আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনেয়ী

ইরানের একটি প্রদেশের নাম খোরাসান। খোরাসানের রাজধানী মাশহাদ। সেখানে এক ধর্মীয় পরিবারে জন্ম হল একটি শিশুর। সেটি ১৯৩৯ সালের ১৫ জুলাই। এই শিশুই পরবর্তীকালে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হন। ইমাম খোমেনীর ইন্তেকালের পর বর্তমান ইরানের তিনিই রাহবার। তিনি আধ্যাত্মিক নেতা। সেদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে তিন দিক নির্দেশনা দান করেন।

মাশহাদে প্রাথমিক শিক্ষালাভেপর পর তিনি পবিত্র কোম শহরে যান। সেখানে পড়াশুনা করার সময় তিনি এমাম খোমেনীর ঘনিষ্ট সংস্পর্শে আসেন। ১৯৬২ সালে তিন ইমাম খোমেনীর নেতৃত্বে পরিচালিত ইসলামী আন্দোলনে যোগদান করেন। ইমাম খোমেনী সে সময় কোরআনে অবমানামূলক একটি বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন। আন্দোলনের প্রচন্ডতায় সরকার ইমাম খোমেনীকে গ্রেফতার করে। একই সাথে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীও গ্রেফতার হন। ইমাম খোমেনী এবং তাঁর একান্তই বিশ্বস্ত সহকর্মী আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর গ্রেফতারের প্রতিবাদে সারা ইরানে প্রচন্ড বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৭৬ সালের ৫ জুন শুধুমাত্র তেহরানেই ১৫ হাজার লোক শহীদ হন। শাহ ইমাম খামেনেয়ীকে বিদেশে নির্বাসনে পাঠালে আয়াতুল্লাহ খামানেয়ী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৮ সালে তিনি মাশহাদে ফিরে আসেন এবং ইসলামী বিপ্লবের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭৯ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী িইসলামী বিপ্লব শুরু হয়। বিপ্লবের পরপরেই ১৯৭৯ সালের মার্চে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বিপ্লবী পরিষদের একজন সদস্য মনোনীত হন।

 

১৯৭৯ সালের আগষ্টে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের উপ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হন। ডিসেম্বরে তিনি বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর অধিনায়ক হন। ১৯৮০ সালের ১৯ জানুয়ারী ইমাম খোমেনী তাকে তেহরান নগরীর জুময়ার নামাজের ইমাম নিযুক্ত করেন। ১১ মার্চ তিনি প্রতিরক্ষাপরিষদের উপদেষ্ট হন। এর আগে ৫ই মার্চ পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন।

ইরাকের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে ইমাম খোমেনী তাকে দক্ষিণাঞ্চলের রনাঙ্গনে পাঠান। আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী ১৯৮০ সালের ১লা অক্টোবরে নির্বাচনে ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তিনি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি সরকার পরিচানাতেও যোগ্যতার প্রমাণ দেন। ১৯৮৫ সালের ২০ আগস্ট পুনরায় তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী ফার্সী ছাড়াও আরবী, তুর্কী প্রভতি ভাষায় সুপন্ডিত। তিনি ইসলামী আদর্শ ও ইতিহাসের উপর অনেকগুলো মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন। তার গ্রন্থসমূহের মধ্যে বিখ্যাত হচ্ছে “আয়েন্দেহ সুলহে ইমাম হাসান।” ইমাম খামেনেয়ীর ইন্তেকালের পর আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী ১৯৮৯ সালের ৪ঠা জুন ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নতুন আধ্যাত্মিক নেতা নির্বাচিত হন।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!