মিশর বিজয়ের অগ্রিম সংবাদ

হযরত আবূ গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, খুব শীঘ্রই তোমরা মিশর ভূখন্ড অধিকারী করে নেবে। মিশরের মুদ্রার নাম কিরাত” মিশর দখলের সময় জনসাধারণের সাথে ভাল ব্যবহার করবে। কেননা, তাদের সাথে আমাদের মৈত্রী চুক্তি এবং অত্মীয়তার সম্পর্কে রয়েছে। হে আবু জর! যখন দেখবে যে, সেখানে দু’ব্যক্তি এক ইট পরিমাণ স্থান নিয়ে বিবাদ করছে, তখন তথা হতে চলে আসবে।

সে যুগে মিশরে প্রচলিত মুদ্রার নাম ছিল কিরাত। মিশরের পরিচিত নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই তথাকার মুদ্রার নামও বলে দেয়া হয়েছিল। হযরত ওমর (রাঃ) এর শাসনামলে মিশর মুসলমানদের দখলে আসে। হযরত আবূ জর গিফারী (রাঃ) বলেন, আমি শুরাহবিল ইবনে হাছানা এবং তার ভাই রবীয়াহকে এক ইট পরিমান জায়গা নিয়ে বিবাদ করতে দেখে মিশর ত্যাগ করলাম।

এক ইট পরিমান জায়গা নিয়ে কলহ বিবাদ করতে দেখে মিশর ত্যাগ করলাম।

এক ইট পরিমান জায়গা নিয়ে কহল বিবাদ করা, শত্রুতা,যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং ভয়াবহ ফেৎনার আলামত। সম্ভবতঃ এ ফিতনা হতে হযরত আবূ জর (রাঃ) কে রক্ষা করার উদ্দেশ্যই তাকে মিশর ত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। হযরত ওসমান (রাঃ) এর শাসনামলে ঐ ফেৎনার সূচনা হয়।

মিশরের বাদশাহ মোকাওকিস রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দরবারে মারিয়া কিবতিয়া নাম্মী একজন বাঁদি পাঠিয়েছিলেন। পরে ঐ পক্ষে ইব্রাহীম নামে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এক ছেলে সন্তান জন্ম হয়। মারিয়া কিবতিয়া ছিলেন মিশরের অধীবাসী। ঐ কথা বিবেচনা করে মিশরবাসীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকেও বিশেষ ভাবে বিবেচনা করা হয়।

তাছাড়া হযরত ঈসমাইল (আঃ) এর মাতা হযরত হযরত হাজেরা ও মিশরের অধিবাসী ছিলেন। আরবের জনগোষ্টি হযরত ঈসমাইলের বংশধর। আর মিশরের অধিবাসীরা হলেন আরব বাসীদের মাতৃগোষ্টীয়। যাই হোক আমাদের মূল বক্তব্য হল মিশর বিজয় ও হযরত আবূজর গিফারী সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বানী যা পরিবর্তীতে হুবহু ঘটেছে। (মুসলিম শরীফ)।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।