বেহেশতী হুরের সৌদর্য
বিখ্যাত বুজুর্গ সুফিয়ান সাওরীকে একবার তার কতিপয় দোস্ত বললেন, হে শায়েখ! আপনি এত কঠিন মোজাহাদা, মোশাহাদা না করলে ও তো আল্লাহ পাকের দরবারে উচ্চ মর্যাদা হাসিল করবেন। তথাপি কে এত পরিশ্রম করছেন? জবাবে তিনি বললেন, আমার এত মোজাহাদার কারণ হল, আমি শুনতে পেয়েছি, জান্নাতবাসীরা যার যার মঞ্জিলে অবস্থান করতে থাকবে। এমন সময় তাদের সামনে একটি নূর প্রকাশ পাবে। ঐ নূরের তীব্র আলোকে অষ্ট জান্নাতের সকল স্তর আলোকিত হয়ে যাবে। জান্নাতবাসীরা তাকেই আল্লাহর নূর মনে করে সিজদায় পড়ে যাবে। এই সময় এক ঘোষক জান্নাতবাসীদের লক্ষ্য করে ঘোষণা দেবে, হে জান্নাতবাসীরা! তোমরা কি একেই সামান্য বিকিরণ মাত্র। ঐ হুর তার স্বামীকে দেখে মৃদু হেসেছিল ঐ হাসি হতে যে নূর ঝরে পড়েছিল, এটা তার সামান্য ঝলক মাত্র।
এ ঘটনাটি উল্লেখ করে শায়েখ বললেন, সুতরাং হে ভাইসব একজন সুন্দরী হুরের জন্য মেহনত ও মোজাহাদা করলে যদি তাকে তিরস্কার করে হবে? অতঃপর তিনি এ বয়াতগুলো পাঠ করলেন-
অর্থাৎঃ এক ব্যক্তি হয়তো জীবনে বহু দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেছে জীর্ণ-শীর্ণ দেহে শুধু একটি যাদুর দেহে জড়িয়ে ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় মসজিদের দিকে দৌড়িয়েছে। কিন্তু একহ্ন সে জান্নাতুল ফেরদাউস হাসিল করেছে, সুতরাং তার আর কোন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। সে নফস তুমি আগুন দেখে সবর করতে পারনি কিন্তু এখন দুর্ভাগ্যের পর্যায় অতিক্রম করে সৌভাগ্য অর্জন করেছ।