আল্লাহর মা’রেফাত

প্রখ্যাত বুজুর্গ হযরত জুন্নু মিশরী (রহঃ) বলেন, একবার আমি এক জনমানবহীন মরুভূমিতে ভ্রমন করছিলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম, এক জায়গায় এক ব্যক্তি কিছু কাটা ঘাসের উপর শুয়ে আছে। আমি নিকটে গিয়ে তাকে ছালাম করলাম। তিনি আমার সালামের উত্তর দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কোন দেশের অধিবাসী? আমি বললাম, আমি মিশরের অধিবাসী। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কোথায় … বিস্তারিত পড়ুন

আল্লাহওয়ালাদের প্রতি ভক্তি

এক বুজুর্গ বর্ণনা করেন, একবার আমি মিশরের প্রখ্যাত বুজুর্গ  হযরত শায়েখ আবুল ফজল ইবনে জওহারীর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে মিশরের পথে যাত্রা করলাম। দীর্ঘ পথ ছফরের পর আমি জুমআর দিন মিশর নগরীতে গিয়ে উপস্থিত হলাম। সেদিন শায়েখ আবুল ফজল ওয়াজ করছিলেন। আমিও সেই ওয়াজ মাহফিলে শ্রোতাদের সাথে বসে গেলাম। আমি দেখতে পেলাম, হযরত শায়েখের চেহারা ছুরতে … বিস্তারিত পড়ুন

আল্লাহর বন্ধু নূরীর হালাত

কথিত আছে যে একদা এক বুজুর্গ দেখতে পেলেন হযরত আবুল হাসান নূরী (রহঃ) হাত পেতে মানুষের নিকট থেকে সাহায্য গ্রহণ করছেন। বুজুর্গ বলেন, এ দৃশ্যটি আমার নিকট বড় অশোভন মনে হল যে, এত বড় বুজুর্গ কেমন করে মানুষের নিকট হাত পাতলেন? পরে আমি হযরত জোনায়েদ বাগদাদীর সাথে সাক্ষাত করে ঐ ঘটনা সম্পর্কে তাকে অবগত করলে … বিস্তারিত পড়ুন

হযরত মালেক বিন দিনারের তওবা

প্রখ্যাত বুজুর্গ হযরত মালেক বিন দিনারের প্রথম জীবনটা বিশেষ ভাল কাটেনি। দিন রাত তিনি মদ খেয়ে নেশায় লিপ্ত থাকতেন। তার তওবা সম্পর্কে কেউ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আমার এক বাঁদির গর্ভে এক মেয়ে সন্তান জন্ম হয়। মেয়েটাকে আমি অত্যন্ত স্নেহের আতিশয্যে সর্বদা আমি তাকে সাথে সাথে রাখতাম। সে যখন একটু একটু হাঁটতে শিখেছে তখনকার ঘটনা। … বিস্তারিত পড়ুন

হযরত ওমর ইবনে আঃ আজীজ

হযরত ওমর ইবনে আঃ আজীজ (রহঃ) একাধারে শরীয়তের ইমাম ফকীহ মোজতাদেহ এবং সুন্নত বিষয়ে অভিজ্ঞ ছিলেন। তিনি প্রশস্ত অন্তরের অধিকারী, আল্লাহ পাকের অনুগত আবেদ এবং কালামে পাকের হাফেজ ছিলেন। তিনি সব সময় আল্লাহর দিকে ধাবিত হতেন এবং তওবা করতেন। এক কথায় হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজীজ (রহঃ) দ্বীনের হুজ্জত ছিলেন। তার দ্বীনদারী ও ন্যায় পরায়নতা … বিস্তারিত পড়ুন

মেহমানদারীর বরকতে

হযরত ইবনে ওসমান (রহঃ) বর্ণনা করেন, একদা এক ব্যক্তি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) কে জনসমক্ষে অপমান করার উদ্দেশ্যে সকল কোরাইশ সরদারদেরকে বলে যে, আগামী কাল সকালে আপনারা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর বাড়ি গিয়ে নাস্তা করবেন। তিনি আপনাদেরকে দাওয়াত  করেছেন। এদিকে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না। পরদিন যথাসময়ে কোরাইশ … বিস্তারিত পড়ুন

এক আর্দশ বুজুর্গের কাহিনী

এক বুজুর্গ এক সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করলেন, কিন্তু আল্লাহ পাকের কি মেহেরবানী, কণে উঠিয়ে নেয়ার কয়েকদিন পূর্বে তার গুটি বসন্ত দেখা দিল। ক্রমে ঐ বসন্ত বৃদ্ধি পেয়ে নববধুর চেহারা ও দেহের সৌন্দর্য একেবারেই নষ্ট হয়ে গেল। ঐ অভাবিত দূর্ঘটনায় কণে পক্ষ তার ভবিষ্যৎ অকল্যাণ আশংকায় বড় পেরেশান হলেন। তারা মনে মনে ভাবলেন, নিশ্চয়ই বর তাকে … বিস্তারিত পড়ুন

জান্নাতের অবস্থা দর্শন

হযরত আবূ আহমদ হাল্লাছ (রহঃ) বলেন, আমার মা বড় নেককার ছিলেন। একবার আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ অনাহারে বেশ কষ্ট পাচ্ছিলাম। আমার বৃদ্ধ মা ক্ষুধায় কাতর হয়ে একদিন আমাকে ডেকে বলল, বেটা! এভাবে আর কত দিন কষ্ট করব। আমি তার কথায় কোন উত্তর দিতে পারলাম না। শেষ রাতে আমি আল্লাহ পাকের দরবারে আরজ করলাম, হে পরওয়ারদিগার আলম! … বিস্তারিত পড়ুন

এক যুবকের সুগন্ধির রহস্য

এক বুজুর্গ বলেন, আমি বসরাতে এক যুবকের দেখা পেলাম। তাকে সবাই মেশকী বলত। কারণ তার দেহ হতে সব সময় মেশকে আম্বরের সুগন্ধি বের হতো। এমনকি সে জামেমসজিদে প্রবেশ করলে লোকেরা টের পেয়ে যেত যে, সেই যুবক মসজিদে প্রবেশ করেছে। এমনকি সে বাজারে প্রবেশ করলেও তার দেহ হতে বিচ্ছুরিত সুগন্ধি দ্বারা মানুষ তার উপস্থিতি টের পেত। … বিস্তারিত পড়ুন

হাবশী এক গোলামের দোয়ায় বৃষ্টি

কথিত আছে যে, একবার বনী ইস্রাইলে ক্রমাগত সাত বছর অনাবৃষ্টির ফলে ব্যাপক দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। পরে হযরত মূসা (আঃ) বনী ইস্রাইলের সত্তর হাজার মানুষ নিয়ে রহমতের বৃষ্টির জন্য দোয়া করলেন। আল্লাহ পাক ওহীর মাধ্যমে হযরত মূসা (আঃ) কে জানালেন, আমি কেমন করে তাদের দোয়া কবুল করব। তারা প্রকাশ্যে আমার নাফরমানী ও পাপচারে ডুবে রয়েছে। আমার … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!