হযরত ওমর ইবনে আঃ আজীজ
হযরত ওমর ইবনে আঃ আজীজ (রহঃ) একাধারে শরীয়তের ইমাম ফকীহ মোজতাদেহ এবং সুন্নত বিষয়ে অভিজ্ঞ ছিলেন। তিনি প্রশস্ত অন্তরের অধিকারী, আল্লাহ পাকের অনুগত আবেদ এবং কালামে পাকের হাফেজ ছিলেন। তিনি সব সময় আল্লাহর দিকে ধাবিত হতেন এবং তওবা করতেন। এক কথায় হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজীজ (রহঃ) দ্বীনের হুজ্জত ছিলেন। তার দ্বীনদারী ও ন্যায় পরায়নতা দ্বারা উদারণ দেয়া হয়।
হযরত ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন, খলীফা পাঁচ জন আবূ বকর, ওমর, ওসমান আলী (রাঃ) এবং ওমর ইবনে আজীজ (রহঃ)।
হযরত মোজাহেদ (রহঃ) বলেন, আমরা হযরত ওমর ইবনুল আব্দুল আজীজ (রহঃ) কে শিক্ষা দিতে এসেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেরাই তার নিকট থেকে শিক্ষা গ্রহণ করালাম। মাইমুন ইবনে মেহরান বলেন, হযরত ওমর ইবনে আজীজ (রহঃ) এর সামনে আলেমদেরকে তার শিষ্যতুল্য মনে হল।
এক বুজুর্গ বলেন, একদা আমি দেখতে পেলাম, এক ব্যক্তি হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজীজের হাতে ভর দিয়ে হাঁটছেন। আমি মনে মনে বললাম, এটা বড় অন্যায় কথা। পরে তিনি নামায থেকে অবসর হলে, আমি নিকটে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, যে লোকটি আপনার হাতে ভর দিয়ে হাঁটছিলেন তার পরিচয় কি?
তিনি পাল্টা প্রশ্ন করলেন, তুমি কি তাকে দেখতে পাওনি? আমি বললাম হ্যাঁ। আমি তাকে দেখতে পেয়েছি। অতঃপর তিনি আমার নেক বখতীর প্রশংসা করে বললেন, ঐ ব্যক্তি ছিলেন আমার ভাই হযরত খিজির (আঃ), আমাকে সুসংবাদ দিয়ে গেলেন যে, অচিরেই আমি বাদশাহী এবং ইনসাফ কায়েম করব।
মোয়াবিয়াহ ইবনে ছালেহ বলেন, আমার নিকট ছাইদ ইবনে ছুয়াইদ (রহঃ) বলেছেন, যে হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজীজ একবার জুমআর নামাযের ইমামতির পর আমাদের সাথে বসলেন। তার গায়ের জামাটিতে তখন তালি লাগানো ছিল। কেউ তাকে বলল, আল্লাহ পাক আপনাকে প্রচুর সম্পদ দান করেছেন। সুতরাং আপনি যদি উত্তম লেবাস পরতেন, তবে ভাল হতো।
হযরত মালেক বিন দিনার (রহঃ) বলেন, মানুষ আমাকে জাহেদ বলে কিন্তু প্রকৃত পক্ষে জাহেদ হলেন হযরত ইবনে আব্দুল আজীজ (রহঃ)। তার নিকট অজস্র ধারায় দুনিয়ার সম্পদ এসেছে কিন্তু তিনি তার সরকারী কোষাগারে জমা করে দিলেন এবং গোলাম কে বললেন, তুমি এমন স্থানে চলে যাও যেন কেউই তোমার সন্ধান করতে না পারে।