সব হাদিয়া গ্রহণযোগ্য নয়
হাদিয়া (তোহফা) গ্রহণ করা সুন্নত, কিন্তু বুযুর্গানে দিন যে কোন ধরণের হাদিয়া গ্রহণ বা পছন্দ করতেন না। যেমনঃ এক উস্তাদ ক্লাসে ছাত্রদের হাদীস পড়াচ্ছিলেন। খাদ্যের অভাবে তিনি কয়েক দিন উপবাস ছিলেন। তবুও ক্ষুধার্ত হওয়ার কথা কাউকে বলেননি। ছাত্ররা চেহারা দেখে বুঝে নিল হুজুর খুবই ক্ষুধার্ত। তাড়াতাড়ি একজন ছাত্র ক্লাস থেকে বাহিরে চলে গেল কিছুক্ষন পর খাঞ্জা বোঝাই করে উন্নত মানের খাবার নিয়ে হাজির হলো। বললো, হুযুর! এগুলো গ্রহণ করুন।
খাঞ্জার পোলাউয়ের সুগন্ধ তখন ছড়িয়ে পড়েছে। বুযুর্গ বলেলন, “এগুলো ফিরিয়ে নিয়ে যাও, এগুলো আমি গ্রহণ করব না।
ছাত্ররা অবাক হল! হুজুর কেন এ হাদিয়া গ্রহণ করছে না। তারা কোন কারণ খুঁজে পেল না। উস্তাদের হুকুম অমান্য করা বেয়াদপী তাই ছাত্রটি খাবার ফিরিয়ে নিয়ে গেল।
কিছুক্ষন পর ছাত্র ঐ একই খাবার নিয়ে হাজির হলো বললো, “হুজুর এবার খাবারগুলো গ্রহণ করুন।
উস্তাদ এবার খাবার দেখে খুবই আনন্দিত হলেন। তিনি খাদ্য গ্রহণ করলেন এবং আহারে পর তৃপ্তির সাথে আল্লাহ পাকের শুকুর আদায় করলেন। ছাত্ররা এবার বললো, হুজুর, যে খাবার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সে একই খাবার দ্বিতীয়বার আনার পর গ্রহণ করলেন- আমরা এর কারণ বুঝতে পারলাম না।
“যে জিনিস পাওয়ার জন্য মনে অপেক্ষা থাকে না সেরুপ হাদিয়া গ্রহণ কর।
তোমরা যখন আমার ক্ষুধার্ত হওয়ার কথা বুঝে ক্লাস থেকে বের হলে তখন আমি ভাবলাম খাবার আনতে গিয়েছ। আমার মন তখন খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিল। তাই খাবার পৌছার পর আমি তা প্রত্যাখান করলাম।
“প্রত্যাখ্যান করা খাদ্য যে আবার ফিরে আসবে একথা আমি ভাবিনি।
খাদ্যের জন্য আমার মন অপেক্ষাও ছিল না। কাজেই সে হাদিয়া গ্রহণ করলাম। (আল এফাযাতুল য়্যাওমিয়্যাহ খন্ড-৮ পৃষ্ঠা-৫২)