রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট যুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা

ইমাম ইবনে তাবরী (রাঃ) হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, যখন মক্কা ভূমে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নবুয়তের বেশি বেশি আলোচনা হচ্ছিল। আর ইসলাম দিন দিন প্রসার লাভ করেছিল। ইসলামের অগ্রগতি রোধ করতে মক্কার কুরাইশরা অক্ষম হয়ে পড়েছিল। তখন তারা ইসলামের জয়যাত্রা ব্যাহত করবার জন্য বিভিন্ন  সুযোগের সন্ধান করেছিল।

বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেও বার বার ব্যার্থতার গ্লানি টানতে হচ্ছিল। এমনই এক পরিস্থিতিতে তারা নযর বিন হারিস এবং ওকবা বিন আবূ ময়িত নামক দুজন কুরাইশকে মদিনায় ইহুদীদের নিকট পাঠাল। কেননা, ইহুদীদের মধ্যে আলেম ছিল। তাদের প্রশ্ন ছিল ইহুদীরা তো পূর্ববর্তী আসমানী গ্রন্থ তৌরাত ও ইঞ্জিলের আলেম।

তারা এ নবী সম্পর্কে কি মতামত ব্যক্ত করে। ইহুদী আলেমরা তাদেরকে তিনটি প্রশ্ন শিখিয়ে দিল যে, তোমরা নবুয়তের দাবীদার ব্যক্তিকে তিনটি প্রশ্ন কর। তিনি যদি এসব প্রশ্নের সদ উত্তর দিতে সক্ষম হন তবে যেনে রেখো, তিনি আল্লাহর প্রেরিত নবী বা রাসূল। আর যদি সদ উত্তর অক্ষম হন, তবে যেনে রাখ যে, তার এ দাবী মনগড়া। তিনি আল্লাহর প্রেরিত রাসূল নন। প্রথম তার কাছে কয়েকজন যুবক সম্পর্কে প্রশ্ন কর। অতি প্রাচীন কালে যাদেরকে নিজ শহর ত্যাগ করে বাদ্য করা হয়েছিল।

তাদের ঘটনা যেন তোমাদেরকে বর্ণনা করে শুনান। তাদের ঘটনা অতি বিস্ময়কর। দ্বিতীয় এমন এক ব্যক্তির অবস্থা সম্পর্কে যিনি দুনিয়া হতে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত এমন কি সমগ্র দুনিয়া  ভ্রমন করেছিলেন। তৃতীয় রুহ কি? কুরাইশদের প্রতিনিধিদ্বয় মক্কায় ফিরে এসে  কুরাশদেরকে বলল, আমরা এমন এক বিষয় নিয়ে এসেছি যা আমাদের বিতর্কিত সমস্যার সমাধান করে দিবে। অতঃপর হহুদী আলেমদের কাছে থেকে তারা যে তিনটি প্রশ্ন শিখে এসেছ তা কুরাইশদের সামনে তুলে ধরল।

তারা পরামর্শ করে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে এ প্রশ্নগুলো করল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাদের প্রশ্ন শুনে বললেন যে, আমি আগামীকাল এ প্রশ্ন সমূহের উত্তর প্রদান করব। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তখন ইনশাআল্লাহ বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। তারা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দরবারে হতে ঘরে ফিরল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ওহীর অপেক্ষায় থাকলেন যেন ওহীর মাধ্যমে এ সকল প্রশ্নের উত্তর মিলে যায়। কিন্তু পরেদিন পর্যন্ত কোন ওহী নাযিল হয়নি। শুধু তাই নয় পনের দিন পর্যন্ত এই অবস্থায় কেটে গেল।

হযরত জিব্রাইল (আঃ) ও আসেননি আর ওহীও নাযিল হয়নি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পরের দিন যখন কোন উত্তর পেল না তখন কুরাইশরা হাসি তামাসা ও ঠাট্টা বিদ্রুপ শুরু করে দিল। এতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) খুবই দুঃখ পেলেন।

পনের দিন পর হযরত জিব্রাইল (আঃ) সুরায়ে  কাহাফসহ অবতরণ করেন, অত্র সুরাতে ওহী বিলম্বের কারণও বর্ণনা করে দেয়া হল যে, ভবিষ্যতে যখন কোন কার্যের প্রতিশ্রুতি প্রদানের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইনশাআল্লাহ বলেননি তাই ওহী আসতে বিলম্ব হয়েছে। এ সম্পর্কে আলাহ পাক ইরশাদ করেন-

অর্থঃ এবং আপনি কোন বিষয় সম্পর্কে এমন বলেন না যে, আমি আগামীকাল এটা করব। তবে আল্লাহ চাহে তো  সাথে সাথে যোগ করে বলবেন। (কাহফ)

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট যুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা

ইমাম ইবনে তাবরী (রাঃ) হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, যখন মক্কা ভূমে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নবুয়তের বেশি বেশি আলোচনা হচ্ছিল। আর ইসলাম দিন দিন প্রসার লাভ করেছিল। ইসলামের অগ্রগতি রোধ করতে মক্কার কুরাইশরা অক্ষম হয়ে পড়েছিল। তখন তারা ইসলামের জয়যাত্রা ব্যাহত করবার জন্য বিভিন্ন  সুযোগের সন্ধান করেছিল।

বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেও বার বার ব্যার্থতার গ্লানি টানতে হচ্ছিল। এমনই এক পরিস্থিতিতে তারা নযর বিন হারিস এবং ওকবা বিন আবূ ময়িত নামক দুজন কুরাইশকে মদিনায় ইহুদীদের নিকট পাঠাল। কেননা, ইহুদীদের মধ্যে আলেম ছিল। তাদের প্রশ্ন ছিল ইহুদীরা তো পূর্ববর্তী আসমানী গ্রন্থ তৌরাত ও ইঞ্জিলের আলেম।

তারা এ নবী সম্পর্কে কি মতামত ব্যক্ত করে। ইহুদী আলেমরা তাদেরকে তিনটি প্রশ্ন শিখিয়ে দিল যে, তোমরা নবুয়তের দাবীদার ব্যক্তিকে তিনটি প্রশ্ন কর। তিনি যদি এসব প্রশ্নের সদ উত্তর দিতে সক্ষম হন তবে যেনে রেখো, তিনি আল্লাহর প্রেরিত নবী বা রাসূল। আর যদি সদ উত্তর অক্ষম হন, তবে যেনে রাখ যে, তার এ দাবী মনগড়া। তিনি আল্লাহর প্রেরিত রাসূল নন। প্রথম তার কাছে কয়েকজন যুবক সম্পর্কে প্রশ্ন কর। অতি প্রাচীন কালে যাদেরকে নিজ শহর ত্যাগ করে বাদ্য করা হয়েছিল।

তাদের ঘটনা যেন তোমাদেরকে বর্ণনা করে শুনান। তাদের ঘটনা অতি বিস্ময়কর। দ্বিতীয় এমন এক ব্যক্তির অবস্থা সম্পর্কে যিনি দুনিয়া হতে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত এমন কি সমগ্র দুনিয়া  ভ্রমন করেছিলেন। তৃতীয় রুহ কি? কুরাইশদের প্রতিনিধিদ্বয় মক্কায় ফিরে এসে  কুরাশদেরকে বলল, আমরা এমন এক বিষয় নিয়ে এসেছি যা আমাদের বিতর্কিত সমস্যার সমাধান করে দিবে। অতঃপর হহুদী আলেমদের কাছে থেকে তারা যে তিনটি প্রশ্ন শিখে এসেছ তা কুরাইশদের সামনে তুলে ধরল।

তারা পরামর্শ করে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে এ প্রশ্নগুলো করল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাদের প্রশ্ন শুনে বললেন যে, আমি আগামীকাল এ প্রশ্ন সমূহের উত্তর প্রদান করব। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তখন ইনশাআল্লাহ বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। তারা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দরবারে হতে ঘরে ফিরল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ওহীর অপেক্ষায় থাকলেন যেন ওহীর মাধ্যমে এ সকল প্রশ্নের উত্তর মিলে যায়। কিন্তু পরেদিন পর্যন্ত কোন ওহী নাযিল হয়নি। শুধু তাই নয় পনের দিন পর্যন্ত এই অবস্থায় কেটে গেল।

হযরত জিব্রাইল (আঃ) ও আসেননি আর ওহীও নাযিল হয়নি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পরের দিন যখন কোন উত্তর পেল না তখন কুরাইশরা হাসি তামাসা ও ঠাট্টা বিদ্রুপ শুরু করে দিল। এতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) খুবই দুঃখ পেলেন।

পনের দিন পর হযরত জিব্রাইল (আঃ) সুরায়ে  কাহাফসহ অবতরণ করেন, অত্র সুরাতে ওহী বিলম্বের কারণও বর্ণনা করে দেয়া হল যে, ভবিষ্যতে যখন কোন কার্যের প্রতিশ্রুতি প্রদানের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইনশাআল্লাহ বলেননি তাই ওহী আসতে বিলম্ব হয়েছে। এ সম্পর্কে আলাহ পাক ইরশাদ করেন-

অর্থঃ এবং আপনি কোন বিষয় সম্পর্কে এমন বলেন না যে, আমি আগামীকাল এটা করব। তবে আল্লাহ চাহে তো  সাথে সাথে যোগ করে বলবেন। (কাহফ)

আরো পড়তে পারেন...

ভাঙ্গা খেলনার গল্প

রাতুল ছিল তার বাবা-মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান। তার কোনো কিছুরই অভাব ছিল না। সে যা…

সীতাভোগ খাওয়ার জ্বর

গোপাল আর তার প্রাণের বন্ধু নেপাল নৌকায় করে একবার চাঁদপুর যাচ্ছিল। নৌকোয় ছয়জন মাঝি ছাড়া…

লোকসান দু’পয়সা

গোপাল একবার নদীর ঘাটে ঘাটের ইজারা নিয়েছিল। নদীর ফেরী ঘাটের ইজারাদার গোপাল ভাড়া ছয় পয়সা…