বক্ষ বিদারণ

হালিমার গৃহে দু”বছর অবস্থানের পর একদিন তাঁর দুধ ভাইয়ের সাথে তিনি চারণ ভূমিতে মেষ চরাতে যান। তিনি পশুদের ভেতর ঘুরাফেরা করছেন। এমন সময় দু’জন ফেরেশতা এসে তাঁকে শুয়ে ফেলল এবং তাঁর বক্ষ বিদারণ করল। তাঁর দুধ ভাই আবদুল্লাহ দৌড়ে বাড়ীতে গেল এবং মাতাপিতাকে বলল আজ আমার দুধ ভাইকে দুজন সাদা পোষাক পরিহিত অপরিচিত ব্যক্তি এসে … বিস্তারিত পড়ুন

বিবি হালিমার কোলে সরদারে দু’আলম

মহানবী (সাঃ)-এর জন্মের পর সাতদিন মাতৃদুগ্ধ পান করেন, তারপর আটদিন ছুয়াইবার দুধপান করেন। এ ছুয়াইবা ছিল আবূ লাহাবের দাসী। মহানবীর (সাঃ) জন্মের সংবাদ নিয়ে সর্ব প্রথম সে আবূ লাহাবের কাছে গমন করলে আবূ লাহাব মহানন্দে ছুয়াইবাকে আজাদ করে দিয়েছিলেন এবং এই ছুয়াইবা হযরত হামজাকেও কিছু দিন দুধপান করিয়েছিল।তাই হযরত হামজা মহানবী (সাঃ)-এর চাচা হলেও উনি … বিস্তারিত পড়ুন

হস্তীবাহিনী

হস্তীবাহিনী ধ্বংস আবদুল মুত্তালিবের জীবনের আর একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য ঘটনা। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্মের ৫৫ (পঞ্চান্ন) দিন পূর্বে এ ঐতিহাসিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। যার বিবরণ হল, আবিসিনিয়ার (হাবশার) বাদশাহের পক্ষ হতে আবরাহ নামক জনৈক হাবসী ইয়ামনের শাসক নিযুক্ত হয়েছিল। সে দেখল মক্কা শরীফে পবিত্র খানায়ে কাবার জেয়ারতে হাজার হাজার লোক প্রতি বছর মক্কায় আগমন … বিস্তারিত পড়ুন

আবদুল মুত্তালিবের স্বপ্ন

যমযম কূপ পুনঃ খননের ব্যাপারে অধিক বিশ্বাসযোগ্য বর্ণনা হল আবদুল মুত্তালিব যখন মক্কার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেন তখন এক রাতে তিনি সপ্নে দেখেন এক গায়েবী আওয়াজের মাধ্যমে তাকে বলা হয়েছে, হে আবদুল মুত্তালিব । তোমার আদি পিতা ইসমাইলের যমযম কূপ পুনরুদ্ধার কর । যাকে মেজাজ বা আমর বিন হারেস নিশ্চিত করে দিয়েছিল । আবদুল মুত্তালিব এই … বিস্তারিত পড়ুন

নাসারা

তৎকালীন সময়ে নাসারা খ্রীষ্টানদের অবস্থা তাদের উৎসমূল ইহুদীদের চেয়ে কোন অংশে কম ছিল না। বরং ইহুদীদের চেয়েও তাদের অবস্থা আরো শোচনীয় ছিল। সারা দুনিয়ায় তারা নিজেদেরকে খ্রীষ্টান, খ্রীষ্ট ধর্মালম্বী এবং হযরত ঈসা (আঃ) এর অনুসারী বলে প্রচার করে বেড়ালেও বর্তমান তাদের ধর্মগ্রন্থ বলে কথিত ইঞ্জিল গ্রন্থ আল্লাহর প্রেরিত সে ইঞ্জিল নয় এবং হযরত ঈসা (আঃ) … বিস্তারিত পড়ুন

আবদুল্লাহ শাদি মোবারক

আবদুল মুত্তালিবের কনিষ্ঠ ছেলে খাজা আবদুল্লাহর অত্যন্ত সুপুরুষ, সুশ্রী ও অসীম সাহসের অধিকারী ছিলেন এবং খতামুন্নাবীয়ীনের নূর মোবারক আবদুল্লাহ পেশানীতে শোভা পাওয়ার তাঁর চেহারা এত সুদর্শন ছিল যে, তাঁর চেহারা দর্শনে যে কোন দর্শন তাঁর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ত। তাই তিনি রাস্তায় বের হবার সময় চেহারা আবৃত্ত করে বের হতেন। ইহুদীরা তওরাত কিতাবের ইঙ্গিতে বুঝতে … বিস্তারিত পড়ুন

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বংশধর

হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর পিতা আবদুল মুত্তালেব তাঁর পিতা হাশেম তাঁর পিতা আবদে মুনাফ তাঁর পিতা কছাই তাঁর পিতা কেলাব তাঁর পিতা মুররা তাঁর পিতা কা’ব তাঁর পিতা লুওয়াই তাঁর পিতা গালেব তাঁর পিতা ফেহের তাঁর পিতা মালেক তাঁর পিতা নজর তাঁর পিতা কেনানা তাঁর পিতা খোজাইমা তাঁর পিতা মুদরেকা তাঁর পিতা ইলিয়াছ তাঁর পিতা … বিস্তারিত পড়ুন

মহানবী (সঃ)- এর আবির্ভাবকালে দুনিয়ার অবস্থা

মহানবী (সাঃ) – এর আগমনকালে আরব, অনারব-এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকাসহ সমগ্র পৃথিবীর অবস্থা নিতান্তই খারাপ ছিল। তখন সারাবিশ্বে চলেছিল মানুষে মানুষে হানাহানি-কাটাকাটি, জুলুম, নির্যাতন, অত্যাচার, অনাচার, অবিচার আর অন্যের অধিকার হরণ, সম্পদ লুন্ঠন ইত্যাদি নানাবিধ গর্হিত কর্ম। দুর্বলের প্রতি সবলের জুলুম ছিল শক্তিমত্তা ও যোগ্যতার নিদর্শন। এ সময় মানব জীবন যে কিরুপ অভিশপ্ত আর কলুষিত হয়েছিল … বিস্তারিত পড়ুন

আরববাসীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য

আগেই বলেছি আরবরা অগণিত কুসংস্কারের মধ্যে নিমজ্জিত। এ নিমজ্জিত কুসংস্কারের মধ্যেও তাদের মাঝে দু”টি প্রশংসনীয় চরিত্র ছিল। তার একটি হচ্ছে মেহমানদারী বা অতিথি সেবা। অপরটি হচ্ছে আত্নমর্যাদা রক্ষা করা। পৃথিবীর কোন ক্ষমতাধরই কোন কালে তাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে পারে নি। পরাধিনতার গ্লানি তাদেরকে স্পর্শ করতে পারেনি। তাদের উপর কোন প্রভাব বিস্তার করা কারও পক্ষেই সম্ভব … বিস্তারিত পড়ুন

ইসলাম পূর্ব যুগে আরবদের চরিত্র

সায়লে আরেমের পর ইয়ামনের অধিবাসিরা বিভিন্নদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের একটি শাখা মক্কায় বসতি স্থাপন করে। আর অপর এক শাখা মদীনায় চলে যায়। মক্কার শাখা প্রধান ছিল ইয়ারিব বিন কাহতান এবং মদীনার শাখা প্রধানের নাম ইয়াছরি। এ কারণে ইয়ারিবের নামানুসারে মক্কাকে আরব এবং ইয়াসরিবের নামানুসারে মদীনাকে ইয়াছরিব বলা হত। ইয়ামনের বাসিন্দাদের দ্বারাই মক্কা মদিনা তথা আরবদেশ … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!