হযরত ইদরীস (আঃ) এর স্বেচ্ছায় মরণ বরণ
হযরত ইদরীস (আঃ) আযরাঈল (আঃ) এর পরিচয় অবগত হয়ে বলেন, আপনি কি দুনিয়ার যাবতীয় প্রাণীর জান কবজ করে থাকেন? আযরাঈল বলেন, হ্যাঁ। ইদরীস (আঃ) বললেন, আপনি আমারও জান কবজ করতে এসেছেন। আযরাঈল বলেন, না, আপনার সাথে আমি ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করতে এসেছি। আমার একান্ত ইচ্ছা যে, আপনি আমার সাথে এ প্রস্তাবে রাজি হবেন।
হযরত ইদরীস (আঃ) বলেন, আমি আপনার সাথে এ শর্তে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করতে পারি যে, আপনি আমাকে একবার মৃত্যুর অবস্থাটা উপভোগ করাবেন। যদি আপনি আমাকে এখনই একবার মৃত্যুর অবস্থাটা উপভোগ করান, তবে আমি অনেকটা উপকৃত হব। কেননা, তাতে আমি মৃত্যুর ভয়ে অধিক পরিমানে আল্লাহর ইবাদতে রত হতে পারতাম। আযরাঈল বলেন, আল্লাহর বিনা অনুমতিতে আমি তা করতে পারি না। কারণ এখনও আপনার মৃত্যুর সময় আসেনি।
হযরত ইদরীস (আঃ) বললেন, আপনি আল্লাহর নিকট হতে অনুমতি গ্রহণ করুন। আযরাঈল (আঃ) তখন আল্লাহর দরবারে অমুমতি প্রার্থনা করলে আল্লাহ পাক তাঁকে অনুমতি প্রদান করেন। অনুমতি লাভের পর তিনি হযরত ইদরীস (আঃ) এর জান কবজ করেন। তার মৃত্যূর পরই আযরাঈল তাঁকে আবার জীবিত করে দেওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন। আল্লাহ তার প্রার্থনা কবূল করে হযরত ইদরীস (আঃ) কে পুনরায় জীবিত করেন। অতঃপর ফেরেশতা হযরত জিবরাঈল (আঃ) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ভাই ইদরীস (আঃ) বলুন তো জান কবজের অবস্থাটা কেমন মনে হয়েছিল।
জবাবে হযরত ইদরীস (আঃ) বললেন, ভাই আযরাঈল কোন জীবিত প্রাণীর দেহের চামড়া মাথা হতে পা পর্যন্ত টেনে ছাড়ালে প্রাণীটির যেমন কষ্ট হয় আমার তদ্রূপ কষ্ট অনুভূত হয়েছিল। ফেরেশতা জিবরাঈল (আঃ) বললেন, ভাই ইদরীস (আঃ) ! আমি আজ পর্যন্ত যত জান কবজ করেছি আপনার জান কবজ ন্যায় এ সহজে কারও জান কবজ করি নি। আপনার যাতে অল্প কষ্ট হয়, আমি সেদিকে খুবই লক্ষ্য রেখেছিলাম।