গল্পের ২য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পিলে চম্কানো ভূতের ঘটনাটি যে গ্রামে ঘটেছিল সেই গ্রামের নাম আলগীচর (আমার নিজের গ্রাম)। ভৌতিক ঘটনাটি তুলে ধরার পূর্বে এই গ্রামের কিছু তথ্য পাঠকের জন্য তুলে ধরছি। ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার ইছামতি নদীর তীরে অবস্থিত আলগীচর গ্রাম। কোথাও কোন চরের নিদর্শন বা অস্তিত না পাওয়া য়ায় এই গ্রামের নামকরণের ব্যাখ্যা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হলো না বলে দুঃখিত।এই গ্রামের পার্শ্ববর্তী গ্রামের নামগুলো যাথাক্রমে বললাম —চর, উড়ার চর এবং নদীর অপর পারের একটি গ্রামের নামও বালুর চর। কয়েক মাইল দুরে রয়েছে পদ্মা ও মেঘনা নদী।
আমার ধারণা শত শত বছর পূর্বে এই গ্রামগুলিও হয়তো ছিল পদ্মা বা মেঘনা নদীর অংশ এবং এক সময় হয়তো নদীবেশে জেগে উঠেছিল বিশাল চর আর সেই চর ভাগাভাগি করে ভিন্ন ভিন্ন নামকরণের মাধ্যমে সৃষ্ট গ্রামের নাম করণ ও লোকের বসবাসের শুর“ হয় শত শত বছর পূর্বে। সে যাই হউক, ফিরে আসছি আলগীচর গ্রামে।
ইছামতি নদীর তীরের এই গ্রামটি সবুজে ঘেরা। প্রকৃতি যেন সৌন্দয্যকে উজার করে দিয়েছে গ্রামটিতে। গ্রামটির বর্তমান জনসংখ্যা ১,৬৬৮ জন। এর মধ্যে পুর“ষ ৭৮৯ জন ও নারী ৮৭৯ জন আর ভোটার ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ১২০০ জন। কয়েক ঘর হিন্দু ধর্মালম্বী ছাড়া বাকিরা ইসলাম ধর্মের। গ্রামটিতে রয়েছে তিনটি মসজিদ, একাধিক মাদ্রাসা, দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি নির্মানাধীন উচ্চ বিদ্যালয়, একটি সরকারি দাতব্য চিকিৎসালয় ও কবরস্থান। রয়েছে দুইটি ফুটবল খেলার মাঠ, একটি ভলিবল খেলার মাঠ। এই গ্রামে ইছামতি নদীর পাড়ে এক সময় বসত দৈনিক কাঁচা বাজার। একই স্থানে বসতো সপ্তাহে একদিন ধানের হাট, বর্ষায় নৌকার হাট এছাড়াও ছিল বাংলাদেশের বিখ্যাত বাশের হাট। যদিও হাট বা বাজার এখন আর মিলছে না।
এবার আসছি মূল ঘটনায়। গ্রামটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি ছোট বড় পুকুর। গ্রামের ভিতর দিয়ে বয়ে চলেছে একাধিক খাল যা ইছামতি নদীর সঙ্গে সংযুক্ত। বর্ষায় খালগুলি ব্য¯— হয়ে উঠে নৌকা চলাচলে ও খালের দুই পাড়ের মানুষের গোছলের জন্য। বর্ষা শেষে যখন পানি কমে যায় তখন প্রচুর মাছের যাতায়াত শুর“ হয় এই খালগুলি দিয়ে। এই সময় মাছ ধরার জন্য স্থানীয়রা ব্য¯— হয়ে উঠে, বলাচলে শখের বসবর্তী হয়ে। একটি খালের শেষ প্রান্তে রয়েছে একটি মজা পুকুর যা বাবু মিয়ার পুকুর হিসাবে পরিচিত।
বাবু মিয়ার পরিবারবর্গ ঢাকায় থাকায় পাকা বাড়ীটি ফাঁকা, আর বাড়ীরই অংশ এই উলেখিত মজাপুকুর। পুকুরের এক সময়ের সান বাঁধানো ঘাট ইট উঠতে উঠতে ৮০ উর্ধ্ব বসয়ী বৃদ্ধ/বৃদ্ধার মুখের দুই একটি দাঁত বাদে প্রায় সব দাঁত হারানোর মত অবস্থা। পুকুরের চারপাশে ও আশেপাশে ঝুপঝাড়, জঙ্গল। সাপের আনাগুনা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। ১৯৮০ সালের এক বিকেলে রাকিব (বর্তমানে আষ্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসরত), মনির, কুটি, আক্তার ও মতিন কাজ করলো খাল দিয়ে প্রচুর মাছ যাতায়াত শুর“ করেছে। ওরা পরিকল্পনা করলো ঐ রাত্রেই জাল পেতে মাছ ধরবে। যেই কথা সেই কাজ। প্রস্তুতি তি নিয়ে মাছ ধরতে বসে গেল।
গল্পের ২য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।