আকিলের প্রতি মুছা (আঃ) এর মৃত্যু দন্ড-২য় পর্ব
আকিলের প্রতি মুছা (আঃ) এর মৃত্যু দন্ড-১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তখন তারা হজরত মুছা (আঃ) এর নিকট এসে বলল, হে নবী! গরু কোথায় পাওয়া যাবে তা যদি আমাদেরকে একটু বলে দেন, তবে ওটা আমরা সংগ্রহ করতে পারব। হজরত মুছা (আঃ) হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর নিকট গরু সন্ধানের বিষয় জিজ্ঞেস করায় তিনি বললেন, বনি ইসরাইলের এক জন নেককার ব্যক্তি মৃত্যুর পূর্বে তার ছোট ছেলের ভবিষ্যত উপকারের উদ্দেশ্য একটি বাছুর গরু আল্লাহর নামে বনে ছেড়ে দেয়। কয়েক বছর পর ছেলেটি বড় হল। তাদের সংসার ছিল অভাব অনটনের। তাই একদিন তাঁর মাতা ছেলেকে বলল, বাবা! তোমার পিতা তোমার ভবিষ্যৎ উপকারের জন্য আল্লাহর নামে একটি গরু বনে ছেড়ে দেয়। তুমি এখন বনে গিয়ে গরু টি ধরে আনতে পার কি না দেখ। যদি ধরে আনতে পার তাহলে আমাদের অভাব এর সংসারে অনেক উপকার হবে।
ওটা আমরা বিক্রয় করে যে টাকা পাব তার অর্ধেক গরিব কে দান করব। বাকি অর্ধেক দ্বারা আমরা সংসার চালাব। ছেলেটি মায়ের কথা শুনে বনের ধারে গিয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াত করেন। আল্লাহ তায়ালা এতিম বাচ্চার ফরিয়াদ মঞ্জুর করে গরুটি তার নিকট হাজির করে দিলেন। ছেলেটি তখন গরুর গলায় রশি লাগিয়ে বাড়ির দিকে রওনা করল। পথি মধ্যে শয়তান গরু টি তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করল। কিন্তু ছেলের মায়ের দোয়ার বরকতে তা ব্যর্থ হল এবং ছেলেটি গরু নিয়ে নিরাপদে বাড়ী ফিরল। তার মা গরু দেখে অত্যন্ত খুশি হল এবং আল্লাহর দরবারে অসংখ্যক শুকরিয়া করল। অতপর মহিলা ছেলেকে বলল, বাবা! গরুটি নিয়ে এবাজারে যাও।
ছেলে বলল, কত দাম পেলে গরুটি বিক্রয় করব। তার মা বলল, তিনটি সোনার মহরের দাম হলে গরু টি বেঁচে দিয়ও। ছেলে গরু নিয়ে বাজারে গেল। আল্লাহর হুকুমে একজন ফেরেস্তা মানুষের ছুরতে সেখানে পৌঁছায়ে ছেলেটির নিকট গরুর দাম জিজ্ঞাসা করলেন। ছেলেটি বলল, তিনটি সোনার মোহর এর দাম হলে গরুটি বিক্রয় করব। লোকটি বলল, আমি এর দাম ছয়টি স্বর্ণ মহর দিতে চেয়েছিলাম। তখন ছেলেটি বলল আমার মা আমাকে তিনটি স্বর্ণ মোহরের বদলে বিক্রয় করতে বলেছিলেন। তখন লোকটি বলল, তোমার মায়ের নিকট জিজ্ঞাসা করে আস তিনি ছয়টি সোনার মোহরে বিক্রয় করতে চান কি না। ছেলেটি তখন দৌঁড়ে এসে তার মায়ের নিকট ঘটনা খুলে বলল, তখন তার মা খুশি হয়ে বলল, বাবা শবই আল্লাহর বরকত।
সূত্রঃ কুরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী
আকিলের প্রতি মুছা (আঃ) এর মৃত্যু দন্ড-৩য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন