খন্দকের যুদ্ধে শীত, ক্ষুধা ও ভয়-ভীতি সহ্য করা – শেষ পর্ব
খন্দকের যুদ্ধে শীত, ক্ষুধা ও ভয়-ভীতি সহ্য করা – পর্ব ৪ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ইয়াযীদ তাইমী (রঃ) বলেন, আমরা হযরত হোযাইফা (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এক ব্যক্তি তাহাকে বলিল, আমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগ পাইতাম, তবে তাঁহার সঙ্গে থাকিয়া (কাফেরদের বিরুদ্ধে) যুদ্ধ করিতাম এবং প্রাণ উৎসর্গ করিতাম। হযরত হোযাইফা (রাঃ) তাহাকে বলিলাম, তুমি এরূপ করিতে পারিতে? আমরা প্রচণ্ড বাতাস ও শীতের মধ্যে খন্দকের যুদ্ধের রাত্রিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, এমন কেহ আছে কি যে আমার নিকট কাফেরদের খবর লইয়া আসিবে এবং কেয়ামতের দিন সে আমার সঙ্গে থাকিবে?
অতঃপর বর্ণনাকারী উপরোক্ত রেওয়াতে অনুযায়ী সম্পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন এবং হাদীসের শেষাংশে এরূপ রহিয়াছে যে, অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ফিরিয়া আসিতেই শীত আমাকে আবার ধরিল এবং আমি কাঁপিতে লাগিলাম। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে (শত্রুর খবরাখবর সম্পর্কে) অবহিত করিলাম।
তিনি যে চোগা পরিধান করিয়া নামায পড়িতেছিলাম উহার কিছু অংশ আমার শরীরের উপর দিয়া দিলেন। আমি সকাল পর্যন্ত ঘুমাইয়া রহিলাম। সকাল হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, হে নিদ্রামগ্ন, উঠ।
অপর এক রেওয়াতে আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, এমন কে আছে, যে দুশমন কি করিতেছে, উঠিয়া দেখিবে এবং ফিরিয়া আসিবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরিয়ে আসিবার শর্ত করিলেন। (অর্থাৎ তাহাকে অবশ্যই ফিরিয়া আসিতে হইবে।) আমি তাঁহার জন্য আল্লাহ্র নিকট দোয়া করিব যেন সে বেহেশত আমার সঙ্গী হয়। কিন্তু অতিশয় ভয়, প্রচণ্ড শীত ও ক্ষুধার দরুন কেহই উঠিল না।
সূত্রঃ হায়াতুস সাহাবা
খন্দকের যুদ্ধে শীত, ক্ষুধা ও ভয়-ভীতি সহ্য করা – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন