া বন্ধ করে দিয়েছিল সে। সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে হযরত খালিদ মালিককে সাহাবী হযরত যিরার ইবনে আওয়ার (রাঃ) এর দায়িত্বে সোপর্দ করেছিলেন। পরে সে … বিস্তারিত পড়ুন

আপনি আচরি ধর্ম অপরে শিখাও—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

হযরত উমার (রা) তখন খলীফা। খলীফা উমার (রা) এর বাড়ী থেকে বেশ কিছু দূরে একটি পনির কুপ। খলীফা উমার (রা) এর বাড়ী থেকে বেশ কিছু দূরে একটি পানির কুপ। খলীফার সাক্ষাতপ্রার্থী একজন লোক দেখলেন, খলীফা কূপ থেকে পানি তুলঠেন। শুধু পানি তোলা নয় আগন্তুক বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলেন, পৃথিবীর শাসক উমার, পারস্য ও রোম সাম্রাজ্য … বিস্তারিত পড়ুন

উমারের (রা) ছেলের কান্না—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

মক্তব থেকে এসে খলীফা উমারের ছেলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। উমার (রা) তাকে টেনে জিজ্ঞাসা করলেন, কাঁদছ কেন বৎস? ছেলে উত্তর দিল, “সবাই আমাকে টিটকারী দেয়।” বলে, “দেখনা জামার ছিরি, চৌদ্দ জায়গায় তালি। বাপ নাকি আবার মুসলিম জাহানের শাসনকর্তা।” বলে ছেলেটি তার কান্নার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিল। ছেলে কথা শুনে উমার (রা) ভাবলেন কিছুক্ষন।তারপর বাইতুল মা’লের … বিস্তারিত পড়ুন

নীতিই উর্ধে স্থান পেলো —আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

মক্কার কিছু দূরে হুদাইবিয়া গ্রাম। বিরাট এক বৈঠক বসেছে। বৈঠকে রয়েছেন মহানবী (সা) এবং উল্লেখযোগ্য সব সাহাবি। মুশরিক কুরাইশদের পক্ষ থেকে রয়েছে কয়েকজন প্রভাবশালী সরদার। হুদাইবিয়ার শর্তাবলী চুড়ান্ত হয়েছে। কিন্তু তখনও লিখা শুরু হয়নি। এমন সময় মক্কা থেকে আবু জান্দাল এসে সেখানে হাজির হলো। তার হাতে পায়ে শিকল। সারা গায়ে তার নির্যাতনের চিহ্ন। মুসলমান হওয়ার … বিস্তারিত পড়ুন

পরাজিত হুনাইনের বিজয়ের ডাকঃ—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

মক্কা ও মদীনার মধ্যবর্তী হুমাইমের পার্বত্য অঞ্চল আওতাস। আরবের বিখ্যাত হাওয়াযেন ও সাকিফ গোত্র তাদের অন্যান্য মিত্রসহ বিরাট এক বাহিনী নিয়ে সেখানে এসে শিবির গেড়েছে। তারা চায়, মক্কা জয়ী ইসলামী শক্তির উপরে শেষ এবং চূড়ান্ত আঘাত হানতে। তারা সাথে করে নিয়ে এসেছে তাদের নারী, শিশু এবং বৃদ্ধদেরকেও। উদ্দেশ্য, এদের বিপদ ও ভবিষ্যত চিন্তা করে যাতে … বিস্তারিত পড়ুন

জিরানা শিবিরের বন্দী মুক্তি—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

তায়েফের সন্নিকটবর্তী জিরানা লোকালয়। হুনাইন যুদ্ধের ছ’হাজার বন্দী এখনও জিরানার মুসলিম শিবিরে বন্দী। তায়েফের অবরোধ শেষ করে মহানবী (সাঃ) ফিরে এলেন জিরানার শিবিরে। জিরানায় যারা বন্দী ছিল সবাই হওয়াযেন গোত্রের লোক। হাওয়াযেন গোত্রের একটি শাখা বনু সা’দ। এই বনু সা’দ মহানবীর (সাঃ) দুধমাতা হালিমার কবিলা। এদের সাথেই হেসে-খেলে মহানবীর (সাঃ) শিশুকালের ৫টি বছর কেটেছে।বনু সা’দ … বিস্তারিত পড়ুন

মূতার রণাংগনে আত্মত্যাগ—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

মুতার যুদ্ধ ক্ষেত্র। রিরিয়ার রোমক শাসক শুরাহবীলের নেতৃত্বে এক লক্ষ রোমক সৈন্য দণ্ডয়মান। যুদ্ধক্ষেত্রে এক লক্ষ সৈন্যের বিরুদ্ধে তিন হাজার মুসলিম মুজাহিদ দাঁড়িয়ে। মুসলিম বাহিনীর নেতৃত্ব করছেন যায়েদ ইবন হারেসা। ঘোরতর যুদ্ধ শুরু হলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেনাপতি যায়েদগ শহীদ হলেন। মহানবীর (সা) পূর্ব নির্দেশ অনুযায়ী সৈন্য পরিচালনার ভার গ্রহণ করলেন জাফর ইবন আবী তালিব। এক … বিস্তারিত পড়ুন

জিহাদ থেকে বিরত রাখার জন্য আয়াত নাযিল করতে হলো—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

৬৩৫ সাল। নভেম্বর মাস। আরবে তখন ভীষণ দুর্ভিক্ষ। তার উপরে অবিশ্বাস্য রকমের গরম। বালুময় দেশ আরব। এই বালুর উপরই নামছে আগুনঝরা রৌদ্র। মরুভূমি-প্রান্তের শীর্ণ গাছগুলো ঝলসে যাচ্ছে। একদিকে দুর্ভিক্ষ, অন্যদিকে অসহ্য গরম, এই দুইয়ে মিলে গোটা আরবে একটা অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। এমনি সময়ে এক চাঞ্চল্যকর সংবাদ এল মদীনায়। মারাত্মক সংবাদ। সিরিয়া থেকে সদ্য ফিরে … বিস্তারিত পড়ুন

মহানবীর (সা) দূত মাথাঃয় এক টুকুর মাটি নিয়ে ফিরলেন—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

পারস্য সম্রাট খসরু তখন সিংহাসনে সমাসীন। তাঁর প্রতাপে চারদিক প্রকম্পিত। ভান্ডারে তাঁর অফুরন্ত হীরা, জহরত, মুনমুক্তা। গর্বিত সম্রাট ভাবেন, তাঁর সম্রাজ্য যেমন অজয় অক্ষয়, তেমনি তাঁর সম্পদের কোন শেষ নেই। এই সম্রাট খসরুর কাছেই গেলেন রাসূলুল্লাহ (সা) সম্রাট খসরুকে আহবান জানিয়েছিলেন সত্যের দিকে। সম্রাট খসরু মহানবীর সে চিঠি পাঠ করলেন। পাঠ করে ক্রোধে ফেটে পড়লেন। … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!