►ডরমিটরিতে ভূত◄

২০০৬ সাল।

চাকরির সুবাদে ডর্মিটরিতে থাকতাম। সেটা ছিল UNO-এর বাসা থেকে একটু দূরে—একটি দুইতলা বিল্ডিং। এর দুই দিকেই ধান চাষ হতো। জানালাগুলো ছিল গ্লাসের। আমার খাটের পায়ের দিকে একটা জানালা ছিল।

কোনো এক বৃহস্পতিবার অফিস থেকে ফিরে দেখি, অন্য সবাই বাড়ি চলে গেছে। ডর্মিটরিতে আমি একা।

রাত ১টা পর্যন্ত টিভি দেখে বাল্ব বন্ধ করে শুয়ে পড়লাম। বাইরে ১০০০ ওয়াটের চারটি বাল্বের আলোয় ধানক্ষেত, পুকুর—সবকিছু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল।

হঠাৎ দেখি, জানালার গ্লাসের বাইরে থেকে কালো চাদর মুড়ি দেওয়া এক লোক রুমের ভেতরটা দেখার চেষ্টা করছে!

আমি প্রথমে চোর ভেবে ঘুমের ভান ধরে দেখছিলাম, সে কী করে। কিন্তু লোকটা একইভাবে দাঁড়িয়ে রুমের ভেতরটা দেখছে।

কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললাম, “এই! কে?”

তখন লোকটা জানালা থেকে সরে গেল।

আমি দ্রুত বিছানা ছেড়ে জানালায় দাঁড়ালাম, এবং এক মুহূর্তের জন্য স্থির হয়ে গেলাম।

যা দেখলাম, তা আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা!

লোকটা আস্তে করে ধানক্ষেতে নামলো, তারপর পুকুরের দিকে যেতে লাগলো। কিন্তু…

তার পা বা শরীরে কোনো মাংস নেই! কেবল হাড়—একটা কঙ্কাল!!

আরও ভয়ংকর ব্যাপার—সে ধানগাছের কয়েক ফুট উপরে ভেসে ভেসে হাঁটছে! তার পা মাটিতে পড়ছে না!

সে পুকুর পর্যন্ত গিয়ে ডান দিকে মোড় নিয়ে UNO-এর বাসার দেয়াল টপকে ঢুকে পড়লো!

সারা রাত আর ঘুমাতে পারিনি সেদিন…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়তে পারেন...

সততার মূল্য

‘সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা’—এ প্রবাদটি আমরা সবাই জানি। কেবল প্রবাদে নয়, পবিত্র কোরআন ও হাদিসেও সততার…

গাধা ও গরু

মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং অন্যান্য সব প্রাণীকে মানুষের অধীন…

ভজনের কপাল

ভজন বেলপাহাড়ির মানুষ নয়।ওর বাড়ি ঝাড়্গ্রামের ওদিকে।জমিজমা কিছু নেই।জঙ্গলের পাতা কুড়িয়ে নয়তো বাবুইঘাসের দড়ি পাকিয়ে…