একদিন একঝাঁক ইল মাছ কাদামাটির ভেতর থেকে বের হল। তারা নদীর পরিষ্কার পানিতে সাঁতরাতে গেল। ঠিক সেসময় একঝাঁক রুই মাছ তাদের কাছ দিয়ে সাঁতরে যাচ্ছিল। ইল মাছগুলো রুই মাছগুলোকে বলল: ‘তোমরা ভাল আছ?’ রুই মাছগুলো ইল মাছগুলোর প্রতি ভালভাবে তাকিয়ে বুঝতে পারলো যে, ওগুলো দেখতে কুত্সিত।
রুই মাছগুলো বলল: “ছি ছি! কী কুত্সিত মাছ! সারাদিন এগুলো কাদামাটির ভেতরে লুকিয়ে থাকে। তোমরা আমাদের মাছ জাতির কলংকস্বরূপ। তোমাদের জন্য লজ্জায় আমাদের মাথা কাটা যাচ্ছে।” এ-কথা বলে রুই মাছগুলো সাঁতরে দূরে সরে গেল।
ইল মাছগুলো বিষন্নবদনে বাসায় ফিরে গেল। তাদের মা জিজ্ঞেস করল: ‘ কী হয়েছে? তোমরা সবাই মন খারাপ করে আছ কেন?’
তারা দিনেরবেলার ঘটনা মাকে খুলে বলল। তারা মাকে রুই মাছগুলোর ওপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য অনুরোধ করল।
মা হাসিমুখে বলল: ‘তোমরা অন্যদের এ সামান্য কথায় এতো চটেছো! তোমাদের মন এত ছোট কেন? তোমরা কি জান, আমরা মাছ জাতি কেন পানিতে জীবনযাপন করতে পারি? এর কারণ এই যে, আমাদের শ্বাসযন্ত্র বিশেষ ধরণের। কিন্তু রুই মাছেরা কেবল পানিতে থাকতে পারে। কিন্তু আমরা ইল মাছেরা যেমন পানিতে থাকতে পারি, তেমনি কাদামাটির ভেতরেও অনায়াসে থাকতে পারি। তাদের চাইতে আমাদের শারীরিক যোগ্যতা বেশী। অন্যরা কী বলল না-বলল, তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ো না। নিজেদের যোগ্যতা সম্পর্কে আগে সচেতন হও।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।