ঘড়ি ও ঘুড়ি–তারাপদ রায়

তাতাই বাবুর বাড়ির সামনের সিঁড়ির উপরে তাতাইবাবু বসে রয়েছেন।রাস্তায়  পাড়ার ছেলেরা ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন।এ বছর পাড়ায় ঘুড়ি উড়ানোর ভারি ধুম।আজ ডোডোবাবুর হাতে একটা নতুন ঘড়ি।কথায় কথায় ডোডোবাবু তাতাই বাবু কে বলেন দেখুন একটা কথা ভেবে দেখেছেন,ঘুড়ি যেমন আকাশে উড়ে ঘড়ির পক্ষে সেটা সম্ভব নয়।

কথা টা শুনে তাতাইবাবু খুব চিন্তিত হলেন।তারপর বললেন,দেখুন আমার মনে হয় ঘড়ি আকাশে উড়তে পারে ডোডোবাবু অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন,কেমনে?তাতাই বাবু বলেন,এই যে ঘড়ির কাটা দুটো দেখছেন এই দুটো  হোল ঘড়ির পাখা।

আর ঐ ঘড়ির কাচটা হোল খাঁচা।খাচার মধ্যে আটকে রয়েছে তাই উড়তে পারছে না।ঘড়ির কাচ দুটো খুলে ফেলুন দেখবেন ঘড়ি আকাশে উড়ছে।

কথাটা ডোডোবাবুর খুবি পছন্দসই।পকেটে একটা পেন্সিলকাটা ছুরি ছিলো।তাই দিয়ে নতুন ঘড়ির কাচটা তিনি সঙ্গে সঙ্গে খুলে ফেললেন।

কিন্তু দুঃখের বিষয় ঘড়িটা উড়ে যাবার কোন লক্ষন দেখা গেল না।

তখন তাতাই বাবু বললেন,দেখুন আমার মনে হচ্ছে,আমরা সামনে রয়েছি  তাই ঘড়ি ভয়ে উড়তে পারছে না।

ঘড়িটা হাত থেকে রেখে এই খান থেকে চলুন একটু দূরে গিয়ে দাড়াই।

ডোডোবাবু তৎক্ষণাৎ তাই করলেন।ডোডোবাবু আর তাতাই বাবু ঘড়িটাকে সিঁড়ির উপরে ফেলে রাস্তার মোড়ের দিকে চলে গেলেন।

একটু পরে ফিরে এসে দু,জনে অবাক,তাতাই বাবুর কথাটাই সত্যি। ঘড়ির চিহ্ন কোথাও নেই,সত্যিসত্যিই উড়ে গেছে।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!