হযরত মূসা-(আঃ) এর স্বদেশ ভূমে যাত্রা

দীর্ঘ দশ বছর পর্যন্ত মাদইয়ানে অবস্থানের পর হযরত মূসা (আঃ) এর মিসরে অবস্থিত মা, বোন এবং বড় ভাই হযরত হারুন (আঃ) এর সাথে সাক্ষাতের তীব্র আকর্ষন সৃষ্টি হয়।

তিনি শ্বশুর হজরত শুয়াইব (আঃ) থেকে বিদায় নিয়ে স্ত্রী সফুরাসহ মিসরের দিকে যাত্রা করেন। অন্য এক বর্ণনা অনুসারে তিনি মাদইয়ান হতে মিশর অভিমুখে যাত্রার প্রাক্কালে সাথে শুধু স্ত্রী সফুরাই ছিলেন না। দাসসাসী, খাদেম, ফেসবুকে এক বিরাট দলও ছিল। অনেকে শ্বশুর শুআইব (আঃ) কর্তৃক দেয়া অসংখ্য ছাগল বকরীও এ সময় সাথে থাকার কথা উল্লেখ করেছে। আগেই বলা হয়েছে তিনি কিবতী হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তারী এড়ানোর জন্যই মিশর থেকে মাদইয়ানে হিজরত করেছেন দীর্ঘ দশ বছর পরে গ্রেপতারী জনিত বিপদাশংকা না থাকারই সম্ভবনা।

তবুও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কেননা, সাথে অনেক দ্রব্য সামগ্রী, দাসদাসী, সেবক সেবিকা এবং ছাগল বকরী রয়েছে যা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য যথেষ্ট। তদুপরী মাদইয়ান হতে মিসর অভিমুখ বিভিন্ন এলাকায় শাসকরা ছিল খুবই জালেম। তাই শুআইব (আঃ) এর উপদেশ অনুসারে প্রধান সড়ক এড়িয়ে একটি অপরিচিত সড়ক ধরে তিনি মিসরের দিকে এগুতে থাকেন।

এ সড়ক দিয়ে সাধারণত লোকজন খুব কমই চলাচল করে। সময়টি ছিল শীতের মৌসুম। মূসা (আঃ) এর স্ত্রী সফুরা এ সময় ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। যে কোন সময় সন্তান জন্ম হতে পারে। এ অবস্থায় রওয়ানা হয়ে মাদইয়ান থেকে এক দিনের পথ অতিক্রম করে এক স্থানে তিনি যাত্রা বিরতি করেন।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।