হযরত মুসা (আঃ) এর মোজেযাপূর্ণ নয়টি ঘটনা-৩য় পর্ব
হযরত মুসা(আঃ) এর মোজেযাপূর্ণ নয়টি ঘটনা-২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
এ অবস্থা দেখে তিন অত্যন্ত আনন্দ লাভ করলেন। হযরত মুসা (আঃ) কে রমণীগণ দেখে সালাম দিয়ে এক এক করে বিদায় গ্রহণ করলেন। এরা কথা থেকে এসেছে কোথায় যাবেন কিছু জিজ্ঞাসা করার সুযোগ তিনি পেলেন না। দ্বিতীয় তাবুতে গিয়ে দেখেন চাকর-বাকর ও কর্মচারীবৃন্দ নাক ডেকে আরামে ঘুমাচ্ছে। তাদের পাশে নানা রকম খাদ্য ও ফলমূল সজ্জিত রয়েছে। সেখান থেকে পশুগুলোর নিকট গিয়ে দেখলেন একপাল বাঘ তার ছাগল মেষ গুলাকে ঘিরে শুয়ে আছে। হযরত মুসা (আঃ) কে দেখা মাত্র এক এক করে চলে গেল।
হযরত মুসা (আঃ) আল্লাহ তায়ালার এমন করুণার জন্য সেজদায় পড়ে গেলেন। দীর্ঘ সময় পরে তিনি স্বজল নয়নে সেজদা থেকে মাথা উত্তোলন করে ছফুরার নিকট ফিরে গেলেন। ছফুরা বলল আপনি আরো দেরি করে আসলে আমরা আরও বেশি শান্তি ভোগ করতে পারতাম। হযরত মুসা (আঃ) জিজ্ঞেস করলেন আমার অনুপস্থিত কালে তোমরা কেমন ছিলে, ছফুরা বলল, আপনি আগুনের সন্ধানে যাত্রা করার সঙ্গে সঙ্গে দশজন অপরূপ সুন্দরী মহিলা নানারুপ খাদ্য, মধু, দুধ ও ফলফলাদী নিয়ে আমদের তাবুতে ঢুঁকে পড়েন। তারা এখানে আসার পরে তাবুতে কোন রকম শিত বা অতিরিক্ত গরম অনুভাব হয়নি। খুবিই আরাম দায়ক আবহাওয়া বিরাজ করছিল। অতঃপর তারা আমার মুখে মধু ঢেলে দিল।
আমি নিশ্চিত মনে তৃপ্তি সহকারে মধু পান করছিলাম। একটু পরে দেখলাম আমার একটি সন্তান ভুমিষ্ট হয়েছে। আমি কোন রুপ অনুভব করতে পারি নি কখন আমার সন্তান প্রসব হল। আমি কোন রুপ অপবিত্রা অনুভব করেনি। মহিলা বৃন্দ আমাকে মুহূর্তে মুহুর্তে আমার মুখে খারার দিত আর নানা রকম গল্প করে আমাকে তৃপ্তি দান করত। এমন কি তারা আপনার নবুয়াতী জীবনের কর্মক্ষেত্রে প্রতিফলিত হবার মত অনেক মোজেজার কথা আমাকে শুনাল। আমি তাদের কথা ও আচারণে এমন তৃপ্তি পেলাম যা জিবনে কোন দিন আর পাইনি। আমি এক পর্যায়ে তাদের পরিচয় জিজ্ঞেস করায় তারা আমাকে বলল, তোমার স্বামীকে আল্লাহ তায়ালা নবুয়াতী দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন। এই মুহুর্তে তোমার তদরকি করার জন্য আল্লাহ তায়ালা আমাদিগকে বেহেস্ত থেকে পাঠিয়েছেন। অতএব তুমি নিশ্চিন্ত মনে আমাদের উপর ভরসা করতে পার এবং অসুবিধা কথা আমাদের সাথে বলতে পার। আমরা তা পুরণ করার চেষ্টা করব। তখন বললাম আমার সন্তান হয়েছে এই মুহুর্তে আমার স্বা্মীকে দেখতে ইচ্ছে হয়।
তখন একজন মহিলা আমার নিকটবর্তী হয়ে বললেন, তুমি আমার হাতের তালুর দিকে তাকাও এই বলে তিনি তার হাত খানি আমার দিকে প্রসারিত করে ধরলেন। আমি তার হাতের মাঝে দেখলাম, আপনি তুর পাহাড়ের উপর নামাজরত অবস্থায় আছেন। তখন আমার মনটা পরিতৃপ্তি হল। আই তখন পাঠ করলাম ছোবাহান আল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ।
সূত্রঃ কুরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী
হযরত মুসা(আঃ) এর মোজেযাপূর্ণ নয়টি ঘটনা-৪র্থ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন