পন্ডিতমশাই—দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ– শরৎ রচনাবলী

তৃতীয় পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সেদিন কুঞ্জ ভগিনীর কাছে বৃন্দাবনের সাংসারিক পরিচয় দিবার সময় অত্যুক্তি মাত্র করে নাই। সত্যই তাহাদের গৃহে লক্ষ্মী উথলিয়া পড়িতেছিল; অথচ সেজন্য কাহারও অহঙ্কার অভিমান কিছুই ছিল না। এ গ্রামে বিদ্যালয় ছিল না। বৃন্দাবন ছেলেবেলায় নিজের চেষ্টায় বাংলা লেখাপড়া শেখে এবং তখন হইতেই একটা পাঠশালা খুলিবার সঙ্কল্প করে। কিন্তু তাহার … বিস্তারিত পড়ুন

পন্ডিতমশাই—তৃতীয় পরিচ্ছেদ– শরৎ রচনাবলী

চতুর্থ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সেদিন সন্ধ্যার পূর্বে বাটী ফিরিবার সময় বৃন্দাবনের জননী কুসুমকে কাছে ডাকিয়া অশ্রু-গদ্গদকন্ঠে বলিলেন, বৌমা, কি আনন্দে যে সারাদিন কাটালুম, তা মুখে বলতে পারিনে। সুখী হও মা! বলিয়া তিনি অঞ্চলের ভিতর হইতে একজোড়া সোনার বালা বাহির করিয়া স্বহস্তে তাহার হাতে পরাইয়া দিলেন। আজিকার সমস্ত আয়োজন কুসুম গোপনে বৃন্দাবনের সাহায্যে নির্বাহ … বিস্তারিত পড়ুন

আমার কথাটি ফুরোলো–১ম পর্ব

গল্পের ২য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। একটি ছেলে ছিল।রূপে যেন রাজপুত্ত্বর। মা আদর করে নাম রেখেছিলেন রাজকুমার। ছেলেটি এই পনরো-ষোলো বছর বয়সেই বেশ জোয়ান হয়ে উঠেছে। লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে তার বাবার কাছে শিখেছে ঘোড়ায় চড়া, তলোয়ার চালনা, তীর ধনুক লক্ষ্যভেদ, দ্বন্দ্বযুদ্ধ প্রভৃতি সব রকম রণকৌশল ও যুদ্ধবিদ্যা। কারণ, ছেলেটির বাবা ছিলেন এক রাজ্যের … বিস্তারিত পড়ুন

পন্ডিতমশাই—চতুর্থ পরিচ্ছেদ — শরৎ রচনাবলী

পঞ্চম পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন কুঞ্জনাথের বিবাহের কথা, দেনা-পাওনার কথা, খাওয়ান-দাওয়ানর কথা সমস্তই প্রায় স্থির করিয়া পরদিন অপরাহ্নে বৃন্দাবনের জননী বাড়ি ফিরিয়া আসিলেন। তখন চন্ডীমন্ডপের সুমুখে সারি দিয়া দাঁড়াইয়া পোড়োরা নামতা আবৃত্তি করিতেছিল, বৃন্দাবন একধারে দাঁড়াইয়া তাহাই শুনিতেছিল। গরুর গাড়ি সুমুখে আসিয়া থামিতেই তাহার শিশুপুত্র চরণ গাড়ি হইতে নামিয়া চেঁচামেচি করিয়া বাপের কাছে ছুটিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

আমার কথাটি ফুরোলো–২য় পর্ব

গল্পের ৩য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। তোমাকে কিছু দেখতে হবে না। আমি এখানে গ্রামের ছোট-ছোট ছেলে-মেয়েদের জন্য যে মুক্তাঙ্গন-পাঠশালা খুলেছি তাতে ছেলেমেয়েরা দলে দলে আসছে লেখাপড়া শিখতে। টাকা-পয়সা তারা দিতে পারে না বটে, কিন্তু চাল, ডাল, তরিতরকারি, ফল-মূল, দুধ, দই কতো কি আমাকে দিতে চায়। আমি এতদিন নিইনি, তবে এবার থেকে নেবো। গায়ের মেয়েরা … বিস্তারিত পড়ুন

আমার কথাটি ফুরোলো–৩য় পর্ব

গল্পের চতুর্থ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। পুরোহিত শুনে অত্যন্ত ব্যথিত হয়ে সমবেদনাপূর্ণ কষ্ঠে বললেন, করুণাময় ভগবান দয়া করে তোমাদের আমার কাছে পাঠিয়েছেন। তোমাদের পিতা সংগ্রামসিংহ মহান ব্যক্তি ছিলেন। তারই অনুগ্রহে আমি এই মন্দিরের পুরোহিত-পদে নিযুক্ত হতে পেরে অনাহারে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। যতদিন না তোমাদের কোনো ব্যবস্থা করতে পারি, ততদিন তোমরা আমার কাছে … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –একবিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   পাহাড়ের উপর বিজয়গড়। বিজয়গড়ের অরণ্য গড়ের কাছাকাছি গিয়া শেষ হইয়াছে। অরণ্য হইতে বাহির হইয়া রঘুপতি সহসা দেখিলেন, দীর্ঘ পাষাণদুর্গ যেন নীল আকাশে হেলান দিয়া দাঁড়াইয়া আছে। অরণ্য যেমন তাহার সহস্র তরুজালে প্রচ্ছন্ন, দুর্গ, তেমনি আপনার পাষাণের মধ্যে আপনি রুদ্ধ। অরণ্য সাবধানী, দুর্গ সতর্ক। অরণ্য ব্যাঘ্রের মতো গুঁড়ি … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন শাসুজাকে কোনোমতে হস্তগত করাই রঘুপতির উদ্দেশ্য ছিল। তিনি যখন শুনিলেন, সুজা দুর্গ আক্রমণ করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন তখন মনে করিলেন মিত্রভাবে দুর্গের মধ্যে প্রবেশ করিয়া তিনি কোনোরূপে সুজার দুর্গ আক্রমণে সাহায্য করিবেন। কিন্তু ব্রাহ্মণ যুদ্ধবিগ্রহের কোনো ধার ধারেন না, কী করিলে যে সুজার সাহায্য হইতে পারে কিছুই ভাবিয়া পাইলেন না। … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

চতুর্বিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন খুড়াসাহেবের কী আনন্দের দিন! আজ দিল্লীশ্বরের রাজপুত সৈন্যেরা বিজয়গড়ের অতিথি হইয়াছে। প্রবলপ্রতাপান্বিত শাসুজা আজ বিজয়গড়ের বন্দী। কার্তবীর্যার্জুনের পর হইতে বিজয়গড়ে এমন বন্দী আর মেলে নাই। কার্তবীর্যার্জুনের বন্ধন-দশা স্মরণ করিয়া নিশ্বাস ফেলিয়া খুড়াসাহেব রাজপুত সুচেতসিংহকে বলিলেন, “মনে করিয়া দেখো, হাজারটা হাতে শিকলি পরাইতে কী আয়োজনটাই করিতে হইয়াছিল। কলিযুগ পড়িয়া অবধি … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –চতুর্বিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন খুড়াসাহেবের হাত এড়াইতে সুচেতসিংহকে আর অধিক প্রয়াস পাইতে হইল না। কাল প্রাতে বন্দী-সমেত সম্রাট-সৈন্যের যাত্রার দিন স্থির হইয়াছে, যাত্রার আয়োজনে সৈন্যেরা নিযুক্ত হইল। বন্দীশালায় শাসুজা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইয়া মনে মনে কহিতেছেন, “ইহারা কী বেআদব! শিবির হইতে আমার আলবোলাটা আনিয়া দিবে, তাহাও ইহাদের মনে উদয় হইল না।” বিজয়গড়ের পাহাড়ের নিম্নভাগে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!