দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলায় একবার চোর সন্দেহে একটা ৯ বছরের বাচ্চা ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলে কিছু যুবক। বাচ্চাটার দোষ ছিল যে সে তার কাকার বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন চুরি করেছে। তবে বাচ্চাটাকে মেরে ফেলার পর রাত ৯টার দিকে সেই ফোন খুঁজে পাওয়া যায়। ফোনটা আসলে বিছানার নিচে পড়ে গড়িয়ে একটু ভেতরে ঢুকে গিয়েছিলো।
যাই হোক, বাচ্চাটার লাশ কবর দেয়া হয় যথাসময়ে।
ঘটনার কয়েকদিন পর থেকে সেই বাড়ির লোকদের মধ্যে এক অজানা ভীতি কাজ করতে লাগলো। অনেকেই বলতে লাগলো সেই বাড়ির টিনের চালে নাকি ঠিক সন্ধ্যাবেলা একটা ছোট বাচ্চাকে বসে থাকতে দেখা যায়। কেউ একা থাকলে তাকে দেখে পায়। একত্রে অনেক মানুষ থাকলে বা কেউ দেখার পর অন্য কাউকে ডেকে আনলে তাকে আর দেখা যায় না। বাড়ির লোকজন এই নিয়ে মসজিদের ইমামের সাথে কথা বলেন। পরে সেই বাসার প্রতিটি ঘর মিলাদ পড়ে বাঁধিয়ে দেয়া হয়।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়।
বাড়িটি বাঁধিয়ে দেয়ার পর অনেকেই রাস্তায় সেই ছেলেটির কবরের পাশে কাউকে বসে থাকতে দেখতে পান। যদি খুব ভালো করে লক্ষ্য করা যায় তবে দেখা যায় যে, একটা ছোট বাচ্চা কবরের পাশে মাথা নিচু করে বসে আছে। তার গাঁয়ে কোনও কাপড় নেই। সে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় অথবা ভয়ে কাঁপছে। ছেলেটিকে সন্ধ্যার পর পরই দেখতে পাওয়া যায়। গ্রামের বহু মানুষের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। ভয়ে অনেকেই এখনো সেই রাস্তা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন, আর না পারলে একত্রে অনেক মানুষ আসার চেষ্টা করেন। তবে, সেই ছেলেটিকে দিয়ে কখনো কারো ক্ষতি হয়েছে এমনটি শোনা যায় নি।
তথ্যটি জানিয়েছেনঃ আহসান সেলিম অরণ্য
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।