বিপদে আল্লাহর সাহায্য

এক আবেদ হজ্জের সফরে রওয়ানা হয়ে আল্লাহ পাকের নিকট আরজ করল, হে পরওয়ারদিগার! আমি তোমার ঘর জেয়ারতের উদ্দেশ্যে বের হয়েছি। তুমি আমার যাবতীয় হাজত পূরণ কর।

আমি কোন বান্দার নিকট চাইব না। আবেদ পথে এক স্থানে যাত্রা বিরতী করল। কিন্তু বেশ কিছু  দিন কেটে যাবার পরও তাঁর আহারের কোন আয়োজন হল না। ফলে ক্রমে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে একদিন ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ল। এ নাজুক পরিস্থিতিতে সে মনে মনে এরূপ আলোচনা করল, এখন আমার জীবন বিপন্ন হওয়ার পথে।

এ মুহুর্তে জীবন রক্ষা করা আমার প্রধান কর্তব্য। আল্লাহ পাক নিজেই আত্মহনন কিংবা জীবন ধ্বংস করতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং জীবন রক্ষার্থে এখন মানুষের সাহায্যে প্রার্থনা করতে আর কোন বাঁধা  নেই। কিন্তু তাঁর মনে এ ধারণা সৃষ্টি হওয়ার পরই সে আবার ভাবল, ইতোপূর্বে আমি আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করে বলেছিলাম, মানুষের নিকট আমি কিছু চাইব না। এখন আবার সেই ওয়াদা ভঙ্গ  করছি কেন? তিনি তো আমার অবস্থা দেখছেন, আর নিশ্চয় তিনি বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করে থাকেন। সুতরাং আমি মৃত্যু বরণ   করলেও আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ করব না। অতঃপর সে কেবলামুখী হয়ে মাটিতে শুয়ে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে লাগল।

কিছুক্ষণ পর হঠাৎ এক অশ্বরোহী তাঁর শিয়রে এসে দাঁড়াল। তাঁর সাথে খাবার ও পানীয় ছিল। সে মুমূর্ষ পথিককে উঠিয়ে যত্নের সাথে আহার করিয়ে বলল, তুমি কাফেলার সাথে মিলিত হতে চাও? পথিক বলল, এখানে কাফেলা পাব কোথায়? অশ্বরোহী বলল, তুমি এখানে অপেক্ষা করার কিছুক্ষণ পরই এ পথে কাফেলা আসবে। অশ্বরোহী চলে  যাবার কিছুক্ষণ পরই দেখা গেল, পেছনে থেকে একটি কাফেলা আসছে।

বিখ্যাত বুজুর্গ জয়নুল আবেদীন (রহঃ)

অন্তরের অবস্থা