ফরিক মিয়ার অনেক দিনের শখ ভূত দেখার। সে অনেক যায়গায় ঘুরেছে ভূতের সন্ধানে। মধ্যরাতে শ্মশানে বসে থেকেছে ঘন্টার পর ঘন্টা। পাড়ার বড় গাবগাছটার নিচে রাত কাটিয়ে দিয়েছে ভূতের সাক্ষাত পাওয়ার জন্য। কোন লাভ হয়নি তাতে। অবশেষে তার সকল বন্ধুদের জানিয়ে রেখেছে ভূতের সন্ধান পেলেই যেন তাকে জানায়।
-হ্যালো! ফরিক?
-হ্যা! শামছু বল!
-তুই নদীর ধারে চলে আয় ভূত দেখছি!
-আমি এক্ষুনি আসতেছি। তুই পাঁচ মিনিট অপেক্ষা কর।
ফরিক মিয়া তাড়াতাড়ি নদীর ধারে চলে যায়।
শামছু একটা গাছের গুড়িতে বসে বসে বিড়ি টানতেছে।
-কিরে ভুত কই?
-এতোক্ষণ তো ছিল! এখন কই যেন চলে গেল।
-কেমন ভূত?
-তাতো জানি না!
-কেন তুই দেখিস নাই?
-দেখছি তো। কেমন জানি ধোয়া ধোয়া!!
ফরিক আর শামছু অনেকক্ষণ বসে রইল। ভূতের দেখা নাই!
সন্ধ্যা পেরিয়ে প্রায় রাত হয়ে এলো বলে। তবুও ভূতের কোন অস্তিত্ব পাওয়া গেল না।
-আর মনে হয় আসবে না রে। আমার কপালটাই খারাপ!
-তাহলে কি করবি?
-চল, বাসায় যাই।
-দোস্ত আমার বাসায় চল! আড্ডা দেয়া যাবে কিছুক্ষণ। আম্মু বাসায় নেই। (শামছু প্রস্তাব রাখে)
ফরিক মিয়া আর শামছু বাসায় আসে।
দুইজনে শামছুর রুমে ঢুকে দেখে,
শামছু মিয়া টেবিলে বসে হারিকেন জ্বেলে পড়তেছে।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।