ইসরাইলিদের পিতৃপুরুষ ইয়াকুব (আঃ)

নাম ও বংশ পরিচয়

মহাকালের সাক্ষী এক মহাপুরুষ ইয়াকুব (আঃ)। পৃথিবীর এক ঐতিহাসিক বংশের তিনি আদি পুরুষ। সেকালে ইবরানী ভাষা নামে একটি ভাষা চালু ছিলো। বহ নবীর মুখের ভাষা ছিলো এই ইবরানী ভাষা। এ ভাষায় আল্লাহ তায়ালা কিতাবও নাযিল করেছেন। হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর ভাষাও ছিলো এই ইবরানী ভাষা। এ ভাষায় তাঁর নাম ছিলো ইসরাইল। এর অর্থ কি? ইসরাইল মানে আল্লাহর দাস। অন্য সকল নবীর মতো তিনিও আল্লাহর দাসই ছিলেন। তবে সেই সাথে তাঁর নামটিও ছিলো ‘আল্লাহর দাস’। এর আরবী অনুবাদ হল ‘আব্দুল্লাহ’। হযরত ইয়াকুব (আঃ) ছিলেন অত্যন্ত মর্যাদাবান একজন নবী। পূর্বপুরুষের দিক থেকে তিনি এক সম্মানিত নবীর পুত্র আরেক সম্মানিত নবীর নাতি। অর্থাৎ তিনি ছিলেন হযরত ইব্রাহীমের নাতি আর হযরত ইসহাকের পুত্র। অন্যদিকে তাঁর বংশেও জন্ম নিয়েছেন অসংখ্য নবী। তিনি ইসরাইল নামে পরিচিত হবার কারনে তাঁর বংশধরদের বলা হয় ‘বনী ইসরাইল’ বা ইসরাইলের বংশধর।

কোন কোন সুত্র থেকে জানা যায় তাঁর বংশধরদের মধ্যে চার হাজার নবী জন্মগ্রহন করেন। হযরত ইউসুফ, মুসা, হারুন, দাউদ, সুলাইমান, যাকারিয়া, ইয়াহিয়া, ঈসা আলাইহিস সালাম প্রমুখ বিখ্যাত নবী রাসুলগন ছিলেন তাঁরই বংশধর।

 

জন্ম ও শৈশব

আপনারা আগেই জেনেছেন হযরত ইবরাহীম (আঃ) তাঁর প্রথম স্ত্রী সারাকে নিয়ে ফিলিস্তিনের কেনান শহরে বসবাস করতেন। এখানে সারার ঘরে জন্ম নেন হযরত ইসহাক (আঃ)। আর এ শহরেই জন্ম হয় ইসহাকের পুত্র হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর। নবীর পুত্র শৈশব থেকেই জ্ঞানে গুনে নবীর মতো হয়ে গড়ে উঠতে থাকেন। তাঁর উন্নত জ্ঞান বুদ্ধি সুন্দর স্বভাব চরিত্র আর অমায়িক ব্যবহার দেখে ছোট বেলা থেকেই বুঝা যাচ্ছিলো, তিনি হবেন একজন মহামানব।

 

যৌবনকালে খালার বাড়ি

ইয়াকুব যখন যৌবনে পদার্পণ করেন, তখন একদিন তাঁর মা রিফকাহ তাঁকে তাঁর খালার বাড়ি পাঠিয়ে দিলেন। বললেন- তুই সেখানে গিয়ে থাকগে। যুবক ইয়াকুব মায়ের নির্দেশে খালার বাড়ি চলে এলেন। আপনারা নিশ্চয়ই ব্যবিলন শহরের নাম শুনেছেন। হ্যাঁ, এখন এই শহরটি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। শহরটি ছিলো ইরাকে। এই ব্যবিলনের ‘ফুদ্দানে আরাম’ নামক স্থানেই ছিলো ইয়াকুবের খালার বাড়ি। এখানে এসে ইয়াকুব শারীরিক ও মানসিক যোগ্যতা আর মেধা বৃদ্ধির বিরাট সুযোগ পেলেন।

 

বিয়ে করলেন ইয়াকুব

খালার বাড়িতে ইয়াকুব সতের বা বিশ বছর অবস্থান করেন। এখানেই তিনি বিয়ে শাদি করেন। তিনি চারটি বিয়ে করেন। বড় স্ত্রীর নাম ছিলো লিয়া, দ্বিতীয় স্ত্রী রাহিল, তৃতীয় স্ত্রী যুলফা আর চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন বলুহা। তাঁর কোন স্ত্রীর ঘরে কয়টি ছেলে হয়েছিলো, ইতিহাসে তাও উল্লেখ আছে। আসুন তাঁর পুত্রদের নাম আপনাদের জানিয়ে দেই- লিয়ার ঘরে জন্ম হয় ছয়টি পুত্রের। ওদের নাম হলো- রুবিল, শামউন, লাভি, ইয়াহুযা, ইসাখার ও যাবলুন।

রাহিলের ঘরে জন্ম নেন দুইজন পুত্র সন্তান। তারা হলেন- ইউসুফ ও বনী ইয়ামীন।

যুলফার ঘরে জন্ম হয় দুই ছেলে জাদ ও আশির।

বলুহার ঘরেও দুইটি পুত্র সন্তান জন্মলাভ করে। তারা হলেন- দান ও নাফতালি।

এবার বলুনতো হযরত ইয়াকুবের মোট কয়টি ছেলে ছিলো? গুনে দেখুন, সব মিলে হলো- বারোটি। এই বারো ছেলে থেকেই জন্ম নেয় বনী ইসরাইলের বারোটি শাখা গোত্র। এদের মধ্যে লাভির বংশে জন্ম নেন হযরত মুসা ও হারুন (আঃ)। ইয়াহুযা ছিলেন ধর্মীয় দিক থেকে খুবই প্রভাবশালী। পরবর্তীকালে তাঁর নাম অনুসারেই আসল ধর্ম বিকৃত হয়ে জন্ম নেয় ইয়াহুদি ধর্মের। একপুত্র ইউসুফ (আঃ) তো পরে মিশরে গিয়ে সেখানকার শাসক হন।

 

ফিরে এলেন কেনানে

অনেক দিন হয়ে গেলো খালার বাড়ি। এবার ডাক পড়েছে নিজের বাড়ি ফিরে আসার। বিনিয়ামিন ছাড়া তাঁর এগারটি পুত্রের জন্ম খালার বাড়িতেই হয়। বিবি বাচ্চা সবাইকে নিয়ে ইয়াকুব রওয়ানা করলেন ফিলিস্তিনের দিকে। অনেক দিন দূরে থাকার পর এবার এসে পৌঁছে গেলেন নিজ মাতৃভূমি কেনানে। কেনানে আসার পর ছোট ছেলে বিনইয়ামিনের জন্ম হয়। এতোগুলো নাতি পেয়ে দাদা দাদি দারুন খুশি। বাড়ি ফিরে ইয়াকুব আল্লাহর পথে নিজের জানমাল পুরোপুরি নিয়োজিত করেন।

 

নবী হলেন ইয়াকুব

ইয়াকুব ছিলেন আল্লাহর জন্যে নিবেদিতপ্রান। আল্লাহও তাঁকে নিজের জন্যে বাছাই করে নেন। দান করেন নবুয়্যত। ফিলিস্তিন অঞ্চলে আল্লাহর দ্বীন প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করার জন্যে হযরত ইবরাহীম (আঃ) পুত্র ইসহাকের উপরে দায়িত্ব দিয়ে যান। ইসহাক (আঃ) বৃদ্ধ বয়েসে উপনীত হবার পরে স্বয়ং আল্লাহর পক্ষ থেকেই পুত্র ইয়াকুব তাঁর প্রতিনিধি মনোনীত হন। কিছুকাল পর হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর পিতা হযরত ইসহাক (আঃ) ইহলোক ত্যাগ করেন। হযরত ইয়াকুব গোটা ফিলিস্তিন অঞ্চলে আল্লাহর দীনের পতাকা উড্ডীন করেন। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে বয়ে নিয়ে যান আল্লাহর বানী। মানুষকে সমবেত করেন আল্লাহর দীনের পতাকাতলে।

 

ধৈর্য জ্ঞান ও আল্লাহ নির্ভরতার প্রতীক

প্রিয় নবী ইয়াকুব (আঃ) ছিলেন পরম ধৈর্যশীল ও ধৈর্যের পাহাড়। তাঁর প্রিয়তম পুত্র ইউসুফকে তাঁর ভাইয়েরা যখন অন্ধকূপে ফেলে বাড়ি এসে তাঁর কাছে বলেছিলো, ইউসুফকে বাঘে খেয়ে ফেলেছে। তখন এই চরম দুঃখ ও বেদনার সংবাদ শুনে তিনি কেবল এতোটুকুই বলেছিলেন-

“বরং তোমাদের নফস তোমাদের জন্যে একটি অসম্ভব কাজকে সম্ভব করে দিয়েছে। আমি ধৈর্য ধরবো, উত্তম ধৈর্য। তোমরা যে কথা সাজিয়েছ, তাঁর জন্যে কেবল আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাওয়া যেতে পারে।” (সূরা ১২ ইউসুফঃ আয়াত ১৮)

ছোট ছেলে বিন ইয়ামিনকে যখন তাঁর ভাইয়েরা চুরির ঘটনার জন্যে মিশরে রেখে আসতে বাধ্য হয়েছিলো, তখনো তিনি একই ভাষায় বলেছিলেন-

“আমি উত্তমভাবেই ধৈর্য ধারন করলাম। মহান আল্লাহ হয়তো ওদের সবাইকেই আমার কাছে এনে দিবেন।” (সূরা ১২ ইউসুফঃ আয়াত ৮৩)

“আমি আমার দুঃখ বেদনার ফরিয়াদ কেবল আল্লাহর কাছেই করবো। আল্লাহর ব্যাপারে আমি যততুকু জানি তোমরা তা জানোনা। হে আমার ছেলেরা, তোমরা যাও, ইউসুফ ও তাঁর ভাইকে (বনিয়ামিন) খুজে দেখো। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়োনা।” (সূরা ১২ ইউসুফঃ আয়াত ৮৬-৮৭)

হযরত ইয়াকুবের ঐ দুষ্ট প্রকৃতির দশটি ছেলে যখন মিশর শাসকের পরিচয় পেলো, তখন তারা দেখলো, এতো তাঁদেরই সেই ভাই ইউসুফ, যাকে তারা অন্ধকূপে ফেলে দিয়েছিলো। ইউসুফ তাঁদের ক্ষমা করে দিলেন। ইউসুফের জন্যে চিন্তা করতে করতে হযরত ইয়াকুবের দুটি চোখ অন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। ইউসুফ তাঁর ভাইদের কাছে নিজের জামা দিয়ে বললেন- এটি নিয়ে আমার আব্বার মুখমণ্ডলে রাখো, তাতে তিনি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন। তারা যখন ইউসুফের সসংবাদ আর তাঁর জামা নিয়ে কেনানের উদ্দেশে রওয়ানা করলো, তখন হযরত ইয়াকুব বাড়ির লোকদের বললেন-

“আমি ইউসুফের সুবাস পাচ্ছি।”(সূরা ১২ ইউসুফঃ আয়াত ৯৪)

অতপর সুসংবাদ বহনকারীরা যখন ইউসুফের জামাটি এনে তাঁর মুখমণ্ডলে রাখলো, সাথে সাথে তিনি দৃষ্টিশক্তি লাভ করলেন। তখন তিনি তাঁর ঘরের লোকদের বললেন-

“আমি না তোমাদের বলেছিলাম, আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন সব কথা জানি, যা তোমরা জানোনা।” (সূরা ১২ ইউসুফঃ আয়াত ৯৬)

 

বৃদ্ধ বয়েসে মিশর এলেন

কি সৌভাগ্য হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর। মহান আল্লাহ তাঁর হারানো ছেলে ইউসুফকে মিশরের শাসক বানিয়েছেন। ইউসুফ তাঁর ভাইদের বলে পাঠিয়েছেন পরিবারের সবাইকে মিশর নিয়ে আসতে। হযরত ইয়াকুবের সেই অপরাধী ছেলেগুলো বাড়ি এসে বললো-

“আব্বাজান, আপনি আমাদের অপরাধ মাফির জন্যে দোয়া করুন। সত্যিই আমরা অপরাধী ছিলাম।” (সূরা ১২ ইউসুফঃ আয়াত ৯৭)

হযরত ইয়াকুব বললেন-

“আমি আমার প্রভুর দরবারে তোমাদের ক্ষমা করে দেবার জন্যে আবেদন জানাবো। তিনি বড়ই ক্ষমাশীল ও পরম করুনাময়।” (সূরা ১২ ইউসুফঃ আয়াত ৯৮)

অতপর হযরত ইয়াকুব সপরিবারে মিশর চলে এলেন। এ সময় তিনি বৃদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। তারা যখন মিশরে এসে পৌঁছলেন, তখন হযরত ইউসুফ বিরাট শোভাযাত্রা সহকারে তাঁর পিতা মাতাকে অভ্যর্থনা জানালেন। অত্যন্ত সম্মানের সাথে ইউসুফ তাঁর বাবা মাকে নিজের কাছে সিংহাসনে উঠিয়ে বসালেন।

মিশরে হিজরত করে আসার পর হযরত ইয়াকুব (আঃ) আরো সতের বছর বেঁচে ছিলেন। এ হিজরতের সময় তাঁর বয়স ছিলো একশো ত্রিশ বছর। একশো সাতচল্লিশ বছর বয়সে তিনি মিশরে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি ছেলেদেরকে অসিয়ত করে যান, তাঁকে যেন ফিলিস্তিনে নিয়ে তাঁর পিতা মাতার পাশে সমাহিত করা হয়।

 

পুত্রদের প্রতি উপদেশ

হযরত ইয়াকুব জনগন ও তাঁর পুত্রদের যে উপদেশ দিয়েছিলেন, কুরআনের দুটি স্থানে তাঁর কিছু অংশ বর্ণিত হয়েছে। যখন তাঁর দশ ছেলে ছোট ছেলে বিনইয়ামিনকে সাথে নিয়ে খাদ্য শস্য আনার জন্যে মিশর যাত্রা করেছিলে, তখন তিনি তাঁদের উপদেশ দিলেন-

“হে আমার ছেলেরা, তোমরা মিশরের রাজধানীতে একটি প্রবেশ পথে ঢুকো না। বিভিন্ন গেইট দিয়ে প্রবেশ করো। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা থেকে আমি তোমাদের রক্ষা করতে পারবোনা। সমস্ত কৃতিত্ব তো আল্লাহর হাতে। আমি তাঁরই উপর ভরসা করছি। সকল ভরসাকারীকে তাঁরই উপরে ভরসা করতে হবে।” (সূরা ১২ ইউসুফঃ আয়াত ৬৭)

আল্লাহর নবী ইয়াকুবের এই উপদেশটিতে কয়েকটি মৌলিক কথা রয়েছে। সেগুলো হলো-

১. যাবতীয় কাজে কর্মকৌশল (tactics) অবলম্বন করা উচিত।

২. কর্মকৌশল অবলম্বন করার পরই আল্লাহর ইচ্ছা ও ফায়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকা উচিত।

৩. আল্লাহকেই সমস্ত ক্ষমতা ও কর্তিতের উৎস মনে করতে হবে।

৪. সকল বিষয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিত।

সূরা বাকারায় হযরত ইয়াকুবের উপদেশগুলো এভাবে উল্লেখ হয়েছে-

“ইয়াকুব তাঁর সন্তানদের এই উপদেশ দিয়েছিলোঃ হে আমার সন্তানেরা, আল্লাহ তোমাদের জন্যে মনোনীত করেছেন ‘আদ দীন’ (অর্থাৎ দ্বীন ইসলাম) সুতরাং তোমরা মুসলিম (আত্মসমর্পণকারী) থাকো। সে মৃত্যুকালে তাঁর সন্তানদের জিজ্ঞেস করেছিলো- আমার মৃত্যুর পর তোমরা কার ইবাদাত ও দাসত্ব করবে? জবাবে তারা বলেছিল, আমরা সেই এক আল্লাহর ইবাদাত ও দাসত্ব করবো। যাকে আপনি ও আপনার পূর্বপুরুষ ইবরাহীম, ইসমাঈল এবং ইসহাক ইলাহ হিসেবে মেনেছেন। আমরা তাঁরই অনুগত হয়ে থাকবো।” (সূরা ২ আল বাকারাঃ আয়াত ১৩২-১৩৩)

হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর এই উপদেশটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি থেকে আমরা জানতে পারি-

১. ইসলামই হলো আল্লাহর মনোনীত দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থা।

২. আল্লাহর মনোনীত দীনের অনুসারীরা মুসলিম।

৩. সকল নবী একই দীনের বাহক ও প্রচারক ছিলেন।

৪. আমৃত্যু আল্লাহর অনুগত বাধ্যগত হয়ে থাকাই প্রকৃত মুমিনের কাজ।

৫. মুসলিম হওয়া মানে আল্লাহর দাসত্ব করা।

 

আল কুরআনে উল্লেখ

কুরআন মাজীদে মহান আল্লাহ তাঁর দাস ও নবী হযরত ইয়াকুবের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন। আল কুরআনে ১৬ বার তাঁর নাম উল্লেখ হয়েছে। যেসব আয়াতে তাঁর নাম উল্লেখ হয়েছে সে আয়াতগুলো এবং সেগুলোর তাফসির পড়লেই আপনারা তাঁর সম্পর্কে আরো জানতে পারবেন। এবার জেনে নিন কোথায় কোথায় উল্লেখ হয়েছে তাঁর নাম –

সূরা আল বাকারা- ১৩২, ১৩৩, ১৩৬, ১৪০।

সূরা আলে ইমরান- ৮৪।

সূরা আন নিসা- ১৬৩।

সূরা আল আনয়াম- ৮৪।

সূরা হুদ- ৭১।

সূরা ইউসুফ- ৬, ৩৮, ৬৮।

সূরা মরিয়ম- ৬, ৪৯।

সূরা আল আম্বিয়া- ৭২।

সূরা আল আনকাবুত- ২৭।

সূরা সোয়াদ- ৪৫।

মহান আল্লাহ হজরত ইয়াকুব (আঃ) সম্পর্কে বলেন-

“সে (ইয়াকুব) ছিলো আমার দেয়া শিক্ষায় জ্ঞানবান। কিন্তু অধিকাংশ লোক প্রকৃত সত্য জানেনা।” (সূরা ইউসুফঃ আয়াত ৬৮)

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!