রিয়ার পুতুলের বিয়ে ঠিক করেছে মিতুর পুতুলের সাথে।
গতকাল রিয়া তার বান্ধবীদের নিয়ে রিতুদের বাসায় দাওয়াত খেয়েছিল। সেখানেই বিবাহের চূড়ান্ত আলাপ হয়। আজ সকালে গায়ে হলুদ। বিকালে বিয়ে। আয়োজন হবে রিয়ার বাসায়।
মিতু নিজের বান্ধবীদের নিয়ে তার পুতুলকে বর সাজিয়ে খুব সকালেই রিয়ার বাসায় হাজির। রিয়া বিশাল আয়োজনের পসরা সাজিয়েছে।
কলাগাছের গেট দিয়ে ফিতা কাটিয়ে বেলুন ফাটিয়ে বরযাত্রীদের বরণ করে নিল।
কাঁচা হলুদ বেটে মিহি করে একে অন্যের গায়ে মেখে হাত মুখ হলুদিয়া পাখির মত ফুটিয়ে তুলেছে।
সবাইকে দেখতে খুব মিষ্টি লাগছিল। মনে হচ্ছিল, রাজবাড়ির বিয়েতে ঘোড়ায় চড়ে আসা বরযাত্রীদের সমাদর চলছে।
হলুদ রিয়ার দাদী বেটে দিলেও দুপুরের রান্না রিয়ার মাকেই করতে হয়েছে। মেয়ের সখ বলে কথা।
আর এতো সবের যোগান দিয়েছেন রিয়ার বাবা। অতি আদরের একমাত্র মেয়েতো তাই তার বায়না ধরাতে অসম্মতি দেন না।
বিধায় আয়োজন ছিল ষোল আনা। ছোট ছোট শিশুদের পটু পটু কথাবার্তা পাখির কলরবের মত লাগছিল।
লাল শাড়ি না থাকায় রিয়ার পুতুলকে বাসন্তি রঙের শাড়ি পড়িয়ে বধু সাজিয়েছিল। দেখতে অবিকল পরী পরী লাগছিল।
বিবাহের শেষ বেলায় কনে বিদায়ের সময় যেরূপ বিষাদের সুর বেজে ওঠে তেমনি সুর তুলে বিদায় বেলা রিয়া কান্না জুড়ে দেয়।
তার এতো সুন্দর পুতুল কিছুতেই মিতুকে দিবে না। ব্যস! বিয়ে ভেঙ্গে গেল। আর মিতুকে বরযাত্রী নিয়ে খালি হাতে ফিরতে হলো।