নিজের সুখের জন্য হলেও মা বাবার সেবা যত্ন করো !

চড়ে এক কাফেলার সাথে হাজ্জ পালনের উদ্দেশে রওনা দিলেন। মাঝ পথে হটাত বাবা তার ছেলে কে বললেন, ‘‘তুমি কাফেলার সাথে চলে যাও, আমি আমার প্রয়োজন সেরেই তোমাদের সাথে আবার যোগ দিব, আমাকে নিয়ে ভয় পেও না,’’ এই বলে বাবা নেমে পরলেন উটের পিঠ থেকে। ছেলেও চলতে লাগল কাফেলার সাথে।

কিছুক্ষন পর সন্ধ্যা হয়ে এল, ছেলে আশেপাশে কোথাও বাবা কে খুঁজে পেলনা। সে ভয়ে উটের পিঠ থেকে নেমে উল্টা পথে হাটা শুরু করল। অনেক দূর যাওয়ার পর দেখল তার বৃদ্ধ বাবা অন্ধকারে পথ হারিয়ে বসে আছেন। ছেলে দৌড়ে বাবার কাছে গিয়ে বাবাকে জরিয়ে ধরলেন, অনেক আদর করে বাবা কে নিজ কাঁধে চড়ালেন, তারপর আবার কাফেলার দিকে হাটা শুরু করলেন।

তখন বাবা বললেন, ‘‘আমাকে নামিয়ে দাও, আমি হেটেই যেতে পারবো।’’ ছেলে বললো, ‘‘বাবা, আমার সমস্যা হচ্ছে না, তোমার ভার ও খোদার জিম্মাদারি। আমার কাছে সব কিছুর চেয়ে উত্তম।’’ এমন সময় বাবা কেদে দিলেন এবং ছেলের মুখে বাবার চোখের পানি গড়িয়ে পরল।

ছেলে বলল, ‘‘বাবা, কাদছ কেন?? বললাম না আমার কষ্ট হচ্ছে না।’’ বাবা বললেন, ‘‘আমি সে জন্য কাদছি না, আজ থেকে ৫০ বছর আগে ঠিক এই ভাবে এই রাস্তা দিয়ে আমার বাবা কে আমি কাঁধে করে নিয়ে গিয়েছিলাম। আর বাবা আমার জন্য দোয়া করেছিলেন এই বলে যে, ‘‘তোমার সন্তান ও তোমাকে এরকম করে ভালবাসবে।’’ আজ বাবার দোয়ার বাস্তব রূপ দেখে চোখে পানি এসে গেল।

বৃদ্ধ মা বাবা কে আপনি যেমন করে ভালবাসবেন, ঠিক তেমনটাই আপনি ফেরত পাবেন আপনার সন্তানদের মাধ্যমে! তাই বলছি, নিজের সুখের জন্য হলেও মা বাবার সেবা যত্ন করো!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়তে পারেন...

ভাঙ্গা খেলনার গল্প

রাতুল ছিল তার বাবা-মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান। তার কোনো কিছুরই অভাব ছিল না। সে যা…

সীতাভোগ খাওয়ার জ্বর

গোপাল আর তার প্রাণের বন্ধু নেপাল নৌকায় করে একবার চাঁদপুর যাচ্ছিল। নৌকোয় ছয়জন মাঝি ছাড়া…

লোকসান দু’পয়সা

গোপাল একবার নদীর ঘাটে ঘাটের ইজারা নিয়েছিল। নদীর ফেরী ঘাটের ইজারাদার গোপাল ভাড়া ছয় পয়সা…