সে অনেক দিন আগের কথা।এখন থেকে অন্তত দুহাজার বছর আগের কথা তো বটেই।ভারত বর্ষের পূর্বদিকে তোমাদের মতো একটি ছেলে ছিল শান্তাদাস বা সানুদাস তাঁর নাম।তোমাদেরই মতো তারও পড়াশুনো তেমন ভাল ছিল না।গুরুগৃহে বসে সামনে পুথি খুলে রেখে কে যেন সব্ ভাবত,চোখ থাকত দূরে বনভুমির দিকে।বকুনি খেত ওর জন্য নিশ্চয়,তবুও স্বভাব বদলায় নি,। কি ভাবত,তা জিজ্ঞাসা করলে বোধায় নিজে বলতে পারত না।শুধু এটাই জানত যে,এই শান্ত জিবন,এই নিয়মিত পড়াশুনা তাঁর ভাল লাগে না।ঐ পরিচিত বনরেখার বাইরে যে পড়ে আছে,তাঁর এই ছোট গ্রামখানির বাইরেকার বিশাল পৃথিবীর তাকে যেন অনবরত আর্কষন করে-নতুন দেশ,নতুন মানুষ দেশার নেশা তাকে পেয়ে বসে।কি হবে এই শুকনো পড়াচ্ছেন অন্য ছাত্রদের,এই যে দ্বীপ যার মধ্যে তোমরা বাশ করছ,এর তিন দিক ঘিরে রয়েছে যে সমুদ্র,তাঁর বুকে এরকম আরও বহু দেশ আছে।
আমদের কাছেই আছে অঙ্গদ্বীপ যমদীপ শঙ্কদ্বীপ কুশদ্বীপ,বরাহদীপ,কৈরদ্বীপম,সুবর্ণদ্বিপ এমন আরও কত!সমুদ্র বাধা প্রায় অলঙঘ্য কিন্তু যদি তোমাদের থাকে তোমাদের কেউ তাকে শাসন করতে পারো তো এইসব অচেনা দেশ দেখে এসো-সুবর্ণদ্বীপ!শান্তদাস চমকে উঠল।সুবর্ণ মানে তো সোনা।সে কি তবে সোনার দেশ?সবিনয়ে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করল শান্তদাশ,গুরুদেব সুবর্ণদ্বিপ কি সত্যি সোনা দিয়ে তৈরি?না বৎস শান্ত কণ্ঠে উত্তর দেন গুরুদেব।মাটির দেশ সেটা তবে সেখান কার মাটিতে নাকি বালু কনায় সোনা মেশান আছ!সেই জন্য তাঁর নাম সুবর্ণদ্বীপ বা সোনার দ্বীপ।তিনি আবার ছাত্রের পড়ায় মন দিলেন কিন্তু শান্তদাসের আর পড়ায় মন বসল না জানি সে কেমন দেশ।সে দেশ তো তাকে দেখতে হয়,যেমন করে হোক,নিইলে বেঁচে থাকায় বৃথা।ঘর বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়ল শান্তদাস সেই দিনেই।সোজা চলে গেলে সে সমুদ্রতীরে,পথ জিজ্ঞাসা করে করে।
সে শুনে ছিল যে এ রকম যান তৈরি করে কেউ কেউ সমুদ্র পাড়ি দেয়,তাঁরা ঘুরে আসে প্রান নিয়ে সে কি কারুর দেখা পাবে না সে চেষ্টা করলে?সমুদ্রতীরে পৌছে সে পাগলের মতো হাটতে থাকে।প্রতিদিন আর কেউ সুমদ্রযাত্রা করে না।যদি সে রকম যদি-বা সেরকম কোন দুঃসাহসী সেখা পায় তো-সে শান্তদাসের কোথায় কান দেয় না।অজানা সুমদ্র তাঁর মধ্যে অচেনা দ্বিপ-পাগলের মতো বকলেই হয়না।কে যাবে ওর কথা শুনে প্রান দিতে?সোনা?আমাদের দেশেই বা তাঁর অভাব কি?কিন্তু শান্তদাস তবুও হাল ছাড়ল না।সুমদ্রতীর ধরেই ক্রমগত দক্ষিনে এগিয়ে যায় সে।দিনের পর দিন কাটে-তবুও হতাশ হয়না। পন ওর দিঢ়তরই হয়।অবশেষে ঘুরতে ঘরতে দেখা হল ওর মতো একদল ভবঘুরের সাথে।তাদের সর্দার অচির সব কথা মন দিয়ে শুনলে।চোখ তারও জ্বলে উঠল কল্পনার সেই সোনার দেশ দেখে,মন্দ কি?ঘুরেই আসা যাক না একবার!সোনার দেশে পৌছে মুঠি মিঠি সোনা তুলে বস্তা বোঝাই করবে ওদের আর পায় কে!সবাই মিলে চেষ্টা করে প্রাণপণে এক ভেলা তৈরি করলে।বিরাট ভিলা ছোট-খাট জাহাজ একটা তাতে নিল খাদ্য আর জল-আর অস্ত্র।
তারপর শুভ দিন দেখে শিতকালের এক শান্ত দিনে বেরিয়ে পড়ল ওরা,উত্তরের বাতাস পাল তুলে দিয়ে।দীর্ঘ বিপদকুল পথ।দিক-জানার ভাল যায়গা নেই।রাত্রে ভরসা তাঁরা আর দিনে সূর্য।কোন মানচিত্র নেই।ঝপসা ঝাপসা ধারনা আছে একটা।দেশটা আছে কি নেই তাই বা কে জানে?ওরা চলছে শুধু জনবসতির ভরসা করে-শুনছে যে,এত সহস্র যোজন দক্ষিনে গিয়ে এত সহস্র যোজন পূর্বে যেতে হবে।ঝড়-জল পানির অভাব তুচ্ছ করে ওরা সেই জনশ্রতির পথেই চলেছে,পিছনের ওদের কোন টান নেই-গতি ওদের সামনে।অজানাকে জানতে হবে,বিপদকে জয় করতে হবে,এই বলে ওদের সাধনা।অবশেষে একদিন ওদের তরি তীরে এসে ভিড়ল।সেইটাই সুবর্ণের দেশ কি না জান নেই ঠিক,তবুও আর চলার ক্ষমতা নেই ওদের।তাছাড়া ওদের মন বলল,এইটাই সেই দেশ,যার জন্য জীবন পণ করে বেরিয়েছে-নিবিড় জঞ্জলে ঢাকা,উত্তর পাহাড় দিয়ে ঘেরা দেশ।কাছাকাছি কন মানুষ নেই-কোথাও ঘর বাড়ির চিহ্ন পর্যন্ত পাওয়া যায়না।হয়ত এই বা মানুষের প্রথম ছাপ পড়ল ওর সমুদ্র বেলায়।
সেই পাহাড়ের মুখ চেয়ে অচিরে মুখ সুখিয়ে উঠল।এখন কার বালুকনায় তো সোনা নেই,ভেতরে আছে কি না কে জানে!কিন তু ভিতরে যাবে ওরা কেমন করে।পথ কই?এই খাড়া পাহাড় পেরোতে পারলে হয়ত পথ আছে,হয়ত সোনার মাটি দেখা যাবে।কিন্তু পাহাড়ের বুকে তো কোন পথ নেই।শান্তদাস তবু দমল না।ও অচির কে অভয় দিয়ে বলল রসো।আমি ব্যবস্থা করছি।সে জাহাজ থেক গোটা-কতক বড় বড় গজাল পেরেক ব্যবস্থা করে নিয়ে এল।আর আনল খানিকটা লম্বা দড়ি।পাহাড়ের বুকে প্রাণপণে একটা পেরেক পোতে,আবার দাড়িয়ে নিচের পেরেক টা খুলে নিয়ে অপরে পোতে।এমনি করে ও চলে এগিয়ে।ওর কোমরের সঙ্গে দড়ি বাধা আছে,সেই দড়ি ধরে বাকি সবাই এগোয়।কারুর পড়ে যাবার সম্ভবনা নেই,পা পিছলে গেলে দড়ি ধরে সামলে নেয়।এই ভাবে অতি কষ্টে পাহাড় পেরিয়ে গেল।কষ্টের শেষ নেই-এক যায়গায় এমন ছিল যেখানে পেরেক পুতে দাড়ানো যায় না;সেখানে হাত-পা দিয়ে পাথর আকড়ে বুকে হেটে হেটে পার হতে হয়।কোথাও বা পাহাড়ের বেত ঝোপের মধ্যে আশ্রয় নিয়ে সেই বেত ধরে ধরে এগোয়।কিন্তু অত কষ্টের করে এপারে যা দেখলে তাতে মুখ শুকিয়ে গেল।
পাহাড়ের ঠিক নিচে দিয়ে খরশ্রতা পাহাড়ী নদী বয়ে চলেছে।ওরা জাহাজ থেকে ভেলা তৈরির কোন সরঞ্জাম নিয়ে আসেনি,তা ছাড়া যা স্রোত,কোন ভেলাই টিকত না।এখন উপায়?শান্তদাস উপায় বলেদিল নদীর ওপারে নিবিড় বাধন।বিরাট বাশগুলো ঝড়ের বেগে এক-একবার নদীর ওপরে শুয়ে পড়েছে আবার ঘুরে উঠে পড়েছে।নুয়ে পড়ার সময় তাদের ডগাগুলো এপার পর্যন্ত চলে আসছে এক-এক সময়।ওরা সেই মুহুর্তকাল সময়ের সদ্ব্যবহার করলে,অর্থাৎ চকিতের মতো যেমন বাধন গুলো নুয়ে পড়ে,ওরা তাঁর ডগা চেপে ধরে আবার উপরে গিয়ে সোজা হতেই নেমে পড়ে।এত কান্ড করে তো বেশি নেই এপারে একটু এগিয়ে গেলেই আবার পাহাড়।সমস্ত দেশটাই যেন পাহাড়ে তৈরি!অবশ্য খাবারের অভাব নেই,ফল-মূল-ঢের-কিন্তু এমন করে এত কষ্ট করা যাই?যাই হোক,অচিরের মাথায় একটা বুদ্দধিম এল।এপারে কতো গুলো বুনো ছাগল চরছিল-বড় বড় বুনো পাহাড়ি ছাগল।কতো গুলো বুনো ছাগল ধরে ওরা তাইতে চেপে বসল,ছাগল গুলো নিয়ে ওদের অনায়াসে পাহারে উঠতে লাগল।তাঁরা পাহাড়ে ঘোরে,কাজেই যেটা মানুষের পক্ষে সেটা কষ্টকর,তাদের কাছের খুবি সোজা।ফলে ওদের পা একটু বিশ্রাম পেলে-ভ্রমণের আনন্দ একটুকু একটুকু পেটে লাগল ওরা। এমনি করে সারাদিন চলে সন্ধ্যার ঠিক আগে এক মহাবিপদে পড়ল বেচারিরা।জনমানব বিহিন দেশে এতক্ষন ওরাই ছিল সর্বেসর্বা,হাঁঠাৎ নির্জন শান্ত পাহাড়ের বুকে প্রতিধ্বনি জাগল-মানুষের কণ্ঠশ্বর না।ওদের গলা নয়।
এ সম্পুর্ন অপরিচিত গলা।হ্যাঁ-ঐ ওরা আসছে বিপরীত দিক হতে।এর একদল ওদের মতো বোধায় সোনার সন্ধানে এসেছে।অচিরের দৃষ্টি ক্রু হয়ে উঠল।সে হুকুম দিল মার ওদের,এত কষ্টের পর সোনার ভাগ দিতে পারব না।শান্তদাস ওদের শান্ত করবার চেষ্টা করলে;কোথায় সোনা তাঁর ঠিক নেই,মিছিমিছি মানুষ মেরে লাভ কি?এত বড় দেশ,ওর তখন মাথায় খুন জেগেছে-কোন প্রতিদ্বন্দ্বী সইতে রাজি নয়।তাই হল।তাদের দলে ছিল লোক কম-অচিরের দলের সঙ্গে পারলে না তাঁরা।এরা তাদের আর কোন চিহ্ন বোধায় রইল না।এই অকারনে নরহত্যা শান্তদাসের ভাল লাগল না।অথচ উপায় নেই,সে একা কি করতে পারে?সে রাতের মতো ওরা,সেইখানে শুয়ে পড়ল।শুকনো পাতার আগুন জ্বেলে বেড়া করে নিল।ছাগলগুলো লতা পাতায় বাধা রইল,পরের দিন ভোরে ঘুম ভাঙ্গতেই এক অর্পব দৃশ্য ওদের চোখে পড়ল।
প্রথমে মনে করেছিল ওটা মেঘ,কিন্তু পরে দেখল যে না-কি এক জাতের পাখি বিশাল ডানা মেলে আকাশ অন্ধকারে করে উড়ছে!কতকটা শকুনের মতো-তবে আরও অনেক বড়।হঠাৎ অচিরের মাথায় একটি বুদ্ধি খুলে গেল।সে বললে,ঐ ছাগলগুলো কে মেরে ফেলা যাক।লোমের দিকটা থাকবে ভেতরে আর মাংসের দিকটা থাকবে উপরে।শান্তদাস তো অবাক!তাতে কি হবে?অচির হেসে বলল,তাও বুঝলে না?উপার থেকে ঐ পাখিগুলো আমাদের দেখে মনে করবে মাংসের ডেলা খাবর মনে করে ছো মরে তুলে নিয়ে গিয়ে বাসায় ফিরবে।তাঁর ফলে ঐ পাহাড় গুলো পার হওয়া যাবে অনায়াসে,হয়তো ওরা যেখানে নিয়ে ফেলবে সেখনে হয়ত সোনা আছে,নইলে উপার থেকে আমারা দেখে নিত পারব ঐ দেখে কোথায় কি আছে!সকলেই এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে উঠল।হ্যাঁ,বুদ্ধি বলে তো এই।খালি শান্তদাসের একটু কষ্ট হল ভাগ্যকুল কে বেচারি কাল থেকে মুখ বুজে রয়েছে,অকারনে মারা হল বেচারিদের। যাই হোক,সবাই পিঠে সেই আমচর্ম কাচা ছাগল বেধে প্রস্তুত হয়ে বসল।
দেখা গেল অচিরের হিসাবে কিছুমাত্র ভুল হয়নি।একটু পরেই বড় বড় পাখীগুলো ডানার ঝাপটে চারিদিকে যেন ঝড় তুলে এসে নামল এবং একে একে মুখে করে তুলে নিয়ে আবার আকাশে উঠল।এর পর দলের বাকি লোকগুলোর সঙ্গে যে কি হল শান্তদাস জানে না।কেন না আর দলের কারুর সঙ্গে দেখা হয়নি-তাঁর ভাগ্য এর পর তাকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে ফেললে বিচিত্র এক ভবিষ্যতের মধ্যে!ও তো উঠল আকাশে,এর মধ্যে ভরসা করে ও চারিদিক তাকিয়ে দেখবার আগেই,আর এক পাখি খাদ্যর লোভে এসে করলে সেই পুরনো পাখিটাকে আক্রমণ।বিষম ঝটাপটি,খবার নিয়ে কাড়াকাড়ী এক সময়ে কার নখের আঘাতে ওর চামড়া গেল কেটে,এবং শান্তদাস এই মহাশুন্য থেকে পড়তে লাগল নিচে।সে একবার ভার মাকে স্মরণ করলে,আর গুরুদেব কে।মৃত্যু তো অনিবার্য এত উঁচু থেক পড়লে কি আর মানুষ বাঁচে?কিন্তু ঈশ্বর ওর উপর প্রসন্ন-শান্তদাশ মরল না।
মাটিতে বা পাহাড়ে না পড়ে পড়ল গিয়ে জলে।বিশাল এক শান্ত সরোবর, অজস্র পদ্মের মেলা,তাঁর মধ্যে পড়ে আবার ভেসে উঠল।সাতার ভালই জানত,সুতরাং একটু চেষ্টা করেই তীরে এসে পৌছল। এইবার সে ভাল করে চারিদিকে চেয়ে দখল।কি সন্দুর দেশ,কি মনোরম দৃশ্য!চারিদিকে প্রকৃতির যেন অজস্র দান!আহা,সুবর্ণ যদি এরই নাম হয় সার্থক নাম! কিন্তু ও কি! শান্তদাস চমকে উঠল।ও কার কুঠির ঐ দূরে?এখানে তাহলে মানুষ আছে!তারও আগে এসেছে?কি করবে ভাবছে,এমন সময়ে কুঠিরের দ্বার খুলে বেরিয়ে এলেন জটাজুটধারি এক ঋসি-মুখে তাঁর অভয় হাসি,দৃষ্টিতে প্রসন্নতা।তিনি কাছে এসে ওরই মাতৃভাষায় শান্তদাসকে সম্বোধন করে বললেন,তোমারই অপেক্ষা করছিলাম।জানতাম তুমি আসবে।শান্তদাস তাকে প্রনাম করে বললে,প্রভু এই কি তাহলে সুবর্ণ দ্বিপ।কিন্তু সোনা কোথায়?মাঠি এখান কার সোনা নয় কিন্তু এ সোনার মাটি বৎস!এদেশে যা আছে,তা আর কোথায় নেই।
আর সেইজন্যই তোমার এখানে আগমন।তুমি বার্তা বয়ে নিয়ে যাও তোমার দেশে ভারতভুমিতে।সেখানকার অধিবাসীদের জন্য।এই সোনার দেশ বিপুল ঐশ্বর্য-সম্ভার নিয়ে বসে আছে।এখানকার ইতিহাস রচনা করবে ভারতবাসি-বানিজ্য পথ ধরে আসবে তাঁরা,ক্রমে বিশাল এক সাম্রাজ্য গড়ে তুলবে।তুমি সেই উজ্জব ভবিষ্যতের উপললক্ষ্য মাত্র।যাও বৎস,দেশবাসি কে এর সন্ধান দাওগে।ভারত মহাসমুদ্রের বুক যেন বাণিজ্যতরাতে ঢেকে যায় একদিন! আমি এরই প্রতীক্ষায় বসে ছিলাম।সেই ঋষির পথ দেখিয়ে দিলেন শান্তদাসকে,ব্যবস্থা করে দিলেন ভারতবর্ষের ফিরে আসার।দেখতে দেখতে এই বার্তা ছড়িয়ে পড়ল দেশ থেকে দেশান্তরে,বড় বড় বাণিজ্যতরী যাত্রা করল সেই সুবর্ণ দবীপের সন্ধানে-সেখানকার মাটিতে সোনা ছড়ানো না থাকলেও,সোনা সেখানকার মাটিতে সত্যি ফলে।
তারপর শতাব্দীর পর শতাব্দী যেমন কেটেছে,ভারত বর্ষের একি বিরাট উপনিবেশ,এক মহাশক্তিশালি সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে সেখানে।শৈলেন্দ্রবংশীয় নরপতির প্রতাপে শ্রীবিজয় সাম্রজ্যের খাতি সুদুর চিন থেকে আরব পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে একদা।কিন্তু সে অন্য গল্প।ভারতবাসিদের সে গৌরবময় ইতিহাস তোমরা এর পর পড়।জাভা,সুমাত্রা,মালয়,বালি,,একদিন তমারদেরই উপনিবাশ ছিল,সেখানকার সাম্রাজ্যর ও শক্তি তোমারদের পূর্বপুরুষ একদিন গড়ে তুলেছিলেন-এইটাই শুধু জেনে রাখো এইখানে।কথাটা ভাবতে ভাল লাগে,না?