ইয়াজুজ ও মাজুজের কাহিনী-২য় পর্ব

ইয়াজুজ ও মাজুজের কাহিনী-১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

জুল কারনাইনের অসীম শক্তি ও কৌশল দেখে সেখানের সমস্ত মানুষ তাঁর নিকট ইসলাম গ্রহণ করে দ্বীনদারের অন্তর্ভুক্ত হবার সৌভাগ্য লাভ করে। কিয়ামত পর্যন্ত তারা ইয়াজুজ ও মাজুজের জুলুম থেকে নিরাপদ থাকবে বলে হাদীস গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে। হযরত আলী (রাঃ) এর বর্ণিত এক হাদীসে জানা যায়, ইয়াজুজ ও মাজুজ প্রতিদিন পাহাড় ও লৌহ প্রাচীরের অবরোধ ভেদ করার জন্য নানা রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এক বর্ণনায় জানা যায় যে তারা ভোর থেকে আরম্ভ করে সন্ধ্যা পর্যন্ত জিহ্বা দ্বারা দেয়াল চেটে পাতলা করে ফেলে। সন্ধ্যার সময় তারা মনে করে বাকিটুকু কালকে চেটে শেষ করে আমরা মুক্ত পৃথিবীতে বেরিয়ে পড়ব। একথা ভেবে যখন তারা অলসভাবে রাত্রি যাপন করে ভোরবেলা পাহাড়ের কাছে আসে তখন তারা পাহাড়কে পূর্বের ন্যায় পুরু দেখতে পায়। এভাবে ইয়াজুজ ও মাজুজ প্রতিদিন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে। কিয়ামতের পূর্বে নির্দিষ্ট একদিন তাদের প্রতি মুক্ত পৃথিবীতে বের হবার হুকুম হবে।

সেদিন তাদের চাটা পাতলা দেয়াল আর পূর্বের ন্যায় পুরু হবে না। ফলে দেয়াল ভেংগে তারা বেরিয়ে আসবে। সেদিন তারা দলবদ্ধভাবে এমন দ্রুত গতিতে আসবে, দেখলে মনে হবে যেন উপর থেকে গড়িয়ে তারা নিচের দিকে পড়ছে। তাদের সংখ্যা হবে পৃথিবীর মানুষের চেয়ে অনেক বেশি। সমস্ত পৃথিবী ব্যাপী অত্যাচার, অনাচার ও ধংসলীলা চালনার পরে আল্লাহ তায়ালার এক বান্দার দোয়ায় এরা একদিন সমূলে ধ্বংস হয়ে যাবে।

সূত্রঃ কুরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিণী

ইয়াজুজ ও মাজুজের কাহিনী-৩য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন  

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।