হযরত মুছা (আঃ) এর আল্লাহ কর্তৃক দর্শন লাভ- ৩য় অংশ
হযরত মুছা (আঃ) এর আল্লাহ কর্তৃক দর্শন লাভ- ২য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ইতোমধ্যে হযরত জিবরাঈল (আঃ) চার হাজার ফেরেস্তাসহ জমরুদ পাথরের লিখিত অসংখ্য ফলক এনে হযরত মুছা (আঃ) এর সম্মুখে রেখে দিলেন। উক্ত ফলকে এক হাজার সুরা লিখিত ছিল। প্রত্যেক সুরায় এক হাজার আয়াত ছিল প্রায় সুরা বাকারার সমান। উক্ত সুরা সমুহে এক হাজার সুখবর, এক হাজার সাবধান বানি। এক হাজার আদেশ এক হাজার নিষেধাজ্ঞা ছিল। উক্ত কিতাবে আরও ছিল শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পদমর্যাদার বিবরণ ও প্রশংসা।
হযরত মুছা (আঃ) হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রশংসা দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, হে মহান প্রভু! মুহাম্মদ নামের ব্যক্তি টি কে? আল্লাহ তায়ালা তার জবাবে বললেন, তিনি শেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। তাকে সৃষ্টি না করলে আকাশ মন্ডলের কিছু সৃষ্টি করা হত না। তার এক এক জন উম্মতের পদ মর্যদা বনি ইসরাইল এর নবী গনের চাইতে অনেক বেশি। তিনি আমার বন্ধু তাকে আমি তার পার্থিক জীবনে আমার আরশ প্রদর্শন করাব এবং নিজে আমি তাকে সম্মুখে দর্শন দেব। যা আর কোন নবী কে দেওয়া হবে না। তার উম্মতের জন্য অসংখ্য মর্যাদার দ্বার খুলে রাখা হবে। স্বাভিক অবস্থায় যে কোন নেক কাজের জন্য তাদের কে দশগুণ ছওয়াব প্রদান করা হবে। তার একটু উম্মতের সুন্নত পালনের জন্য বহু শহিদের মর্যাদা প্রদান করা হবে। আরও অসংখ্য মর্যাদার দ্বার তাদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। হযরত মুছা (আঃ) এ সমস্ত কথা শুনে আরজ করলেন, হে প্রভু! তুমি আমাকে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মতের অন্তভুক্ত করা করে নাও।
আমি এই মুহুর্তে পাঠ করলাম “লাই-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ” আলাহাতালা তখন হযরত মুছা (আঃ) জানিয়ে দিলেন তুমি আজ হতে দ্বিগুণ নবুয়াতী মর্যাদা লাভ করলে এবং পরে আমার সাথে কথা কোপনের জন্য কলিমুল্লা উপাধিতে ভূষিত হলে। তোমার এ মর্যাদা অন্যন্যা নবীর চাইতে অধিক সন্মান জনক। হযরত মুছা (আঃ) আরও আরজ করলেন, প্রভু! পাথরের ফলক কে কিভাবে আমি বহন করে নিব। আল্লাহ তায়ালা বলেন তুমি চিন্তা কর না এগুলা ফেরেস্তারা বহন করে তোমার ঘরে দিয়ে আসবে। তুমি শুধু এর হুকুম আহকামের ওজন বহনের চিন্তা কর।
সূত্রঃ কুরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী
হযরত মুছা (আঃ) এর আল্লাহ কর্তৃক দর্শন লাভ- ৪র্থ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন