বেড়াল কেন ইঁদুর খায় (দক্ষিণ নাইজেরিয়ার উপকথা)

রাজা আনসা গত পঞ্চাশ বছর ধরে কালাবারের রাজা হয়ে রাজত্ব করছেন। গোঁয়ার গোবিন্দ,আর রগচটা রাজা, কিন্তু তার একটা বেড়াল ছিল যাকে তিনি খুব ভাল বাসতেন। বেড়ালটা আবার রাজার ভাঁড়ার আর ঘরদোরের দেখাশুনাও করত।

আর ছিল একটা ইঁদুর। সেটা রাজার চাকরের কাজ করত। ইঁদুরটা ছিল কিন্তু খুব গরীব, আর সে যখন রাজামশাইয়ের এক দাসীকে ভালবেসে ফেলল তখন হল মুশকিল, কেননা কিছু দাসীকে উপহার হিসাবে কিছু কিনে দেবার পয়সাও তার কাছে নেই। কিন্তু পয়সা না থাকলে কি হবে, একটু বুদ্ধি খরচ করে সে ঠিক করে নিল যে রাজামশাইয়ের ভাঁড়ার ঘরের থেকে কিছু নিয়ে উপহার হিসাবে দিলেই ভাল হবে। আর সেই অনুযায়ী ভাড়ারের ছাদে একটা ছোট্ট ফুটো করে ইঁদুর বাবাজী তো ভাঁড়ার ঘরে ঢুকে গেল।

আর সেখান থেকে কিছু ভুট্টা আর আতা চুরি করে নিয়ে সেই দাসীকে উপহার হিসাবে দিল। ওদিকে মাসের শেষে বিড়াল যখন ভাঁড়ারের হিসাব মেলাতে লেগেছে, তখন দেখে যে ভুট্টা আর আতার হিসাবে গন্ডগোল। বেশ কিছু জিনিষ হিসাবে কম পড়ছে। রাজা মশাই একে রগচটা লোক, তার উপরে এই হিসাবের গরমিল দেখে বিড়ালের উপর বেশ রেগেই গেলেন। বিড়াল কিন্তু ভেবে পায়না কি ভাবে এই চুরী হয়েছে, এমন সময় তার এক বন্ধু এসে বলে যে এসব ইঁদুরের কাজ। ইঁদুর এইসব নিয়ে তার বান্ধবীকে উপহার হিসাবে দিয়েছে।

বেড়াল এসে রাজামশাইকে একথা বলতে, রাজাবশাই তো সেই দাসীকে ডেকে আচ্ছা করে মার লাগালেন।ইঁদুরটাকে বেড়ালের কাছে ছেড়ে দিলেন। আর বেড়াল আর ইদুরকে তাঁদের চাকরী থেকেও তাড়িয়ে দিলেন। বেড়াল গেল ভীষন রেগে, আর তাই ইঁদুরকে জ্যান্ত খেয়ে ফেলল। সেই থেকে সব বেড়াল ইঁদুর দেখলেই খেয়ে নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *