আবূ তালিবের কাছে কুরাইশদের প্রস্তাব

নবী করীম (সাঃ) আল্লাহর উপর ভরসা রেখে দ্বীন প্রচারে পূর্বাপেক্ষা বেশি পরিমাণে লিপ্ত হন। কাফেররা আবার আবূ তালিবের গৃহে উপস্থিত হয়ে প্রস্তাব করল, হে আবূ তালিব! তোমরা ভ্রাতুষ্পুত্র ক্ষমতার লোভে এরূপ করলে সকলে আমরা তাকে রাজমুকুট পরিয়ে দিব। সুন্দরী রমণীর লোভে এরূপ করে থাকলে বল, আমরা তাকে আরবের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সবচেয়ে সুন্দরী যুবতীর সাথে বিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

ইসলামের প্রথম শহীদ ও কোরাইশদের প্রতিবাদ

প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচারের নির্দেশ পাওয়ার পর গৃহীত বিভিন্ন ব্যবস্থা যে ফলবতী হয়নি, তা উপরে বলা হয়েছে, কিন্তু তাওহীদ, ইসলাম, ইসলামের নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সম্পর্কে মক্কার সর্বত্র বিভিন্নভাবে আলোচনা চলতে থাকে। এ সময় একদিন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কয়েকজন নও-মুসলিমকে সাথে নিয়ে কাবা শরীফে বসে তাওহীদ সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। তাঁর তাওহীদ সম্পর্কিত আলোচনায় অবিশ্বাসী কুরাইশদের মধ্যে মহা … বিস্তারিত পড়ুন

তওহীদের প্রকাশ

আল্লাহ যখন প্রকাশ্যে প্রচারের নির্দেশ দেন তখন এ উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তা উপরে বর্ণিত হয়েছে। গৃহীত সেসব ব্যবস্থার আপাতদৃষ্টিতে কোন সফল পাওয়া না গেলেও বিষয়টি সর্বসাধারণের মাঝে সাধারণ আলোচনায় পরিণত হয়। বলা চলে, এসব ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে সত্যের আহ্বান কুরাইশদের কানে প্রবেশ করে যদিও তাদের মর্ম স্পর্শ করতে পারেনি। পুরুষানুক্রমিক সংস্কার, … বিস্তারিত পড়ুন

সাফা পাহাড়ের উপরে চড়ে আহ্বান

দ্বিতীয় ও তৃতীয় সভা থেকে কোন ফলাফল লাভ না হলেও নবী করীম (সাঃ) নিরাশ না হয়ে মানুষের প্রকাশ্যে আল্লাহর দ্বীনের দিকে আহ্বান জানাতে থাকেন। এ ধারায়ই একদিন তিনি সাফা পাহাড়ে আরোহন করে অতি জোরে ডাক দিলেন-হে কুরাইশ দল! হে কুরাইশ দল! লোকেরা পরস্পরকে জিজ্ঞেস করতে লাগল-কে ডাকছে? কেউ কেউ জবাব দিল-মুহাম্মদ সাফা পাহাড়ে আরোহণ করে … বিস্তারিত পড়ুন

দাওয়াতের দ্বিতীয় সভা

প্রথম সভা তো আবদুল ওযযা আবূ লাহাবের জন্য পন্ড হয়ে যায়। এবার রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দ্বিতীয় সুযোগের অপেক্ষায় রইলেন। তিনি দ্বিতীয় দফা নিকটাত্নীয়দের দাওয়াত দেন। এ পালা তিনি আগত মেহমানদের সামনে বলতে শুরু করলেন- কোন জাতির প্রতিনিধি স্বীয় লোকদের সাথে কখনও মিথ্যা বলেন না। আল্লাহর কসম! ধরে নাও যদি মিথ্যা বলতাম তবে সকলের সাথে মিথ্যা বললেও … বিস্তারিত পড়ুন

ইসলাম প্রচারের দ্বিতীয় পর্যায়

রিসালাতের মর্যাদায় ভূষিত হবার পরে তিন বছর পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) অতি গোপনে আল্লাহর নির্দেশিত পথের দিকে মানুষকে আহ্বান জানাতে থাকেন। সত্যনিষ্ঠা, সত্যের অনুসন্ধিৎসা এবং ন্যায়ের প্রভাব ব্যতীত প্রথম পর্যায়ে ইসলাম গ্রহণকারী মুসলমানদের সামনে কোন প্রলোভন বা আকর্ষণ ছিল না। বরং প্রতি পদে পদে বিপদে পতিত হবার আশংকা ছিল। এতদসত্ত্বেও এসব সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর আহ্বানে … বিস্তারিত পড়ুন

প্রথম ঈমান আনার গৌরব যাঁরা অর্জন করলেন

ইসলাম পূর্ব যুগ থেকেই রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সর্বসাধারণ আরববাসীর কাছে সমাদৃত ছিলেন। সে যুগে আরবে প্রতিমা উপাসনা ব্যাপক প্রসার লাভ করেছিল, এমনকি তওহীদের প্রাণকেন্দ্র কাবা গৃহে প্রর্যন্ত তিনশ ষাটটি মূর্তি সগৌরবে স্থান লাভ করেছিল। অতএব কাবা গৃহই যেখানে দেবমূর্তির দাপট থেকে রক্ষা পায়নি, সেখানে বাইরের অবস্থা সহজেই অনুমেয়। এতদসত্ত্বেও আরবে এমন কিছু পবিত্রাত্না ব্যক্তি বিদ্যমান ছিলেন, … বিস্তারিত পড়ুন

দ্বিতীয় ওহী

হেরা গুহায় প্রথম ওহী নাযিল হওয়ার মধ্যে দিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে রিসালাতের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করার পর কিছু দিন ওহী নাযিল বন্ধ থাকে। কিন্তু হেরা গুহায় ওহী অবতরণকালে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর মাঝে যে অস্থির অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, তা যখন স্বস্থি প্রশান্তিতে পরিণত হল, তখন ওহী বন্ধের এ ধারায় যে মানসিক কষ্ট হচ্ছিল তা তিনি সইতে পারছিলেন না। তাঁর … বিস্তারিত পড়ুন

রাসূলুল্লাহ (সাঃ)- এর প্রথম ওহী

বোখারী শরীফে হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর সূত্রে জিবরাঈল (আঃ)-এর প্রথম হেরা গুহায় আগমনের অবস্থা নিম্নোল্লিখিত ভাষায় বর্ণনা করেন- রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর উপর প্রথম দিকে সত্য খাবের ধারাবাহিকতা বিদ্যমান থাকে। যে খাবই তিনি দেখতেন তার ব্যাখ্যা এতটা সুস্পষ্ট, উজ্জ্বল এবং সঠিক প্রমাণিত হত, যেমন শেষ রাতে পূর্বাকাশে শুভ্র আলোক রেখা প্রকাশিত হয়ে প্রভাতের ঘোষণা দিয়ে যায়। অনন্তর নির্জনতা … বিস্তারিত পড়ুন

হেরা গুহায় ধ্যান

দিন যতই অতিক্রান্ত হচ্ছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)- এর হৃদয় মন বিভিন্ন চিন্তা ভাবনায় ততই বিভোর হচ্ছিল। এ সময় তাঁর বয়স পঁয়ত্রিশ বছরে উপনীত হয়েছে। দু বছর আগে থেকেই তাঁর হৃদয় জগতে ভাবান্তর আরম্ভ হয়। দিন যতই যাচ্ছে ততই তা গভীর হতে গভীরতর হচ্ছে। সদা সর্বদা তাঁর নয়ন যুগল কি যেন এক অপূর্ব জ্যোতি ভাসত। কর্ণপটে কি … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!