৩ নভেম্বর ভোর সাতটায় দক্ষিণ কোরিয়ার ইঞ্চন (ওরা ইঞ্জনই বলে, আমরা বাঙালিরা কেউ কেউ বলি ইঞ্চিয়ন। কারণ শব্দের প্রতিটি বর্ণের প্রতি সুবিচার ’এর ব্যাপারে আমাদের ঝোঁক আছে) থেকে যাত্রা শুরু, সিঙ্গাপুর এয়ার লাইনসে সিউল থেকে (ওরা বলে সৌল) ছয় ঘণ্টার জার্নি করে সিঙ্গাপুর, ঘণ্টা ছয়েক বিরতি। সেই বিরতিতে সিঙ্গাপুর শহরে ঢুকে এক জোড়া বাঙালি পরিবারের যৌথ আতিথেয়তায় দুপুরে চমৎকার ভোজ, তার চার ঘণ্টা পর সিঙ্গাপুর এয়ার লাইনস ’এর জাহাজে ঢাকা; ঢাকা এয়ারপোর্টে আড়াই ঘণ্টা; মুলাশাক, ঢেঁড়শ ভাজি ও ফুলকপি-আলু ভাজি দিয়ে রাতের খাবার খাওয়া; নিজের দেশের বিমানবন্দরকে ট্রানজিট বানিয়ে আবার রাত আড়াইটায় যাত্রা। কাতার এয়ার ওয়েজে ছ’ঘণ্টার জার্নি, ঢাকা থেকে দোহা, সেখানে ঘণ্টা আড়াই, কাতার এয়ার ওয়েজে করেই আরও সাত ঘণ্টার ওড়া, ফ্রাঙ্কফুর্ট; ফ্রাঙ্কফুর্টে আড়াই ঘণ্টার বিরাম; অতঃপর ভ্রমণের শেষ সোয়া ঘণ্টা, লুফথানসা এয়ারওয়েজে বার্লিন। ভ্রমণ আমার প্রিয় সহচরী। ও আমাকে বড় উদ্বিগ্ন ও উদ্বাস্তু হয়ে অপার ব্যগ্রতায় টানে।
এবার এত টানা টানার পরও মোহ ডাক-এ আমাকে সে টেনে নিতে চেয়েছিল। আমার দম দেখার জন্য, আমাকে নিয়ে খেলার জন্য। আমি সাড়া দিই নি। ৫ থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিবন্ধী মানুষকে সমাজের মূল ধারায় মিশিয়ে নেয়ার কৌশল সন্ধান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য জার্মানির উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড ’এর যে আয়োজন, তাতে আজ, ৫ নভেম্বর বেশফ্রি-টাইম আছে। সন্ধ্যায়, যে হোটেলে ওরা তুলেছে, শহরের খুব পুরনো ও বনেদি এক হোটেল, হোটেল ‘মুভ এনপিক’-এ একটা পরিচিতি সভা হবে; তারপর ডিনার।
ভ্রমণের তীব্র কাক্সক্ষা এসে কানে তার ঠোঁট ছুঁইয়ে, হয়তো সামান্য ওষ্ঠাধরের রঞ্চনীরেখা লাগিয়ে দিয়ে বললো- শোন প্রিয়, ওসব ওসব যা যা তোমার মাথায় আছে, আমি না দেখতেও বলছি না, না করতেও বলছি না। তুমি যাই করবে, তাই আমার ভালো লাগবে, কারণ আমি তোমার ভাবনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
তবে যা যা করতে চাচ্ছো, কালওতো তুমি করতে পার! তোমার যখন শেনঝেন ভিসা আছেই, পাশের কোন এক দেশ থেকে বারো ঘণ্টায় ঘুরে আসতে পারি; আমি তৈরি, বড় ব্যগ্রতায়। বল তো রেডি হই। তখন মনের সঙ্গে মনের কড়ার শুরু হয় আমার।
: যাওয়া যাবে নাকি বারো ঘণ্টায় কোথাও? সন্ধ্যে ছ’টার আগে ফিরেও আসতে হবে!
: কাছাকাছির দেশ বলতে পোল্যান্ড আর ডেনমার্ক। কাজ একটা করা যায়। ফ্রন্ট-ডেস্ক থেকে খবর নিয়ে আসা যায়।
ফ্রন্ট ডেস্ক বলল- কোথায় যেতে চান? বাংলাদেশের একজন সজ্জন ব্যক্তি, øিগ্ধও বটে, জিআইজেড (আগে নাম ছিল জিটিজেড)-এর বাংলাদেশী অফিসার সাইফুজ্জামান পরামর্শ দিলেন- বলুন স্যার, পোল্যান্ড।
: পোল্যান্ডের কোথায়?
সাইফুজ্জামানই বলে দিল- পোজনান। আমাকে বললো- আপনার মাথায় বোধহয় ওয়ারশ’ আছে স্যার। পারবেন না। অনেক দূর। আমি আগে গেছি। জানি। এখান থেকে পোজনা নই গিয়েছিলাম। ট্রেনে করে। ওদের সেকেন্ড ক্যাপিটাল। বিরক্তিহীনভাবে ইন্টারনেট সার্চ করে ইয়াঙ, এনার্জেটিক অ্যান্ড ওমনি-স্মাইলিং ছেলেটি বললো
– অপশান অনেকগুলো। কথা হচ্ছে আপনি কোনটা নেবেন। ডিরেক্ট ট্রেন আছে, দু’তিন জায়গায় বদলাতে হবে, এমন ট্রেন আছে। বিকেলে আমাকে যেহেতু ফিরে আসতে হবে, ডিরেক্ট ট্রেনই- ভলো হবে। মনে মনে আমার অন্য ভয়ও কাজ করেছে। ভূগোলের এ অঞ্চলে ভাষা এখনও প্রতিবন্ধক। ইংরেজিতে ভালোভাবে যোগাযোগ খুব বেশি মানুষের সঙ্গে এখানে করা যায় না।
– পোল্যান্ডের পোজনান ভ্রমণ বাস্তবায়নের স্বপ্নে অ্যাডভাইজর হিসেবে মেনে নেয়া তরুণটি বলল- মর্নিং সকাল ছ’টা চল্লিশ-এ একটা ট্রেন আছে, দু’ঘণ্টা ছেচল্লিশ মিনিট সময় নিয়ে নয়টা ছাব্বিশ-এ পৌঁছাবে, তারপর ফেরার পথে বারোটা একত্রিশ-এর ট্রেন ধরে চারটা তিন মিনিটে বার্লিন মেইন স্টেশনে পৌঁছে যেতে পারবেন। আপনার বিকেলের প্রোগ্রামে কোন অসুবিধা হবে না। আসা-যাওয়ার ভাড়া চুয়াত্তর ইওরো আশি সেন্টস।
অত ভোরে, যেহেতু সাইফুজ্জামানকে সঙ্গে পাব না, আমাকে একা যেতে তবে, ভাবলাম- সবকিছু জেনে নেয়াই ভালো।
– কতক্ষণ সময় লাগবে হোটেল থেকে বার্লিন মেইন স্টেশন?
– ট্যাক্সিতে চার মিনিট, বাসে মিনিট পনেরো। ট্যাক্সি পাঁচ থেকে দশ ইউরো নেবে।
– নতুন শহরে একা যখন, ট্যাক্সিই বোধহয় ভালো হবে।
– আমারও মনে হয়।
সাইফুজ্জামান যোগ করলেন- তাছাড়া, বাসের রুট চেনাচেনিরও এটা ব্যাপার আছে।
মনের ভ্রমণ কাক্সক্ষা ও তার পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অন্তর সহচরীকে তুষ্ট করে রুমে ফিরতে ফিরতে পরামর্শ করলাম সাইফুজ্জামানের সঙ্গে- অত ভেবে ট্যাক্সি-ক্যাব তো পাওয়া যাবে আশা করি।
– কোন অসুবিধে হবে না। আপনি শুধু ফ্রন্ট ডেক্স-কে বলবেন, ওরাই ডেকে দেবে।
– লাগুকনা না হয় দশ ইওরো, অনিশ্চিত একটা অবস্থা থেকে সেটি অনেক ভালো না?
– তা তো অবশ্যই! তাছাড়া শ’খানেক ইওরো খরচ করে আপনি নতুন একটা দেশ দেখে এলেন, সেটা মন্দ নয়।
– এগজাকটলি।
সে জন্যই অত ক্লান্তির পরও আমার এমন আগ্রহ।
ফ্রন্ট ডেস্ককে অনুরোধ করে রাখলাম, ভোর পাঁচটায় যেন আমাকে একটি ওয়েক-আপ ক’ল দেয়া হয়।
রুমে ঢুকেই ঘুমিয়ে পড়লাম। বার্লিনে রাত আটটা মানে বাংলাদেশে তখন দুটো। ঘুমও পাচ্ছিল, তাছাড়া আশাও করছিলাম না যে অত রাতে দেশ থেকে ফোন আসবে। যার ফোনের আশা করা, অন্তত: ভালোমতো পৌঁছার সংবাদ দেয়া ও সাংঘাতিক ডিফেকটিভ একটি ট্রলি-ব্যাগ দেয়ার কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করার জন্য, তিনি এখন নবোঢ়া কোন অষ্টদশী নন যে ক্ষণেক্ষণে লাজুক হাসিতে ভিজেভিজে ভাবতে শুরু করেছেন- জীবন কেন এত সুন্দর। বিপরীত উপযোগের মানুষ-
সঙ্গসুখে কেন এত মধুর! ‘১৯৮০ সালের ১৯ নভেম্বর বুধবার রাত সাড়ে দশটা থেকে ধরলে এক ঠিকানাতেই তো তিনি সুখে-দুঃখে হরিষেবিষাদে, হতাশায়-উচ্চাশায় প্রাপ্তিতে-হরণে তেত্রিশ বছর এক ঠিকানায় কাটিয়ে দিলেন। আর কত! কত আর! রাত দেড়টায় ঘুম ভেঙে গেলো। ওয়েক-আপ কল’এর চারঘণ্টা আগে। নড়েচড়ে চোখ আবার বন্ধ করলাম। এক ঘণ্টা পর আবার ভাঙলো ঘুম।
এবার আর চোখ বন্ধ করলাম না। রেডি হয়ে নি, সময় থাকলে একটু কাগজকলমের ব্যবহার করবো। মুখে দু’দিনের বাসি দাঁড়ি, সেগুলো সারাবো, মৃদু গরম পানিতে অনেকক্ষণ ধরে ভিজবো; দু’পায়ে গোড়ালির ওপরে কিছু জায়গায় এক ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশানে লাল লাল ছোপ তৈরি হয়েছে, বেশ চুলকোয়, সেখানে গরম পানির ধারা বসিয়ে দিলে খুব আরাম পাওয়া যায়, তাও করবো। তারপর সময় থাকবে, ধীরেসুস্থে পোশাক পরবো। শীতের কাপড় নেবো, কান ঢাকার ক্যাপ নেবো, হাতমোজা নেবো হাড়ে দাঁত দাবানো ইওরোপিয়ান শীতের মাঝে নিজেকে প্রোটেকটেডই শুধু রাখবো না, ওভার প্রোটেকটিভ করে তুলবো। সবই করলাম। মৃদু গরমে পানিতে অনেকক্ষণ ধরে øান করলাম। ল্যাপটপ’এর ব্যাগটা খালি করে ব্রিফকেস’এর জিনিস সেখানে ট্রান্সফার করলাম। কোথায় কোন খাবার পাওয়া যায়, চেনা হয় কি অচেনা হয়, পেলে আবার কতদামে কিনতে হয়- এসব ভাবতে ভাবতে ঝোলাবার ব্যাগের এক কোণে এক প্যাকেট বিস্কিট ঢোকালাম, সাইফুজ্জামানের বাড়িয়ে দেয়া, দেশ থেকে আনা; এক জোড়া আপেলকেও পাঠালাম এনার্জি প্লাস বিস্কিটকে সঙ্গ দেয়ার জন্য। হোটেলের ফ্রন্ট ডেস্ক’এর কমপ্লিমেন্টারি আপেল। গ্রিন ডিলিশাস ভ্যারাইটির নিজের সাজসজ্জাসহ পরিপাটি সবকিছু দেখে মনে মনে একবার বলেও নিলাম স্কুল মাস্টার অপর্ণাচরণ বিশ্বাসের দ্বিতীয় সংসারেরও শেষ দিকের ভাণ্ডঝাড়া শিশু- কী তোর ভাগ্য রে বাবু কী তোর ভাগ্য! কোনদিন কি ভেবেছিলি এসব দেশে আসবি! কোনদিন কি ভেবেছিলি এসব পোশাক পরবি! কোনদিন কি ভেবেছিলি এত দেখা দেখবি! এত খাবার খাবি! আর, বছরের কয়েকবার আকাশেব্যোমে এত ওড়া উড়বি। অনেককিছু তুই পাসনি বলে বলিস বটে, আমি তবু তোর ভাগ্য নিয়ে জ্বলে মরি!
হাতে অনেক সময় তখনও। ওই সময়টা না থাকলে লেখার বিষয় হয়তো অন্যরকম হতো। বসে বসে ভাবলাম- পোল্যান্ডের নাম না জানা একটি শহরে যে আমি যাবো, আমি কী জন্য যাবো! একা একা একটা ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে ফুটপাথ ধরে হাঁটা আর কোন পার্ক পেলে বসা ছাড়া আমিতো তৃতীয় কোন কাজ দেখছি না!
নতুন একটা দেশে ভাষার কারণে সে দেশে যোগাযোগ একটা সমস্যার ব্যাপার, কেউ কখনও একা যায়নি এমন নয়। তবে, এত কম সময় নিয়ে এবং তথ্য উদ্ধারের অচেনা বুতামে ভরা একটা কী-বোর্ড সঙ্গে নিয়ে ও শুরুতে পৌঁছুনোর ও পৌঁছুবার পর ঘড়িধরা সময়ে ফেরার চিন্তা মাথায় ঠেসে আর কেউ কখনও যায়নি। ইওরোপিয়ান ইউনিয়ন’এর সদস্য হওয়ার পরও পোল্যান্ড এখনও দরিদ্র, তাদের রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে কোথাও কোথাও পুরনো টিন ঝরে পড়ছে, গণিকাসংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে এবং স্টেশনসহ বিভিন্ন খোলা জায়গা ও পাবলিক প্লেইস-এ তারা প্রতিযোগিতা করে শিকার ধরছে- এ সবতো জানার বিষয়; আড়াই ঘণ্টা সময়ের মধ্যে তাড়াহুড়ো দেখে আসার কিংবা দেখে এসে রিপোর্ট করার কোন হুকুমদারি আমার ওপর নেই।
ধীরে ধীরে পোল্যান্ডের ভাগে পয়েন্ট কমতে থাকলো। শহরটির, পোজনান নামের শহরটির যেখানে আমি যেতে চাচ্ছি, কোথায় কী আছে আমি যেহেতু চিনি না, কোন জায়গা কেন প্রসিদ্ধ তাও যেহেতু আমার জানা নেই, উš§াদের মতো শুধু দৌড়োদৌড়ি করা হবে, এই দৌড়োদৌড়ির জন্য শরীরের ওপর ট্যাক্স করা হবে এবং বোকার মতো কিছু ইওরো খরচ করা হবে, ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে যা কেনার সময় অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখানকার এয়ারপোর্টে বা দোহায় ডলার ভাঙিয়ে ইওরো করতে পারতাম কিন্তু অতিসাবধানী হয়ে দেশে থেকেই তা করে আনতে চাইলাম। সময়ও বাঁচবে, যেখানে যাচ্ছি সেখানকার মুদ্রা পকেটে থকলে সুবিধাও হবে, সাহসও থাকবে। যে সহকর্মীকে কাজটা দিলাম, সে ঘুরে এসে বললো- অভিজ্ঞতা বড় অদ্ভুত হলো স্যার। তিনশ’ আশি ইওরো পেলাম না।
: ঠিক আছে। আপাতত তাতেই চলবে।
: কিন্তু, লসটা আমাদের ডাবল হলো। ওরা দু’বার কমিশন গিললো।
: যেমন?
: ওরা ডলার থেকে সরাসরি ইওরোতে কনভার্ট করবে না।
: তাহলে ওরা কী করবে?
: প্রথমে ডলার ভাঙিয়ে টাকা করতে হবে, তারপর সেই টাকা ভাঙিয়ে ইওরো কিনতে হবে।
তাই কিনলাম।
: এরকমও হয়?!
: এরকম ঝামেলা হলে না কিনলেও চলতো। বার্লিনেই ভাঙাতে পারতাম।
: ভাবলাম, আপনার দরকার খুব বেশি।
বললাম না যে চেঞ্জ করবে কি করবে না ফোনে জেনে নিতে পারতে! হাজার খানেক টাকা লস’এর জন্য কিছু আর বললাম না। ওর মন খারাপ হবে। এমনিতেই ‘বালক’টা আমার এই অদ্ভুত ও ঐতিহাসিক ট্যুর ’এর জন্য যথেষ্ট খাটাখুটি করেছে।
ট্যুরের ঐতিহাসিকতার কারণ ফ্লাইং আওয়ার্স ও ভ্রমণরেখা- সৌল টু সিঙ্গাপুর টু ঢাকা টু দোহা টু ফ্রাঙ্কফুর্ট-বার্লিন। চব্বিশ ঘণ্টা তিরিশ মিনিটের ফ্লাইয়িং আওয়ার্স। হয়নি। আগে কখনও হয়নি এত লম্বা সময় চরণবিচরণের বিরল ভাগ্য।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।