আল্লাহওয়ালাদের ক্ষমাগুন

এক চোর হযরত আম্মার বিন ইয়াসির (রহঃ) এর তাবুতে চুরি করতে ঢুকে ধরা পড়লে লোকেরা হযরত আম্মারের নিকট চোরের হাত কাটার অনুমতি চাইল। কিন্তু হযরত আম্মার চোরের অপরাধ ক্ষমা করে দিয়ে বললেন, আজ আমি চোরকে ক্ষমা করে দিলাম, যেন পরকালে আল্লাহ পাক আমাকে ক্ষমা করে দেন।

একবার হযরত মাসূদ (রাঃ) বাজারের এক দোকানে বসে কিছু আসবাব পত্র কিনলেন। অতঃপর তার মূল্য পরিশোধের জন্য পাগড়ীতে হাত দিয়ে দেখলেন সেখানে দেরহাম নেই। তিনি বললেন, আমি যখন এখানে এসে উপবেশন করি তখনো আমার পাগড়ীতে দেরহাম ছিল। পরে উপস্থিত লোকেরা চোরের উদ্দেশ্যে বদ দোয়া করে বলল, আল্লাহ যেন তাকে ধ্বংস করে দেন এবং তার হাত যেন কেটে পড়ে যায়।

কিন্তু হযরত ইবনে মাসউদ চোরের উল্লেখ করে আল্লাহ পাকের দরবারে আরজ করলেন, এহ আল্লাহ! চোর যদি বিশেষ কোন প্রয়োজনে আমার অর্থ নিয়ে থাকে তবে ঐ অর্থে তাকে বরকত দাও। এবং তার জরুরত পূরণ করে দাও। আর যদি নিছক অপরাধ বৃত্তের বশবর্তী হয়েই আমার অর্থচুরি করে থাকে তবে এ চুরিই যেন তার জীবনের শেষ চুরি হয়। ভবিষ্যতে যেন তার দ্বারা এরূপ অপরাধ সংঘটিত না হয়।

হযরত ফোজায়েল বিন আয়োজ বলেন, খোরাসানে এক ব্যক্তির সাথে আমার পরিচয় ছিল। আমার ধারণায় তিনি খোরাসানের শ্রেষ্ট বুজুর্গ ছিলেন। একবার তার সাথে আমি হেরেম শরিফে বসা ছিলাম। কিছুক্ষণ পর তিনি তাওয়াফ করতে উঠে গেলেন। এ সময় তার দিনার চুরি হয়ে গেল। দিনার চুরি হয়ে যাওয়ার পর তিনি বিষণভাবে কাঁদছিলেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আমি আল্লাহ পাকের সামনে দাড়িয়েছি। চোরকে তার অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে সে সন্তোষ জনক কোন জবাব দিতে না পেরে বড় অসহায় ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। তার ঐ করুন অবস্থা কল্পনা করেই আমি কাঁদছিলাম।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।