রাজর্ষি –- চতুশ্চত্বারিংশ পরিচ্ছেদ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের প্রথম পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন যে দুর্গে গোবিন্দমাণিক্য বাস করিতেন, একদিন বর্ষার অপরাহ্নে সেই দুর্গের পথে একজন ফকির, সঙ্গে তিনজন বালক ও একজন প্রাপ্তবয়স্ক তল্পিদার লইয়া চলিয়াছেন। বালকদের অত্যন্ত ক্লান্ত দেখাইতেছে। বাতাস বেগে বহিতেছে এবং অবিশ্রাম বর্ষার ধারা পড়িতেছে। সকলের চেয়ে ছোটো বালকটির বয়স চৌদ্দর অধিক হইবে না, সে শীতে কাঁপিতে কাঁপিতে কাতর … বিস্তারিত পড়ুন

একটি চমৎকার আরবী গল্প-২য় পর্ব

গল্পের শেষ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। সংগীতের সুরমূর্ছনা সারা পরিবেশ নৃত্য-পাগল অথচ বাইরের সূচিভেদ্য আঁধার কেউ থাকতে পারে না ? মন নিরাশ-তিমিরে এতটুকুন হয়ে গেল৷ ও দিকে বাড়ছে দুরন্ত ব্যাধির মরণ-যাতনা। হামাগুড়ি দিয়ে চললো দরোজার দিকে। কোন রকমে খুলে মুখ বাড়িয়ে দিলো। অপেক্ষা করতে লাগলো অসীম আগ্রহে। আকুতিভরা দুহাত তুললো আকাশের দুয়ারে। ক’টা ইঁদুর … বিস্তারিত পড়ুন

বাল্য-স্মৃতি–শরৎ রচনাবলী

পুরাতন কথার আলোচনা-শীর্ষক একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হইয়াছে। ইহাতে আমার সম্বন্ধে কিছু কিছু আলোচনা আছে, কিন্তু আছে বলিয়াই যে সে আলোচনায় আমিও যোগ দিই এ আমার স্বভাব নয়। তাহার প্রধান কারণ, আমি অত্যন্ত অলস লোক—সহজে লেখালিখির মধ্যে ঘেঁষি না; দ্বিতীয় কারণ, আমার বিগত জীবনের ইতিবৃত্ত সম্বন্ধে আমি অত্যন্ত উদাসীন। জানি, এ লইয়া বহুবিধ জল্পনা-কল্পনা ও নানাবিধ … বিস্তারিত পড়ুন

পন্ডিতমশাই—প্রথম পরিচ্ছেদ– শরৎ রচনাবলী

গল্পের দ্বতীয় পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন কুঞ্জ বোষ্টমের ছোট বোন কুসুমের বাল্য-ইতিহাসটা এতই বিশ্রী যে, এখন সে-সব কথা স্মরণ করিলেও, সে লজ্জায় দুঃখে মাটির সহিত মিশিয়া যাইতে থাকে। যখন সে দু’বছরের শিশু তখন বাপ মরে, মা ভিক্ষা করিয়া ছেলে ও মেয়েটিকে প্রতিপালন করে। যখন পাঁচ বছরের, তখন মেয়েটিকে সুশ্রী দেখিয়া, বাড়ল গ্রামের অবস্থাপন্ন গৌরদাস … বিস্তারিত পড়ুন

পন্ডিতমশাই—দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ– শরৎ রচনাবলী

তৃতীয় পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সেদিন কুঞ্জ ভগিনীর কাছে বৃন্দাবনের সাংসারিক পরিচয় দিবার সময় অত্যুক্তি মাত্র করে নাই। সত্যই তাহাদের গৃহে লক্ষ্মী উথলিয়া পড়িতেছিল; অথচ সেজন্য কাহারও অহঙ্কার অভিমান কিছুই ছিল না। এ গ্রামে বিদ্যালয় ছিল না। বৃন্দাবন ছেলেবেলায় নিজের চেষ্টায় বাংলা লেখাপড়া শেখে এবং তখন হইতেই একটা পাঠশালা খুলিবার সঙ্কল্প করে। কিন্তু তাহার … বিস্তারিত পড়ুন

পন্ডিতমশাই—তৃতীয় পরিচ্ছেদ– শরৎ রচনাবলী

চতুর্থ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সেদিন সন্ধ্যার পূর্বে বাটী ফিরিবার সময় বৃন্দাবনের জননী কুসুমকে কাছে ডাকিয়া অশ্রু-গদ্গদকন্ঠে বলিলেন, বৌমা, কি আনন্দে যে সারাদিন কাটালুম, তা মুখে বলতে পারিনে। সুখী হও মা! বলিয়া তিনি অঞ্চলের ভিতর হইতে একজোড়া সোনার বালা বাহির করিয়া স্বহস্তে তাহার হাতে পরাইয়া দিলেন। আজিকার সমস্ত আয়োজন কুসুম গোপনে বৃন্দাবনের সাহায্যে নির্বাহ … বিস্তারিত পড়ুন

আমার কথাটি ফুরোলো–১ম পর্ব

গল্পের ২য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। একটি ছেলে ছিল।রূপে যেন রাজপুত্ত্বর। মা আদর করে নাম রেখেছিলেন রাজকুমার। ছেলেটি এই পনরো-ষোলো বছর বয়সেই বেশ জোয়ান হয়ে উঠেছে। লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে তার বাবার কাছে শিখেছে ঘোড়ায় চড়া, তলোয়ার চালনা, তীর ধনুক লক্ষ্যভেদ, দ্বন্দ্বযুদ্ধ প্রভৃতি সব রকম রণকৌশল ও যুদ্ধবিদ্যা। কারণ, ছেলেটির বাবা ছিলেন এক রাজ্যের … বিস্তারিত পড়ুন

পন্ডিতমশাই—চতুর্থ পরিচ্ছেদ — শরৎ রচনাবলী

পঞ্চম পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন কুঞ্জনাথের বিবাহের কথা, দেনা-পাওনার কথা, খাওয়ান-দাওয়ানর কথা সমস্তই প্রায় স্থির করিয়া পরদিন অপরাহ্নে বৃন্দাবনের জননী বাড়ি ফিরিয়া আসিলেন। তখন চন্ডীমন্ডপের সুমুখে সারি দিয়া দাঁড়াইয়া পোড়োরা নামতা আবৃত্তি করিতেছিল, বৃন্দাবন একধারে দাঁড়াইয়া তাহাই শুনিতেছিল। গরুর গাড়ি সুমুখে আসিয়া থামিতেই তাহার শিশুপুত্র চরণ গাড়ি হইতে নামিয়া চেঁচামেচি করিয়া বাপের কাছে ছুটিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

আমার কথাটি ফুরোলো–২য় পর্ব

গল্পের ৩য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। তোমাকে কিছু দেখতে হবে না। আমি এখানে গ্রামের ছোট-ছোট ছেলে-মেয়েদের জন্য যে মুক্তাঙ্গন-পাঠশালা খুলেছি তাতে ছেলেমেয়েরা দলে দলে আসছে লেখাপড়া শিখতে। টাকা-পয়সা তারা দিতে পারে না বটে, কিন্তু চাল, ডাল, তরিতরকারি, ফল-মূল, দুধ, দই কতো কি আমাকে দিতে চায়। আমি এতদিন নিইনি, তবে এবার থেকে নেবো। গায়ের মেয়েরা … বিস্তারিত পড়ুন

আমার কথাটি ফুরোলো–৩য় পর্ব

গল্পের চতুর্থ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। পুরোহিত শুনে অত্যন্ত ব্যথিত হয়ে সমবেদনাপূর্ণ কষ্ঠে বললেন, করুণাময় ভগবান দয়া করে তোমাদের আমার কাছে পাঠিয়েছেন। তোমাদের পিতা সংগ্রামসিংহ মহান ব্যক্তি ছিলেন। তারই অনুগ্রহে আমি এই মন্দিরের পুরোহিত-পদে নিযুক্ত হতে পেরে অনাহারে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। যতদিন না তোমাদের কোনো ব্যবস্থা করতে পারি, ততদিন তোমরা আমার কাছে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!