ভুতের ঘর

 
ভুত হল আগের দিনের লোকদের রুপ কথার কল্পকাহিনির অদৃশ্য মানুষ । ছোট বেলায় শিশুদের মা-দিদিমা-মনিরা তাদের বাচ্ছাদের ভুত বা কাল্পনিক হিংশ্র দৌত্ব- দানবের ভয় দেখিয়ে দুষ্টমি থেকে বিরত রেখে ঘুম পড়ানির গান গেয়ে ঘুম পড়াত।

মানুষ একে দীর্ঘকাল ধরে মনের ভেতর জাপটে ধরে আছে। বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞান জগতে একে নিছক কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না।

আমার বাড়ীর পাশের সুভাষ হালদারের শ্বশুর বাড়ী আমরা কজন বন্ধু জৈষ্ঠমাসে বেড়াতে যাই। গ্রামটির নাম চকবোনা । রামপাল থানার নিভৃত পল্লীর গাছ-গাছালিতে ঘন জঙ্গলে ভরা গ্রামটি। বাড়িথেকে লঞ্চ যোগে পৌছালাম। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হব হাতমুখ ধুয়ে বেরিয়ে পড়ব অপরিচিত এলাকা ঘুরে দেখার ইচ্ছা নিয়ে । পা বাড়াতেই ঘরের ভেতর থেকে বলা হল, বাড়ীর দক্ষিণ দিকে না যাওয়ার জন্য নিশেজ্ঞা।

কথাটা তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে, গ্রামে ভুত বলে কিছু কাল্পনিক গল্প শোনা যায়। ওই গ্রামের অনেক লোকের কাছ থেকে জানা যায় যে গ্রামের শেষ কোণের দিকে একটি বাড়ি রয়েছে যা উক্ত গ্রামের লোক ভুতের বাড়ি বলে ডাকে।

বাড়ীটি পরিত্যক্ত থাকায় ঐ এলাকায় লোকজনের যাতয়াত মোটেই নেই বললেই চলে। কারো জরুরী কাজ থাকলে দিনের বেলায় তাও আবার দুপুরের আগে বাড়ীর পাশের রাস্তা দিয়ে দু চার জন লোক নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।

পূর্ণিমার রাতে পরিত্যাক্তবাড়ীর ছাদে নাকি সাদা শাড়ি পড়া কাউকে দেখা যায়। কাকলী নামে এক মহিলার ঐ পথ দিয়ে আসার সময় তাকে ও তার ছেলেকে আঘাত করে।

এছাড়া আরও অনেকের কাছ থেকে এ বিষয়ে আনেক প্রমাণ মেলে। তবে এটা আদৌ সত্য কিনা আমরা জানিনা। কল্পকাহিনি শুনে পরের দিন সকালে আমরা ও গ্রামের দু চার জন নিয়ে দেখতে যাই ভুতড়ে সেই বাড়ীটি ।সেখানে গিয়ে দেখা ঝোপ-জংগলে ভরা। পরিত্যাক্ত দেখে সত্যিই মনে হল এটা একটা ভুতুড়ে বাড়ী। এতদিনের কল্পনার রুপ-কথার সেই ভুতুড়ে বাড়ীটি যেন বাস্তবে রুপ নিয়েছে।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!