সত্যদাসের নব-জন্ম
সত্যদাস অমন হঠাৎ মারা যাওয়াতে প্রথমটা সকলের চমকে উঠেছিল বৈকি! সারা দেশ জুড়ে সে যেন এক বিরাট হৈ-চৈ শোর-গোল! আমাদের সেশের প্রান্তে সে দেশ,হিমালয়ের দক্ষিনে।নাম?নামটা না-ই বা শুনলে সে দেশের।ধরো,তাঁর নাম মিথ্যাপুর!হ্যাঁ…
Read Moreসত্যদাস অমন হঠাৎ মারা যাওয়াতে প্রথমটা সকলের চমকে উঠেছিল বৈকি! সারা দেশ জুড়ে সে যেন এক বিরাট হৈ-চৈ শোর-গোল! আমাদের সেশের প্রান্তে সে দেশ,হিমালয়ের দক্ষিনে।নাম?নামটা না-ই বা শুনলে সে দেশের।ধরো,তাঁর নাম মিথ্যাপুর!হ্যাঁ…
Read Moreহেলাল সরকারের একটা পোষা কুকুর আর একটা গাধা আছে। কুকুরটা খুবই স্নেহবৎসল। বিশ্বস্তস্ন। সব সময় হেলাল সরকারের কাছাকাছি থাকে। হেলাল সরকার যেখানেই যান, প্রিয় কুকুরটাও সাথে যায়। তিনি গোসল করতে গেলে কুকুরটা…
Read Moreএখানে কী করে এলো সে! একেবারে অচেনা জায়গা। এর আগে কোনোদিন এসেছিল বলে মনে পড়ে না তার। তবে রঙগুলো খুব চেনা তার। রঙধনুর সাত রঙ। সাতটা দরোজাই খোলা। প্রত্যেক খোলা দরোজার ভেতর…
Read More[চির-জনমের ছাড়াছাড়ি] তার পর-বছরের কথা। কাজরিয়ার সঙ্গে আবার আমার দেখা হল মির্জাপুরের পাহাড়ের বুকে বিরহী নামক উপত্যকায়। সেদিন ছিল ভাদ্রের কৃষ্ণা-তৃতীয়া। সেদিনও মেঘে আঁধারে কোলাকুলি করছিল। সেদিন ছিল কাজরি উৎসবের শেষ দিন।…
Read More[এক নিমেষের চেনা] বৃষ্টির ঝম-ঝমানি শুনতে শুনতে সহসা আমার মনে হল, আমার বেদনা এই বর্ষার সুরে বাঁধা!… সামনে আমার গভীর বন। সেই বনে ময়ূরে পেখম ধরেছে, মাথার উপর বলাকা উড়ে যাচ্ছে, ফোটা…
Read Moreভার্দুন ট্রেঞ্চ, ফ্রান্স ওঃ! কী আগুন-বৃষ্টি! আর কী তার ভয়ানক শব্দ! – গুড়ুম – দ্রুম – দ্রুম! – আকাশের একটুও নীল দেখা যাচ্ছে না, যেন সমস্ত আশমান জুড়ে আগুন লেগে গেছে! গোলা…
Read Moreআমি সেই শয়তান, আমি সেই পাপী, যে এক দেবীকে বিপথে চালিয়েছিল। – ভাবলুম, এই ভুবনব্যাপী যুদ্ধে যে-কোনো দিকে যোগ দিয়ে যত শিগগির পারি এই পাপ-জীবনের অবসান করে দিই। তারপর? তারপর আর কী?…
Read Moreসন্ধ্যার দিকে ঝড় ক্রমশ প্রবল হইতে লাগিল। বৃষ্টির ঝাপট, বজ্রের শব্দ এবং বিদ্যুতের ঝিক্মিকিতে আকাশে যেন সুরাসুরের যুদ্ধ বাধিয়া গেল। কালো কালো মেঘগুলো মহাপ্রলয়ের জয়পতাকার মতো দিগ্বিদিকে উড়িতে আরম্ভ করিল, গঙ্গার এ…
Read Moreএক যে ছিল রাজা। তখন ইহার বেশি কিছু জানিবার আবশ্যক ছিল না। কোথাকার রাজা, রাজার নাম কী, এ সকল প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়া গল্পের প্রবাহ রোধ করিতাম না। রাজার নাম শিলাদিত্য কি শালিবাহন,…
Read Moreবাতেন সাহেব অফিস থেকে বাসায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে রাবিদ বলল, ‘বাবা, জরুরি কিছু কথা আছে তোমার সঙ্গে। তুমি জামা-কাপড় খুলে ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি কম্পিউটারটা বন্ধ করে আসি।’ কিছু বললেন না বাতেন…
Read Moreলোকটা নাকি জাদুকর। দেখতে রবীন্দ্রনাথের মতো। বড় বড় চুল আর দাড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে চুল শুকাতে দেয়। সেই চুল এতো বড় যে, পৃথিবী অব্দি চলে আসে। পৃথিবী একটা সবুজ গ্রহ। সেটার…
Read Moreকঠিন, তবে সম্ভব, যদি কয়েকটি শর্ত পূরণ হয়। প্রথম হলো, কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনতে হবে। এখানেই সমস্যা। শিল্পোন্নত দেশগুলো অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ক্রমাগত উত্পাদন বাড়িয়ে চলেছে। সম্প্রতি চীন, ভারত, ব্রাজিল প্রভৃতি উদীয়মান…
Read Moreকলেজে আমার সহপাঠীসম্প্রদায়ের মধ্যে আমার একটু বিশেষ প্রতিপত্তি ছিল। সকলেই আমাকে সকল বিষয়েই সমজদার বলিয়া মনে করিত। ইহার প্রধান কারণ, ভুল হউক আর ঠিক হউক সকল বিষয়েই আমার একটা মতামত ছিল। অধিকাংশ…
Read Moreবাবা বিবাহ দিবার জন্য আমাকে দেশ হইতে ডাকিয়া পাঠাইলেন। আমি কিছুদিন সময় লইলাম। বামাচরণবাবুর সমালোচনায় আমার নিজের মধ্যে একটা আত্মবিরোধ, নিজের প্রতি নিজের একটা বিদ্রোহভাব জন্মিয়াছিল। আমার সমালোচক অংশ আমার লেখক অংশকে…
Read Moreএকদিন অপরাহ্নে স্টেশনে না গিয়া অলসভাবে বাগানবাড়ির ঘরগুলি পরিদর্শন করিতেছিলাম। আবশ্যক না হওয়াতে ইতিপূর্বে অধিকাংশ ঘরে পদার্পণ করি নাই, বাহ্যবস্তু সম্বন্ধে আমার কৌতূহল বা অভিনিবেশ লেশমাত্র ছিল না। সেদিন নিতান্তই সময়যাপনের উদ্দেশে…
Read Moreভবনাথবাবুর বাড়ি আমি এখন নিত্য অতিথি। পূর্বে চা জিনিসটাকে অত্যন্ত ডরাইতাম, এক্ষণে সকালে বিকালে চা খাইয়া খাইয়া আমার চায়ের নেশা ধরিয়া গেল। আমাদের বি.এ. পরীক্ষার জন্য জর্মানপণ্ডিত-বিরচিত দর্শনশাস্ত্রের নব্য ইতিহাস আমি সদ্য…
Read Moreএকদিন মধ্যাহ্নকালে ভবনাথবাবুর গৃহে গিয়া দেখি, তিনি গ্রীষ্মের উত্তাপে চৌকিতে ঠেসান দিয়া ঘুমাইয়া পড়িয়াছেন এবং সম্মুখে গঙ্গাতীরের বারান্দায় নির্জন ঘাটের সোপানে বসিয়া কিরণ কী বই পড়িতেছে। আমি নিঃশব্দপদে পশ্চাতে গিয়া দেখি, একখানি…
Read More‘তাই হোক’ বলিয়া একহাত লম্বা মানুষ চলিয়া গেল। যদুও নৌকা গড়িতে লাগিল। কিন্তু সে যত পরিশ্রম করে, তাহার সমস্তই বৃথা হয়। সেই সর্বনেশে কাঠ খালি গামলার মত গোল হইয়া ওঠে, নৌকার মতন…
Read Moreএক যে ছিল রাজা, তাঁর ছিল একটি মেয়ে। মেয়েটি, হইয়া অবধি খালি অসুখেই ভুগিতেছে। একটি দিনের জন্যেও ভাল থাকে না। কত বদ্যি, কত ডাক্তার, কত চিকিৎসা, কত ওষুধ-মেয়ে ভাল হইবে দূরে থাকুক,…
Read Moreআমাদের এক ঠানদিদি ছিলেন। অবশ্য ঠাকুরদাদাও ছিলেন, নইলে ঠানদিদি এলেন কোত্থেকে? তবে ঠাকুরদাদাকে পাড়ার ছেলেরা ভালরকম জানত না। ঠাকুরদাদার নাম রামকানাই রায়; লোকে তাঁকে কানাই রায় বলে ডাকত, কেউ কেউ রায়মশায়ও বলত।…
Read Moreআমাদের দেশের পুরাণে যেমন দেবতা আর অসুরের গল্প আছে, পুরাতন নরওয়ে আর সুইডেন দেশের পুরাণেও তেমনি সব দেবতা আর অসুরের কথা লেখা আছে। নরওয়ের পুরাণে আছে, সেকালের আগে যখন পৃথিবী বা সমুদ্র…
Read Moreএক রাজার দেশে এক কুমার ছিল, তার নাম ছিল কানাই। কানাই কিছু একটা গড়িতে গেলেই তাহা বাঁকা হইয়া যাইত, কাজেই তাহা কেহ কিনিত না। কিন্তু তাহার স্ত্রী খুব সুন্দর হাঁড়ি কলসি গড়িতে…
Read Moreএই ব’লে দুজনায় সেই ভিজা কাপড়েই প্রাণ খুলে গান বাজানা শুরু করল। বাঘার ঢোলটি সেদিন কিনা ভিজা ছিল, তাইতে তার আওয়াজটি হয়েছিল যার পর নাই গম্ভীর। আর গুপিও ভাবছিল, এই তার শেষ…
Read Moreসেদিনকার আগুনে দারোগামশাই ত পুড়ে মারা গিয়েছিলেন, তাঁর দলের অতি অল্প লোকই বেঁচেছিল। সেই লোকগুলো গিয়ে রাজামশাইকে এই ঘটনার খবর দিতে তাঁর মনে বড়ই ভয় হল। পরদিন আর দু-চার জন লোক রাজসভায়…
Read Moreগহর মামা আমাদের খুব দুর সম্পর্কের মামা; কিন্তু আপন মামাদের থেকে তাঁর সঙ্গে আমাদের বেশি খাতির ছিল। আমি যখনকার কথা বলছি, তখন ভদ্রতার ব্যাপার-স্যাপারগুলো সেভাবে চালু হয় নাই। হাঁচি দিয়ে কেউ ‘এক্সকিউজ…
Read Moreপ্রচন্ড নিম্ন চাপে ধরেছে লোকটির! আশে পাশে কোন পাবলিক শৌচাগার নাই যে কর্মটি আরামের সাথে করবে। আমাদের দেশে কোন শহরেই এই বস্তুটি সুলভ নয়। যাওবা কিছু আছে তাতে মহিলাদের জন্য ব্যবস্থা খুবই…
Read Moreছোট্ট তানিশা, আজ খুব খুশি । আজ সে তার বাবা মায়ের সঙ্গে শপিং করতে যাবে, তার জন্য জামা কিনতে;কল্পনার জামা! ঈদ কিংবা পুজোর জন্য নয়।নিতান্তপক্ষে মনের খায়েশ পূরণের জন্য। রূপকথার গল্পে পরীরা…
Read Moreভাঙা সাইকেল লাফিয়ে লাফিয়ে চলেছে। মাটির রাস্তায় বড় বড় খাদ, গর্ত। শীতের দুপুর বাজবরনতলায় কুড়ি পয়সা দিয়ে খাল পেরোলাম, সাইকেল কাঁধে তুলে। বাঁশের নড়বড়ে সাঁকো পার হওয়া চাট্টিখানি কথা! পা হড়কালেই পচা…
Read Moreবিপিনকিশোর ধনীগৃহে জন্মিয়াছিলেন, সেইজন্যে ধন যে পরিমাণে ব্যয় করিতে জানিতেন তাহার অর্ধেক পরিমাণেও উপার্জন করিতে শেখেন নাই। সুতরাং যে গৃহে জন্ম সে গৃহে দীর্ঘকাল বাস করা ঘটিল না। সুন্দর সুকুমারমূর্তি তরুণ যুবক,…
Read Moreকিছুই ভালো লাগে না, মনে হয় লেখাপড়ার নামে সবাই আমাকে বন্দি করে রেখেছে। মা বলেন, ‘জন্মের পর ১২ বছর কেটেছে তোমার হাসতে খেলতে আনন্দ করতে করতে। সামনের ১২টা বছর তোমাকে প্রতিযোগিতায় নামতে…
Read More‘-মা, এমা, দেইখা যাও আব্বায় আইজ কত্তো বাজার পাঠাইছে। সুগন্ধি চাইল রান্তে কইছে আইজ। রমিলা কিছু জমানো টাকায় কয়েকটা নারিকেল কিনেছিলো -ছেলে নাড়ু খেতে খুব পছন্দ করে ।নারিকেল কোড়ানোর মধ্যেই ছেলের ডাক…
Read Moreদূর সমুদ্রের মধ্যে একটা দ্বীপ । সেখানে কেবল তাসের সাহেব , তাসের বিবি , টেক্কা এবং গোলামের বাস । দুরি তিরি হইতে নহলা-দহলা পর্যন্ত আরো অনেক-ঘর গৃহস্থ আছে, কিন্তু তাহারা উচ্চজাতীয় নহে…
Read Moreএমনি তো কিছুকাল যায় । কিন্তু এই তিনটে বিদেশী যুবক কোনো নিয়মের মধ্যেই ধরা দেয় না । যেখানে যখন ওঠা , বসা , মুখ ফেরানো , উপুড় হওয়া , চিৎ হওয়া ,…
Read Moreমাথার উপরে পাখি ডাকিতে থাকে , বাতাস অঞ্চল ও অলক উড়াইয়া হূহু করিয়া বহিয়া যায় , তরুপল্লব ঝর্ঝর্ মর্মর্ করে এবং সমুদ্রের অবিশ্রাম উচ্ছ্বসিত ধ্বনি হৃদয়ের অব্যক্ত বাসনাকে দ্বিগুণ দোদুল্যমান করিয়া তোলে…
Read Moreসুবলচন্দ্রের ছেলেটির নাম সুশীলচন্দ্র । কিন্তু সকল সময়ে নামের মতো মানুষটি হয় না । সেইজন্যই সুবলচন্দ্র কিছু দুর্বল ছিলেন এবং সুশীলচন্দ্র বড়ো শান্ত ছিলেন না । ছেলেটি পাড়াসুদ্ধ লোককে অস্থির করিয়া বেড়াইত…
Read Moreসুশীল ভাবিয়াছিল, বাপের মতো স্বাধীন হইলে তাহার সমস্ত ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে সমস্তদিন ধরিয়া কেবলই ডুডু ডুডু শব্দে কপাটি খেলিয়া বেড়াইবে; কিন্তু আজ রাখাল গোপাল অক্ষয় নিবারণ হরিশ এবং নন্দকে দেখিয়া মনে মনে…
Read Moreআজ আমার বয়স সাতাশ মাত্র। এ জীবনটা না দৈর্ঘ্যের হিসাবে বড়ো, না গুণের হিসাবে। তবু ইহার একটু বিশেষ মূল্য আছে। ইহা সেই ফুলের মতো যাহার বুকের উপরে ভ্রমর আসিয়া বসিয়াছিল, এবং সেই…
Read Moreশম্ভুনাথবাবু আমার দিকে চাহিয়া কহিলেন, “সেই কথা তবে ঠিক? উনি যা বলিবেন তাই হইবে? এ সম্বন্ধে তোমার কিছুই বলিবার নাই? ” আমি একটু ঘাড়-নাড়ার ইঙ্গিতে জানাইলাম, এ-সব কথায় আমার সম্পূর্ণ অনধিকার। “আচ্ছা…
Read Moreসুবলচন্দ্রের ছেলেটির নাম সুশীলচন্দ্র । কিন্তু সকল সময়ে নামের মতো মানুষটি হয় না । সেইজন্যই সুবলচন্দ্র কিছু দুর্বল ছিলেন এবং সুশীলচন্দ্র বড়ো শান্ত ছিলেন না । ছেলেটি পাড়াসুদ্ধ লোককে অস্থির করিয়া বেড়াইত…
Read Moreচাপাইয়া দেয় নাই। ইহার গতি সহজ, দীপ্তি নির্মল, সৌন্দর্যের শুচিতা অপূর্ব, ইহার কোনো জায়গায় কিছু জড়িমা নাই। আমি দেখিতেছি, বিস্তারিত করিয়া কিছু বলা আমার পক্ষে অসম্ভব। এমন-কি, সে যে কী রঙের কাপড়…
Read Moreএমন করিয়া প্রায় দুই বৎসর কাটিল। এত সুদীর্ঘকালের জন্য তারাপদ কখনো কাহারো নিকট ধরা দেয় নাই। বোধ করি, পড়াশুনার মধ্যে তাহার মন এক অপূর্ব আকর্ষণে বদ্ধ হইয়াছিল; বোধ করি, বয়োবৃদ্ধি-সহকারে তাহার প্রকৃতির…
Read Moreতারাপদ তাহার প্রখর স্মরণশক্তি এবং অখণ্ড মনোযোগ লইয়া ইংরাজি-শিক্ষায় প্রবৃত্ত হইল। সে যেন এক নূতন দুর্গম রাজ্যের মধ্যে ভ্রমণে বাহির হইল, পুরাতন সংসারের সহিত কোনো সম্পর্ক রাখিল না; পাড়ার লোকেরা আর তাহাকে…
Read Moreনন্দীগ্রাম কখন ছাড়াইয়া গেল তারাপদ তাহার খোঁজ লইল না। অত্যন্ত মৃদুমন্দ গতিতে বৃহৎ নৌকাখানা কখনো পাল তুলিয়া, কখনো গুণ টানিয়া, নানা নদীর শাখাপ্রশাখার ভিতর দিয়া চলিতে লাগিল; নৌকারোহীদের দিনগুলিও এই-সকল নদী-উপনদীর মতো…
Read Moreচারুশশী তাহার পিতামাতার একমাত্র সন্তান, তাঁহাদের পিতৃমাতৃস্নেহের একমাত্র অধিকারিণী। তাহার খেয়াল এবং জেদের অন্ত ছিল না। খাওয়া, কাপড় পরা, চুল বাঁধা সম্বন্ধে তাহার নিজের স্বাধীন মত ছিল, কিন্তু সে মতের কিছুমাত্র স্থিরতা…
Read Moreআহারান্তে নৌকা ছাড়িয়া দিল। অন্নপূর্ণা পরম স্নেহে এই ব্রাক্ষ্মণবালককে তাহার ঘরের কথা, তাহার আত্মীয়পরিজনের সংবাদ জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন; তারাপদ অত্যন্ত সংক্ষেপে তাহার উত্তর দিয়া বাহিরে আসিয়া পরিত্রাণ লাভ করিল। বাহিরে বর্ষার নদী…
Read Moreকাঁঠালিয়ার জমিদার মতিলালবাবু নৌকা করিয়া সপরিবারে স্বদেশে যাইতেছিলেন। পথের মধ্যে মধ্যাহ্নে নদীতীরের এক গঞ্জের নিকট নৌকা বাঁধিয়া পাকের আয়োজন করিতেছেন এমন সময় এক ব্রাহ্মণ বালক আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “বাবু, তোমরা যাচ্ছ কোথায়।…
Read Moreসেবার দেশময় রটে গেল যে, তিনটি শিশু বলি না দিলে রূপনারায়ণের উপর রেলের পুল কিছুতেই বাঁধা যাচ্ছে না। দু’টি ছেলেকে জ্যান্ত থামের নীচে পোঁতা হয়ে গেছে, বাকী শুধু একটি। একটি সংগ্রহ হলেই…
Read Moreসামনে খোলা মাঠ শুয়ে আছে । নিঝুম রাত । আকাশের গায়ে চাঁদ নেই । তবে অসংখ্য তারার রূপালি আলোয় আকাশ সামান্য উজ্জ্বল দেখাচ্ছে । কিন্তু চারপাশের বিশাল জমিন অন্ধকারে ঢেকে আছে । লোকটি হাঁটতে…
Read Moreজুলিয়াস ওবি টাইপ রাইটারের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তার টেবিলের ওপর মাথা রেখে হেলদোল শরীরের বস নাক ডেকে বেঘোরে ঘুমোচ্ছে। সবুজ রঙের উর্দি পরে দারোয়ানও তার আস্তানায় বসে গভীর নিদ্রায় নিমজ্জিত।…
Read Moreম্যাডাম, এই দিকে– ফাঁপানো পরচুলাপরা মেয়েটি সুপার মার্কেটের এক সারি ক্যাশ মেশিনের একটিতে মনোনিবেশ করতে করতে আহ্বান জানাল। মিসেস এমেনিকে তার বাজার ভর্তি ট্রলিটি হালকাভাবে ঘুরিয়ে মেয়েটির দিকে নিয়ে আসল। ম্যাডাম, আপনি…
Read Moreদুঃখিত!!