রাজর্ষি –দ্বাদশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন তাহার পরদিন যখন জয়সিংহ মন্দিরে ফিরিয়া আসিলেন, তখন পূজার সময় অতীত হইয়া গিয়াছে। রঘুপতি বিমর্ষ মুখে একাকী বসিয়া আছেন। ইহার পূর্বে কখনো এরূপ অনিয়ম হয় নাই। জয়সিংহ আসিয়া গুরুর কাছে না গিয়া তাঁহার বাগানের মধ্যে গেলেন। তাঁহার গাছপালাগুলির মধ্যে গিয়া বসিলেন। তাহারা তাঁহার চারি দিকে কাঁপিতে লাগিল, নড়িতে … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের চতুর্দশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   মন্দিরে অনেক লোক জমা হইয়াছে। খুব কোলাহল উঠিয়াছে। রঘুপতি রুক্ষস্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমরা কী করিতে আসিয়াছ ?” তাহারা নানা কণ্ঠে বলিয়া উঠিল, “আমরা ঠাকরুন-দর্শন করতে আসিয়াছি।” রঘুপতি বলিয়া উঠিলেন, “ঠাকরুন কোথায়! ঠাকরুন এ রাজ্য থেকে চলে গেছেন। তোরা ঠাকরুনকে রাখতে পারলি কই ? তিনি চলে গেছেন।” ভারি … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –চতুর্দশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন তাহার পরদিন ২৯শে আষাঢ়। আজ রাত্রে চতুর্দশ দেবতার পূজা। আজ প্রভাতে তালবনের আড়ালে সূর্য যখন উঠিতেছে, তখন পূর্ব দিকে মেঘ নাই। কনককিরণপ্লাবিত আনন্দময় কাননের মধ্যে গিয়া জয়সিংহ যখন বসিলেন তখন তাঁহার পুরাতন স্মৃতি-সকল মনে উঠিতে লাগিল। এই বনের মধ্যে এই পাষাণমন্দিরের পাষাণসোপানাবলীর মধ্যে, এই গোমতীতীরে সেই বৃহৎ বটের … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের ষোড়শ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন চতুর্দশী তিথি। মেঘও করিয়াছে, চাঁদও উঠিয়াছে। আকাশের কোথাও আলো কোথাও অন্ধকার। কখনো চাঁদ বাহির হইতেছে, কখনো চাঁদ লুকাইতেছে। গোমতীতীরের অরণ্যগুলি চাঁদের দিকে চাহিয়া তাহাদের গভীর অন্ধকাররাশির মর্মভেদ করিয়া মাঝে মাঝে নিশ্বাস ফেলিতেছে। আজ রাত্রে পথে লোক বাহির হওয়া নিষেধ। রাত্রে পথে লোক কেই-বা বাহির হয়। কিন্তু নিষেধ আছে … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –ষোড়শ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের সপ্তদশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন রাজার আদেশমত প্রজাদের অসন্তোষের কারণ অনুসন্ধানের জন্য নক্ষত্ররায় স্বয়ং প্রাতঃকালে বাহির হইয়াছেন। তাঁহার ভাবনা হইতে লাগিল, মন্দিরে কী করিয়া যাই। রঘুপতির সম্মুখে পড়িলে তিনি কেমন অস্থির হইয়া পড়েন, আত্মসংবরণ করিতে পারেন না। রঘুপতির সম্মুখে পড়িতে তাঁহার সম্পূর্ণ অনিচ্ছা। এইজন্য তিনি স্থির করিয়াছেন, রঘুপতির দৃষ্টি এড়াইয়া গোপনে জয়সিংহের কক্ষে … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –সপ্তদশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সেইদিন সন্ধ্যাবেলায় নক্ষত্ররায়কে দেখিয়া ধ্রুব “কাকা” বলিয়া ছুটিয়া আসিল, দুটি ছোটো হাতে তাঁহার গলা জড়াইয়া তাঁহার কপোলে কপোল দিয়া মুখের কাছে মুখ রাখিল। চুপি চুপি বলিল, “কাকা।” নক্ষত্র কহিলেন, “ছি, ও কথা বোলো না, আমি তোমার কাকা না।” ধ্রুব তাঁহাকে এতকাল বরাবর কাকা বলিয়া আসিতেছিল, আজ সহসা বারণ … বিস্তারিত পড়ুন

ভূত ধরলেন বিনোদবিহারী — উল্লাস মল্লিক-২য় পর্ব

গল্পের ৩য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। তারপর চারশো পঞ্চাশ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি ছোটালেন অমৃতসরের দিকে। হার্ট-ব্যাঙ্কের পার্কিং জোনে গাড়ি পার্ক করে একটু এগোতেই প্রোফেসর গোবিন্দলাল বর্মনের সঙ্গে দেখা। গোবিন্দলাল বর্মনের ওপর ভোঁদড়ের দায়িত্ব ছিল। যত দূর জানেন বিনোদবিহারী, গোবিন্দলাল লুপ্তপ্রায় বাংলাদেশি ভোঁদড় জোগাড় করে ফেলেছেন। নিউজ চ্যানেলগুলোতে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছিল সংবাদটা। কারণ … বিস্তারিত পড়ুন

মালঞ্চ –প্রথম পর্ব– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের দ্বিতীয় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন পিঠের দিকে বালিশগুলো উঁচু-করা। নীরজা আধ-শোওয়া পড়ে আছে রোগশয্যায়। পায়ের উপরে সাদা রেশমের চাদর টানা, যেন তৃতীয়ার ফিকে জ্যোৎস্না হালকা মেঘের তলায়। ফ্যাকাশে তার শাঁখের মতো রঙ, ঢিলে হয়ে পড়েছে চুড়ি, রোগা হাতে নীল শিরার রেখা, ঘনপক্ষ্ম চোখের পল্লবে লেগেছে রোগের কালিমা। মেঝে সাদা মার‌্‌বেলে বাঁধানো, দেয়ালে রামকৃষ্ণ … বিস্তারিত পড়ুন

মালঞ্চ –দ্বিতীয় পর্ব– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের তৃতীয় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   নীরজা ডাকল, “রোশনি!” আয়া এল ঘরে। প্রৌঢ়া, কাঁচা-পাকা চুল, শক্ত হাতে মোটা পিতলের কঙ্কণ, ঘাঘরার উপরে ওড়না। মাংসবিরল দেহের ভঙ্গিতে ও শুষ্ক মুখের ভাবে একটা চিরস্থায়ী কঠিনতা। যেন ওর আদালতে এদের সংসারের প্রতিকূলে ও রায় দিতে বসেছে। মানুষ করেছে নীরজাকে, সমস্ত দরদ তার ’পরেই। তার কাছাকাছি যারা … বিস্তারিত পড়ুন

ভূত ধরলেন বিনোদবিহারী — উল্লাস মল্লিক-৩য় পর্ব

গল্পের শেষ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। ক’দিন আগেই তো, রান্নাঘরে খুটুর-খুটুর শব্দ শুনে বড় মাসিমা উঁকি দিয়ে দেখেন, কালোমতো কেউ একটা উবু হয়ে বসে মাছভাজা খাচ্ছে। চোরছাঁচড় হবে ভেবে বড় মাসিমা ‘চোর-চোর চিৎকার করে উঠলেন। সেই চিৎকার শুনে ভূতটা এত ঘাবড়ে গেল যে, বলার নয়। সোজা বড় মাসিমার পা জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!