নিষ্কৃতি—চতুর্থ পরিচ্ছেদ — শরৎ রচনাবলী

পঞ্চম পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন দিন-পাঁচেক পরে সকাল হইতেই মেজগিন্নীদের জিনিসপত্র বাঁধাছাঁদা হইতেছিল। সিদ্ধেশ্বরী তাহা লক্ষ্য করিয়া দ্বারের বাহিরে আসিয়া দাঁড়াইলেন। মিনিট-খানেক নিঃশব্দে চাহিয়া থাকিয়া কহিলেন, আজ এ-সব কি হচ্চে মেজবৌ। নয়নতারা উদাসভাবে জবাব দিল, দেখতেই ত পাচ্চ। তা ত পাচ্চি। কোথায় যাওয়া হবে? নয়নতারা তেমনিভাবে কহিল, যেখানে হোক। তবু, কোথায় শুনি? কি করে … বিস্তারিত পড়ুন

নিষ্কৃতি—পঞ্চম পরিচ্ছেদ — শরৎ রচনাবলী

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ পড়টে এখানে ক্লিক করুন সিদ্ধেশ্বরী যত বড় ক্রোধেরই উপরেই স্বামীর কাছে নালিশ করিতে শুরু করুন, শৈলকে দ্রুতপদে প্রস্থান করিতে দেখিয়া তাঁহার চৈতন্য হইল-কাজটা অত্যন্ত বাড়াবাড়ি হইয়া গেল! স্বামী লইয়া খোঁটা দিলে শৈলর দুঃখ এবং অভিমানের অবধি থাকিত না তাহা তিনি জানিতেন। স্ত্রীকে চুপ করিয়া যাইতে দেখিয়া কর্তা মুখ তুলিয়া চাহিলেন; এবং কহিলেন, আমি … বিস্তারিত পড়ুন

নিষ্কৃতি— ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ — শরৎ রচনাবলী

সপ্তম পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সিদ্ধেশ্বরীর সেবার ভার নয়নতারা গ্রহণ করিয়াছিল। সে সেবা এমনি নিরেট, এমনি ভরাট যে, তাহার কোন এতটুকু ফাঁক দিয়া আর কাহারও কাছে ঘেঁষিবার জো ছিল না। সিদ্ধেশ্বরী এমন সেবা তাঁর এতখানি বয়সে কখনও কাহারও কাছে পান নাই। তবুও কেন যে তাঁহার অশান্ত মন অনুক্ষণ শুধু ছল ধরিয়া কলহ করিবার জন্য … বিস্তারিত পড়ুন

নিষ্কৃতি— সপ্তম পরিচ্ছেদ — শরৎ রচনাবলী

গল্পের অষ্টম পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সিদ্ধেশ্বরীর স্বভাবে একটা মারাত্মক দোষ ছিল-তাঁহার বিশ্বাসের মেরুদণ্ড ছিল না। আজিকার দৃঢ়নির্ভরতা কাল সামান্য কারণেই হয়ত শিথিল হইতে পারিত। শৈলকে তিনি চিরদিন একান্ত বিশ্বাস করিয়া আসিয়াছেন, কিন্তু, দিন-কয়েকের মধ্যেই নয়নতারা যখন অন্যরূপ বুঝাইয়া দিল, তখন তাঁহার সন্দেহ হইতে লাগিল যে, কথাটা ঠিক যে, শৈলর হাতে টাকা আছে, এই … বিস্তারিত পড়ুন

নিষ্কৃতি— অষ্টম পরিচ্ছেদ — শরৎ রচনাবলী

নবম পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গোটা-দুই প্রকাণ্ড খাট জোড়া করিয়া সিদ্ধেশ্বরীর বিছানা ছিল। এত বড় শয্যাতেও কিন্তু তাঁহাকে স্থানাভাবে সঙ্কুচিত হইয়া সারারাত্রি কষ্টে কাটাইতে হইত। এ লইয়া তিনি রাগারাগি করিতেও ছাড়িতেন না, আবার বাড়ির কোন ছেলেকে একটা রাত্রিও তিনি কাছছাড়া করিতে পারিতেন না। সমস্ত রাত্রি তাঁহাকে সতর্ক হইয়া থাকিতে হইত, অনেকবার উঠিতে হইত; কোনদিনই … বিস্তারিত পড়ুন

নিষ্কৃতি— নবম পরিচ্ছেদ — শরৎ রচনাবলী

প্রথম পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন কোন একটা অভাব লইয়া-তা সে যতই গুরুতর হউক, মানুষ অনন্তকাল শোক করিতে পারে না। সিদ্ধেশ্বরীর কাছে তাঁহার শয্যার শূন্যতা ক্রমশঃ পূর্ণ হইয়া আসিতে লাগিল। শৈলর ঘরের দিকটা তিনি মাড়াইতেই পারিতেন না, এখন সে বারান্দা স্বচ্ছন্দে পার হইয়া যান-মনেও পড়ে না। কানাই-পটলের সংবাদ তিনি বিবিধ উপায়ে সংগ্রহ করিবার জন্য অহরহ … বিস্তারিত পড়ুন

নবী-নন্দিনী ফাতেমা (রাঃ) : মানবজাতির গৌরব

পৃথিবীতে এমন কয়েকজন অসাধারণ মানুষ জন্ম নিয়েছেন যাঁরা মানবজাতির চিরন্তন গৌরব, যাঁরা আদর্শ মানুষের প্রতীক তথা মানবতা ও মনুষ্যত্বের পূর্ণতার মডেল। এ ধরনের মানুষ পৃথিবীতে জন্ম না নিলে আদর্শের দিক থেকে মানবজাতির মধ্যে বিরাজ করতো ব্যাপক অপূর্ণতা এবং আদর্শিক শূণ্যতা ও আধ্যাত্মিক অপূর্ণতার অশেষ ঘূর্ণাবর্তে মানবজাতি হতো বিভ্রান্ত, ফলে মানুষ কাঙ্ক্ষিত উন্নতির সোপান থেকে চিরকালের … বিস্তারিত পড়ুন

আমার কথাটি ফুরোলো–শেষ পর্ব

গল্পের ১ম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। সেদিনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষ হ’ল। লোকমুখে চারিদিকে রটে গেল, কে এক অজ্ঞাতকুলশীল অপরিচিত সুদর্শন যুবক রাজকুমারীকে ঘোড়দৌড়ের প্রতিযোগিতায় দারুনভাবে পরাস্ত করে দিয়েছে। ফলে পরের দিন লক্ষ্যভেদের প্রতিযোগিতা দেখবার জন্য ক্রীড়া-প্রাঙ্গণে দ্বিগুণ দর্শকের প্রচণ্ড জনতা সমবেত হ’ল। বর্মচর্ম পরিহিত রাজকুমার ধনুর্বাণ নিয়ে আজ যথাসময়ে উপস্থিত হয়েছিল সেখানে। রাজকন্যা আগের … বিস্তারিত পড়ুন

পন্ডিতমশাই—নবম পরিচ্ছেদ — শরৎ রচনাবলী

দশম পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন অনেকদিন কাটিয়াছে। মাঘ শেষ হইয়া ফাল্গুন আসিয়া পড়িল, চরণ সেই যে গিয়াছে, আর আসিল না। তাহাকে যে জোর করিয়া আসিতে দেওয়া হয় না, ইহা অতি সুস্পষ্ট। অর্থাৎ কোনরূপ সম্বন্ধ আর তাঁহারা বাঞ্ছনীয় মনে করেন না। ওদিকের কোন সংবাদ নাই, সেও আর কখনও চিঠিপত্র লিখিয়া নিজেকে অপমানিত করিবে না প্রতিজ্ঞা … বিস্তারিত পড়ুন

পন্ডিতমশাই—দশম পরিচ্ছেদ– শরৎ রচনাবলী

একাদশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন বৃন্দাবন লোকটি সেই প্রকৃতির মানুষ, যাহারা কোন অবস্থাতেই বিচলিত হইয়া মাথা গরম করাকে অত্যন্ত লজ্জাকর ব্যাপার বলিয়া ঘৃণা করে। ইহারা হাজার রাগ হইলেও সামলাইতে পারে এবং কোন কারণেই প্রতিপক্ষের রাগারাগি হাঁকাহাঁকি বা উচ্চ তর্কে যোগ দিয়া লোক জড় করিতে চাহে না। তথাপি সেদিন কুসুমের বারংবার নিষ্ঠুর ব্যবহারে ও অন্যায় … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!