গা ছমছম ভূতের গ্রাম–সীমান্ত পারভেজ

শীতের এক সন্ধ্যায় বনে কাঠ কাটতে গিয়েছিলেন মোহন নামে এক কাঠুরি। হঠাৎ এক লোক এসে গাছকাটার কারণ জানতে চান। মোহনের ভাষ্যমতে, লোকটা আসার সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ওই লোকটা তার শার্টের কলার খামচে ধরে। তারপর হাতের এক তালুতেই এঁটে ফেলে তার গোটা শরীর। অদ্ভুত এ লোকটির চুল ছিল কোমর সমান। একেকটি চুল শিশুর হাতের মতো পুরু। এরপর দেখা গেল অবিশ্বাস্য এক ব্যাপার। লোকটি এক মিনিটের মধ্যে নয় ফুটের মতো লম্বা হয়ে আবার পরে মুহূর্তে ছোট একটি মুরগির আকার ধারণ করে।

বন থেকে ফিরে মোহন গ্রামবাসীকে জানালেন, তার ওপর প্রেতাত্মা ভর করেছে। এরপর ছাগল বলি দিয়ে প্রেতাত্মা তাড়ানো হয়। হিমালয়ের কোলঘেঁষে ভারতীয় অংশে বনজঙ্গলে ঘেরা ছোট্ট গ্রাম বামনি। এ গ্রামে গেলে এরকম ভূতের হাজারো কাহিনী শুনতে পাওয়া যাবে। সমতল থেকে প্রায় নয় হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থান গ্রামটির। বনজঙ্গলে ভরা বলে আশপাশের এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন গ্রামটি। এ গ্রামে সবার মনে ভূতের ভয় বিরাজ করে। সবাই বিশ্বাস করে পূজা করলে ভূত তাড়ানো সম্ভব। সম্প্র্রতি বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ গ্রামটির দীর্ঘদিনের কুসংস্কারের কথা জানিয়েছে।

হঠাৎ অসুস্থতায় কেউ যদি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে গ্রামবাসী ভাবে ভূত ভর করেছে তার ওপর। এরপর শুরু ঝাড়ফুঁক। ভূতের আসর নামাতে চলে প্রচেষ্টা। গ্রামবাসীর আরো বিশ্বাস বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বণের সময় পূর্বপুরুষের আত্মা শরীরে ভর করে, বিয়ের আসরে কনের ওপর আছর করতে পারে সে আত্মা। এ আত্মা কারো মৃতের কারণ হতে পারে।

শুধু তাই নয় কোনো শিশু বা কিশোর যদি খুব ডানপিটে হয় বা নিতান্ত খেয়ালবশে চুপ করে থাকে। কারো সঙ্গে তেমন কথাবার্তা না বলে তাহলে সন্দেহ করা হয় তার ওপর ভূতের আসর পড়েছে। ভূত ছাড়াতে তখন পূজার আয়োজন করা হয়। ভূত নিয়ে গ্রামে যেসব গল্প প্রচলিত আছে তা সবাই সত্য বলে মনে করে। যদিও এসব গল্পের বাস্তব ভিত্তি নেই। গ্রামবাসীর বিশ্বাস, যারা উদ্বিগ্ন ও হতাশাগ্রস্ত, তাদের ওপরই ভর করে ভূত। আর তাই বেকার তরুণদের নিয়ে বাবা-মায়ের বেশি ভয়। ওই গ্রামে ভূত-প্রেত সত্যিই আছে কি না, এর কোনো প্রমাণ কেউ দেখাতে পারেনি।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!