
এক লোকের ছিল দুই বউ। বউ দুজনের মধ্যে সারাক্ষণ ঝগড়া লেগেই থাকত। লোকটার ছিল শরীর টিপানোর অভ্যাস। দুই বউ একসাথে লোকটার শরীর টিপত, কিন্তু এখানেও ঝগড়া করত— কে শরীরের কোন অংশ টিপবে তা নিয়ে।
প্রতিদিন এই নিয়ে ঝগড়া দেখে একদিন লোকটা শরীরের অংশ ভাগ করে দিল, যেন ঝগড়া না হয়। বড় বউকে দিল ডান হাত আর ডান পা, আর ছোট বউকে দিল বাম হাত আর বাম পা। কিছুদিন ঠিকঠাক চলল।
একদিন বড় বউ শরীর টিপতে তেলের বাটি (কাসার বাটি) হাতে নিয়ে লোকটার বাম দিক দিয়ে ডান দিকে যাওয়ার সময় হঠাৎ তার হাত থেকে বাটিটা লোকটার বাম পায়ের ওপর পড়ে গেল। ভারী বাটিটা গরম তেলসহ লোকটার বাম পায়ে পড়তেই সে চিৎকার করে উঠল।
লোকটার চিৎকার শুনে ছোট বউ দৌড়ে এল। ঘটনা জানার পর স্বামীর ব্যথার প্রতি সহানুভূতি দেখানোর বদলে বড় বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করল—
“আপনি আমার ভাগের পায়ের ওপর কেন বাটি ফেললেন?”
এই বলে সে তার হাতের ভারী কাসার বাটিটা লোকটার ডান পায়ের ওপর ফেলল। এবার ডান পায়ে বাটিটা পড়তেই লোকটা আরও জোরে চিৎকার করে উঠল।
ছোট বউয়ের কাণ্ড দেখে বড় বউ দৌড়ে একটা লাঠি নিয়ে এল।
“তোকে বললাম, হঠাৎ পড়ে গেছে, তারপরও তুই আমার ভাগের পায়ের ওপর বাটি ফেললি? তবে এবার ইচ্ছে করে মারলাম!”
এই বলে লাঠি উঁচিয়ে লোকটার বাম হাতে দিল এক বাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে তার বাম হাত ভেঙে গেল।
লোকটার তখন মরণ দশা! কিন্তু দুই বউয়ের এসব দেখার সময় নেই।
বাম হাত ভাঙতেই ছোট বউ রেগে গিয়ে দৌড়ে একটা লাঠি নিয়ে এল এবং লোকটার ডান হাতে দিল এক বাড়ি।
এভাবে প্রতিযোগিতা করতে করতে এক সময় দুই বউ তাদের স্বামীকে মেরেই ফেলল! দুজনেই বিধবা হয়ে গেল।
তবুও তাদের ঝগড়া থামল না। এবার তারা একে অপরকে দোষারোপ করতে লাগল—
“তোর কারণে স্বামীটা মরল!”