ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) – এর ফতোয়া।

ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) – এর ফতোয়া

হযরত ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)-এর মেধা ছিল প্রখর।
ফতোয়ার ব্যাপারে তাঁর সতর্কতা ছিল তুলনাহীন।

একবার ইমাম সাহেবের মজলিসে এক ব্যক্তি এসে বললো,
“এক লোক বলেছে যে, কোন কাফের জাহান্নামে যাবে না।”
এ ব্যক্তির ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কী?

ইমাম সাহেব তাঁর ছাত্রদেরকে বললেন,
“তোমরা এ লোকটির কথার জবাব দাও।”

ছাত্ররা বললো,
“লোকটি কাফের। কারণ সে ‘নফস’কে অস্বীকার করছে (অর্থাৎ কুরআনের সেসব আয়াতকে অস্বীকার করছে যার অর্থ স্বতঃপ্রকাশমান)।”

ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) বললেন,
“তাবীল কর” (অর্থাৎ কোন ওজর পেশ করে লোকটিকে কুফুরী থেকে বাঁচাও)।

ছাত্ররা বললো,
“এখানে তাবীল করার সুযোগ নেই। তাবীল করা অসম্ভব।”

ইমাম সাহেব বললেন,
“তাবীল আছে। আর তা হলো – জাহান্নামে যাওয়ার সময় কেউ কাফের থাকবে না, সবাই মুমিন হয়ে পড়বে।
কারণ তখন দোযখ দেখবে; তা অস্বীকার করার কোন উপায় থাকবে না।
আর তখন দোযখীরা সবাই শরঈ অর্থে কাফের থাকলেও আভিধানিক অর্থে মুমিন হয়ে যাবে।
আর সে মুমিন অবস্থায় দোযখে যাবে, কাফের অবস্থায় দোযখে যাবে না।
তাই লোকটিকে কাফের হিসেবে ফতোয়া দেওয়া যায় না।”

সুতরাং ইমাম সাহেবের মেধা এবং সতর্কতা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে!
কেউ কি তাঁর সীমা খুঁজে পাবে?

(আল-এফাযাতুল ইয়াওমিয়্যাহ, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-১৯৬)

আল্লাহর ইচ্ছার সাথে নিজের ইচ্ছাকে এরূপ শর্তহীনভাবে মিলিয়ে দিলে আল্লাহর সাহায্য নেমে আসে।
এ অপূর্ব ঘটনা গ্রামবাসী স্বচক্ষে দেখলো।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!