তবে এই পার্কের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য হলো, এই পার্কটিতে প্রকৃতির মূল পাঁচটি উপাদানের চারটিই একসঙ্গে আছে। আসলে প্রকৃতির মূল উপাদান পাঁচটি নয়, তবে আগেকার বিজ্ঞানীরা তাই মনে করতেন। তারা মনে করতেন প্রকৃতির মূল পাঁচটি উপাদান হলো আকাশ, মাটি, পানি, বায়ু আর আগুন। আর এই পার্কে তুমি যদি গিয়ে একটু কষ্ট করো, এর চারটি উপাদানকে একসঙ্গে দেখতে পারবে। পার্কটিতে মাটি, পানি, বায়ু আর আগুনকে একত্রিত করা হয়েছে। এই পার্কটিকে ঘিরেও আছে একটা মিষ্টি গল্প। অনেক আগে চিনের রাজা ছিলেন মু-গো। তিনি এতোই ক্ষমতাধর ছিলেন, যে তাকে বলা হতো ‘প্রাচ্যের রাজা’। তার স্ত্রীর নাম ছিলো ইন। তিনি একবার চিন্তা করলেন, তিনি এতো বড়ো রাজা, তার স্ত্রীকে খুশি করার জন্য তো তার কিছু একটা করা উচিত। যেমনি ভাবা, তেমনি কাজ। তিনি রাণীর জন্য স্যাংকুইংশানে একটি বাগান বানালেন। আর বাগানে একত্রিত করলেন প্রকৃতির চারটি মূল উপাদানকে। আকাশকে তো আর বাগানে আনা যায় না, তাহলে হয়তো পাঁচটি উপাদানই একসঙ্গে করে দিতেন। পরে সেই বাগানের জায়গায় এই অ্যামিউজমেন্ট পার্কটি বানানো হয়।
স্যাংকুইংশান
পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্য অ্যামিউজমেন্ট পার্কটি অবস্থিত চিনে, নাম স্যাংকুইংশান। পার্কটি অবশ্য খুব বেশি বড়ো নয়, কিন্তু তার রূপ এতোটাই অসাধারণ, যারা একবার ওখানে গেছে, তারা একবাক্যে স্যাংকুইংশানের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নেয়। পার্কটি চিনের জিয়াংজি প্রদেশের সাংরাও শহরে অবস্থিত। অসাধারণ সুন্দর এই পার্কের সবচেয়ে অদ্ভূত জিনিস হলো গ্রানাইট পাথরের কতোগুলো আশ্চর্য কাঠামো। কোনোটা দেখতে পিলারের মতো, কোনোটা দেখতে আবার গাঁয়ের বুড়ি মার মতো। একেক ঋতুতে আবার এই পার্ক নেয় একেক রকম রূপ। শীতকালে কুয়াশা মেখে পুরো পার্ক রহস্যময় হয়ে ওঠে। আবার বসন্তকালে সূর্যোদয়ের সময় পবিত্রতার প্রতিমূর্তি হয়ে যায়। পার্কে প্রাকৃতিক ঝর্ণা তো আছেই, সেখানে আবার চিনারা পুল বানিয়েছে। একবার চিন্তা করো, তুমি একটা পুলের উপর দিয়ে হেটে যাচ্ছো, আর তোমার পায়ের নিচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঝর্ণা, কেমন হবে ব্যাপারটা!